১০:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম কাস্টমসে ৬৯ কোটি টাকার পণ্য ১১ কোটিতে বিক্রির অভিযোগ

চট্টগ্রাম কাস্টমসে প্রায় ৬৯ কোটি টাকার সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট মাত্র ১১ কোটি টাকায় বিক্রির অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বরাবর চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস নিলাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।

চিঠিতে সমিতির সভাপতি ফেরদৌস আলম ও সাধারণ সম্পাদক এয়াকুব চৌধুরী অভিযোগ করেন, গত ২৯ মে শেষ হওয়া নিলামে ক্যাটালগের ৯ নম্বর লটে ‘ক্যাপিটাল ইক্যুইপমেন্ট ফর সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট’ নামে পণ্যটি তোলা হয়। সেখানে ৬০টি ৪০ ফুট কন্টেনারে ১০ লাখ ২৯ হাজার কেজি পণ্য দেখানো হলেও বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করা হয়নি। অথচ ইনভেন্ট্রি রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি বক্সে ৩১টি করে সোলার পাওয়ার ইউনিট ছিল, মোট ৯৬০ বক্স।

অভিযোগে বলা হয়, প্রথম নিলামে ২ কোটি টাকার বিড উঠলেও সংরক্ষিত দরের ৬০ শতাংশ না হওয়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয়নি। পরে দ্বিতীয়বার নিলামে তোলার পরও স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়নি। বিডারদের সব কন্টেনার দেখার সুযোগ না দিয়ে সীমিতভাবে প্রদর্শন করা হয়।

ফেরদৌস আলম বলেন, “নিলামে পণ্যের বিবরণ সঠিকভাবে না দেওয়ায় অনেক বিডার অংশ নিতে পারেননি। আমরা চাই স্বচ্ছতার স্বার্থে এই পণ্য পুনরায় নিলামে তোলা হোক।”
সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এয়াকুব চৌধুরী বলেন, “ইনভেন্ট্রি রিপোর্টে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করে ক্যাটালগে শুধু নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এখন শুনছি ৬৯ কোটি টাকার পণ্য মাত্র ১১ কোটিতে ঢাকার ওয়ার্ল্ড পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে।”

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুব হাসানকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাম্পের নির্দেশে নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ মার্কিন হামলা

চট্টগ্রাম কাস্টমসে ৬৯ কোটি টাকার পণ্য ১১ কোটিতে বিক্রির অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রাম কাস্টমসে প্রায় ৬৯ কোটি টাকার সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট মাত্র ১১ কোটি টাকায় বিক্রির অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বরাবর চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস নিলাম ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি।

চিঠিতে সমিতির সভাপতি ফেরদৌস আলম ও সাধারণ সম্পাদক এয়াকুব চৌধুরী অভিযোগ করেন, গত ২৯ মে শেষ হওয়া নিলামে ক্যাটালগের ৯ নম্বর লটে ‘ক্যাপিটাল ইক্যুইপমেন্ট ফর সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট’ নামে পণ্যটি তোলা হয়। সেখানে ৬০টি ৪০ ফুট কন্টেনারে ১০ লাখ ২৯ হাজার কেজি পণ্য দেখানো হলেও বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ করা হয়নি। অথচ ইনভেন্ট্রি রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতি বক্সে ৩১টি করে সোলার পাওয়ার ইউনিট ছিল, মোট ৯৬০ বক্স।

অভিযোগে বলা হয়, প্রথম নিলামে ২ কোটি টাকার বিড উঠলেও সংরক্ষিত দরের ৬০ শতাংশ না হওয়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দেয়নি। পরে দ্বিতীয়বার নিলামে তোলার পরও স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়নি। বিডারদের সব কন্টেনার দেখার সুযোগ না দিয়ে সীমিতভাবে প্রদর্শন করা হয়।

ফেরদৌস আলম বলেন, “নিলামে পণ্যের বিবরণ সঠিকভাবে না দেওয়ায় অনেক বিডার অংশ নিতে পারেননি। আমরা চাই স্বচ্ছতার স্বার্থে এই পণ্য পুনরায় নিলামে তোলা হোক।”
সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এয়াকুব চৌধুরী বলেন, “ইনভেন্ট্রি রিপোর্টে থাকা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গোপন করে ক্যাটালগে শুধু নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এখন শুনছি ৬৯ কোটি টাকার পণ্য মাত্র ১১ কোটিতে ঢাকার ওয়ার্ল্ড পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির অনুমোদনের প্রক্রিয়া চলছে।”

এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুব হাসানকে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এমআর/সবা