০৫:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
লক্ষ্মীপুরে উঠান বৈঠকে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

গুপ্ত রাজনীতির সঙ্গে মিলেমিশে তারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি শনিবার লক্ষ্মীপুর সদরের বড়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহিলা দলের উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, দেশের নির্বাচনের পরিবেশকে ধ্বংস করার জন্য কিছু রাজনৈতিক দল ও তাদের গুপ্ত সহযোগীরা সরাসরি ষড়যন্ত্র করছে। তিনি অভিযোগ করেন, “যারা আজ লকডাউন দিচ্ছে আর যারা বেহেশতের টিকেট দিতে চায়, তাদের মধ্যে ভেতরে ভেতরে সম্পর্ক রয়েছে। ৮৬ ও ৯৬ সালের ঘটনা এখনও মনে আছে—১৭২ দিন হরতাল ও অবরোধের মাধ্যমে মানুষকে জিম্মি করা হয়েছিল এবং দেশের ক্ষতি করা হয়েছিল।”

শহীদ উদ্দিন এ্যানি আরও বলেন, “আজকের দিনে লকডাউনের আড়ালে কিছু আওয়ামী লীগের কর্মী গুপ্ত রাজনীতির সঙ্গে মিলেমিশে বোমা হামলা, গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করছে। এভাবে তারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। তারা চাইছে দেশের ভোট প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাক।”

তিনি এনসিপির একটি সাম্প্রতিক ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, “ঢাকায় তাদের কার্যালয়ের সামনে হাতেনাতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে দেখা গেছে, সে শিবির কর্মী। কেন গ্রেপ্তার করা হলো? কারণ তাদের কাছে পরিসংখ্যান আছে—নির্বাচন হলে জিয়ার দল, গণমানুষের দল বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। তারা এটা পছন্দ করে না। তাই তারা গুপ্ত রাজনীতি করছে, দেশের বাইরে বসে ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতি চালাচ্ছে।”

শহীদ উদ্দিন এ্যানি ইসলামি দলকে সতর্ক করে বলেন, “নতুনভাবে বাংলাদেশকে গড়ার চিন্তা করুন। সাধারণ মানুষের সেন্টিমেন্টকে বোঝার চেষ্টা করুন। গুপ্ত রাজনীতি, অপপ্রচার বা অপব্যাখ্যা থেকে বিরত থাকুন। স্বচ্ছ রাজনীতিতে আসুন এবং জনগণের ভোটকে সম্মান করুন।”

তিনি অতীতের সংগ্রামের কথাও স্মরণ করান, “হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। ২৮ অক্টোবর ও ১০ ডিসেম্বরের ইতিহাস মানুষ দেখেছে—অনেক সিনিয়র নেতা সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে, অনেককে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলানো হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটকে বিবেচনা করে সবাই স্বচ্ছ রাজনীতিতে ফিরে আসুক।”

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান, নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি বেলাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম ইউছুফ ভূঁইয়া, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবেরা আনোয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার শিমু ভূঁইয়া প্রমুখ।

শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির এই মন্তব্য বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বিরোধী দলের উদ্বেগের একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করছে। তার বক্তব্যে সরকারের কার্যক্রম, রাজনৈতিক দলগুলোর গুপ্ত কর্মকাণ্ড এবং ভোটের স্বচ্ছতার জন্য বিএনপির প্রতিশ্রুতিকে গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়েছে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও সুসংহত করবে: নাহিদ

লক্ষ্মীপুরে উঠান বৈঠকে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

গুপ্ত রাজনীতির সঙ্গে মিলেমিশে তারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়

আপডেট সময় : ০৮:১৬:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি শনিবার লক্ষ্মীপুর সদরের বড়ালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মহিলা দলের উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, দেশের নির্বাচনের পরিবেশকে ধ্বংস করার জন্য কিছু রাজনৈতিক দল ও তাদের গুপ্ত সহযোগীরা সরাসরি ষড়যন্ত্র করছে। তিনি অভিযোগ করেন, “যারা আজ লকডাউন দিচ্ছে আর যারা বেহেশতের টিকেট দিতে চায়, তাদের মধ্যে ভেতরে ভেতরে সম্পর্ক রয়েছে। ৮৬ ও ৯৬ সালের ঘটনা এখনও মনে আছে—১৭২ দিন হরতাল ও অবরোধের মাধ্যমে মানুষকে জিম্মি করা হয়েছিল এবং দেশের ক্ষতি করা হয়েছিল।”

শহীদ উদ্দিন এ্যানি আরও বলেন, “আজকের দিনে লকডাউনের আড়ালে কিছু আওয়ামী লীগের কর্মী গুপ্ত রাজনীতির সঙ্গে মিলেমিশে বোমা হামলা, গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর করছে। এভাবে তারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। তারা চাইছে দেশের ভোট প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাক।”

তিনি এনসিপির একটি সাম্প্রতিক ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, “ঢাকায় তাদের কার্যালয়ের সামনে হাতেনাতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে দেখা গেছে, সে শিবির কর্মী। কেন গ্রেপ্তার করা হলো? কারণ তাদের কাছে পরিসংখ্যান আছে—নির্বাচন হলে জিয়ার দল, গণমানুষের দল বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। তারা এটা পছন্দ করে না। তাই তারা গুপ্ত রাজনীতি করছে, দেশের বাইরে বসে ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতি চালাচ্ছে।”

শহীদ উদ্দিন এ্যানি ইসলামি দলকে সতর্ক করে বলেন, “নতুনভাবে বাংলাদেশকে গড়ার চিন্তা করুন। সাধারণ মানুষের সেন্টিমেন্টকে বোঝার চেষ্টা করুন। গুপ্ত রাজনীতি, অপপ্রচার বা অপব্যাখ্যা থেকে বিরত থাকুন। স্বচ্ছ রাজনীতিতে আসুন এবং জনগণের ভোটকে সম্মান করুন।”

তিনি অতীতের সংগ্রামের কথাও স্মরণ করান, “হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। ২৮ অক্টোবর ও ১০ ডিসেম্বরের ইতিহাস মানুষ দেখেছে—অনেক সিনিয়র নেতা সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে, অনেককে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলানো হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটকে বিবেচনা করে সবাই স্বচ্ছ রাজনীতিতে ফিরে আসুক।”

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান, নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি বেলাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এম ইউছুফ ভূঁইয়া, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবেরা আনোয়ার এবং সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার শিমু ভূঁইয়া প্রমুখ।

শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির এই মন্তব্য বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বিরোধী দলের উদ্বেগের একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত বহন করছে। তার বক্তব্যে সরকারের কার্যক্রম, রাজনৈতিক দলগুলোর গুপ্ত কর্মকাণ্ড এবং ভোটের স্বচ্ছতার জন্য বিএনপির প্রতিশ্রুতিকে গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়েছে।

এমআর/সবা