০২:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪ ঘন্টা পরে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধের ঘটনায় দীর্ঘ ৪ ঘন্টা পরে এই মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক ছাত্র নেতারা। এসময় গেটের উভয় পাশে প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস এবং উত্তরবঙ্গ থেকে আসা বিভিন্ন পণ্যবাহী ও মালবাহী ট্রাক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, ছাত্রশিবির সেক্রেটারি ইউসুফ আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক এস এম সুইট, সদস্য সচিব ইয়াশিরুল কবীর, মুখ্য সংগঠক গোলাম রাব্বানী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নুরে আলম, জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার সেক্রেটারি শামীমসহ প্রায় শ খানেক শিক্ষার্থী।

ছাত্রনেতারা জানান, সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণের দীর্ঘদিনের যৌক্তিক দাবি কুষ্টিয়া থেকে খুলনা মহাসড়ক সংস্কার করার। এই সড়ক সংস্কারের মতো শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করছি। ইতিপূর্বেও বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে আমরা এই ঝুকিপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা বারবার আমাদের আশ্বাস দিয়েও সংস্কার কাজ শুরু করেনি। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ হাজার শিক্ষার্থী ও লাখ লাখ সাধারণ মানুষ চলাচল করে। কিন্তু প্রশাসন যেন কোন কথাই গায়ে লাগাচ্ছে না।

এসময়ে কুষ্টিয়া এবং ঝিনাইদহ জেলার প্রশাসকরা ঘটনাস্থলে না আসা এবং কবে নাগাদ সড়ক সংস্কার হবে তার সুনির্দিষ্ট সময়সীমা না জানানো পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে ঘোষণা দেন। পরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান, কুষ্টিয়ার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিম এবং ঝিনাইদহের সড়ক বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী ও স্টাফ অফিসার আহসানুল কবির উপস্থিত হন।

স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা জানান, এই মহাসড়কের টেন্ডারটি ইতোমধ্যে তারা পাঠিয়েছে যা এখন খুলনা জোনে প্রক্রিয়াধীন। এরপরে সরকারের অনুমোদন পেলেই সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে। তবে সে পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও জনগণের ভোগান্তি নিরসনে সড়কের যে অংশগুলো সমস্যা সেখানে নতুন করে পিচ এবং ইট দিয়ে সংস্কার করে দেওয়া হবে যা চলমান থাকবে। ’

প্রশাসনের আশ্বাসের পরে স্থানীয় প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কিন্তু আজকের পরে আবারো ইতোপূর্বের ন্যায় আশ্বাসের বাস্তবায়ন না হলে আবারো সড়ক অবরোধের হুশিয়ারি দিয়েছে তারা।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

৪ ঘন্টা পরে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

আপডেট সময় : ০৭:০০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধের ঘটনায় দীর্ঘ ৪ ঘন্টা পরে এই মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

রবিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক ছাত্র নেতারা। এসময় গেটের উভয় পাশে প্রায় ৬ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকা পড়ে যাত্রীবাহী বাস এবং উত্তরবঙ্গ থেকে আসা বিভিন্ন পণ্যবাহী ও মালবাহী ট্রাক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, ছাত্রশিবির সেক্রেটারি ইউসুফ আলী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক এস এম সুইট, সদস্য সচিব ইয়াশিরুল কবীর, মুখ্য সংগঠক গোলাম রাব্বানী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নুরে আলম, জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার সেক্রেটারি শামীমসহ প্রায় শ খানেক শিক্ষার্থী।

ছাত্রনেতারা জানান, সাধারণ শিক্ষার্থী ও জনগণের দীর্ঘদিনের যৌক্তিক দাবি কুষ্টিয়া থেকে খুলনা মহাসড়ক সংস্কার করার। এই সড়ক সংস্কারের মতো শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করছি। ইতিপূর্বেও বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে আমরা এই ঝুকিপূর্ণ সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা বারবার আমাদের আশ্বাস দিয়েও সংস্কার কাজ শুরু করেনি। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ হাজার শিক্ষার্থী ও লাখ লাখ সাধারণ মানুষ চলাচল করে। কিন্তু প্রশাসন যেন কোন কথাই গায়ে লাগাচ্ছে না।

এসময়ে কুষ্টিয়া এবং ঝিনাইদহ জেলার প্রশাসকরা ঘটনাস্থলে না আসা এবং কবে নাগাদ সড়ক সংস্কার হবে তার সুনির্দিষ্ট সময়সীমা না জানানো পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলে ঘোষণা দেন। পরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকনুজ্জামান, কুষ্টিয়ার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিম এবং ঝিনাইদহের সড়ক বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী ও স্টাফ অফিসার আহসানুল কবির উপস্থিত হন।

স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা জানান, এই মহাসড়কের টেন্ডারটি ইতোমধ্যে তারা পাঠিয়েছে যা এখন খুলনা জোনে প্রক্রিয়াধীন। এরপরে সরকারের অনুমোদন পেলেই সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে। তবে সে পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও জনগণের ভোগান্তি নিরসনে সড়কের যে অংশগুলো সমস্যা সেখানে নতুন করে পিচ এবং ইট দিয়ে সংস্কার করে দেওয়া হবে যা চলমান থাকবে। ’

প্রশাসনের আশ্বাসের পরে স্থানীয় প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে সড়ক অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। কিন্তু আজকের পরে আবারো ইতোপূর্বের ন্যায় আশ্বাসের বাস্তবায়ন না হলে আবারো সড়ক অবরোধের হুশিয়ারি দিয়েছে তারা।

এমআর/সবা