০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাহাড়তলীতে রেলওয়ের জমি দখলমুক্ত, ৭৫ স্থাপনা উচ্ছেদ, ৪০ শতক সরকারি জমি উদ্ধার

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী আমবাগান ও ঝাউতলা এলাকায় রেলওয়ের দীর্ঘদিন ধরে দখল হওয়া সরকারি জমি উচ্ছেদ করা হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসন ও ভূসম্পত্তি বিভাগের উদ্যোগে পরিচালিত অভিযানে সরকারি ৭৫টি দোকান ও বসতঘর উচ্ছেদ করা হয় এবং প্রায় ৪০ শতক সরকারি জমি উদ্ধার করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র সহকারী সচিব, বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ খোরশেদ আলম চৌধুরী। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় অবৈধভাবে দোকান ও বসতঘর গড়ে উঠছিল, যা নিয়মিত সতর্কতার পরও চলছিল। অভিযান চলাকালে অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ করা হয় এবং জমি দখলমুক্ত করা হয়।

উচ্ছেদ হওয়া দোকানপাট ও ঘরবাড়ির মালিকরা জানান, তারা সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা গড়ার বিষয়টি জেনে থাকলেও সরকারি নির্দেশনার কারণে এখন এগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। স্থানীয়রা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে সরকারি জমি রক্ষার জন্য প্রশাসনের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।

 

অভিযানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌ-পুলিশ ও স্থানীয় পাহারাদাররা অংশ নেন। কর্মকর্তারা জানান, রেলওয়ের ও সরকারি জমি সংরক্ষণ আইনের মাধ্যমে দখলদারদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে পুনরায় এই এলাকায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।

মোঃ খোরশেদ আলম চৌধুরী আরও বলেন, “সরকারি জমি রক্ষা ও দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণই আমাদের লক্ষ্য। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অন্য এলাকায়ও প্রয়োজনে একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় গুড়িয়ে দেয়া হয় দু’টি প্রতিষ্ঠান, একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

পাহাড়তলীতে রেলওয়ের জমি দখলমুক্ত, ৭৫ স্থাপনা উচ্ছেদ, ৪০ শতক সরকারি জমি উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৬:৫৮:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামের পাহাড়তলী আমবাগান ও ঝাউতলা এলাকায় রেলওয়ের দীর্ঘদিন ধরে দখল হওয়া সরকারি জমি উচ্ছেদ করা হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসন ও ভূসম্পত্তি বিভাগের উদ্যোগে পরিচালিত অভিযানে সরকারি ৭৫টি দোকান ও বসতঘর উচ্ছেদ করা হয় এবং প্রায় ৪০ শতক সরকারি জমি উদ্ধার করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করেন সিনিয়র সহকারী সচিব, বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ খোরশেদ আলম চৌধুরী। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় অবৈধভাবে দোকান ও বসতঘর গড়ে উঠছিল, যা নিয়মিত সতর্কতার পরও চলছিল। অভিযান চলাকালে অবৈধ স্থাপনা দ্রুত উচ্ছেদ করা হয় এবং জমি দখলমুক্ত করা হয়।

উচ্ছেদ হওয়া দোকানপাট ও ঘরবাড়ির মালিকরা জানান, তারা সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা গড়ার বিষয়টি জেনে থাকলেও সরকারি নির্দেশনার কারণে এখন এগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। স্থানীয়রা এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং ভবিষ্যতে সরকারি জমি রক্ষার জন্য প্রশাসনের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।

 

অভিযানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌ-পুলিশ ও স্থানীয় পাহারাদাররা অংশ নেন। কর্মকর্তারা জানান, রেলওয়ের ও সরকারি জমি সংরক্ষণ আইনের মাধ্যমে দখলদারদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ভবিষ্যতে পুনরায় এই এলাকায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।

মোঃ খোরশেদ আলম চৌধুরী আরও বলেন, “সরকারি জমি রক্ষা ও দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণই আমাদের লক্ষ্য। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অন্য এলাকায়ও প্রয়োজনে একই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এমআর/সবা