০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আড়িয়াল খাঁ নদে মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন রোববার

বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে মুলাদী, হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ নির্বিঘ্ন করতে আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হচ্ছে আগামীকাল রোববার। পুরোপুরি দেশীয় অর্থায়নে নির্মিত এ সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান ও নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন।

১ হাজার ৭২ কোটি টাকার প্রকল্প

দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ক্যাবল স্টেইড এক্সট্রা ডোজ’ টাইপের সেতুর জন্য ১,০৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ অনুমোদন পেয়েছে। দর মূল্যায়নে চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন (CRBC) নির্বাচিত হলেও চূড়ান্ত চুক্তি এখনো হয়নি। চলতি মাসেই চুক্তি স্বাক্ষর এবং জানুয়ারিতে নির্মাণ সরঞ্জাম আনার প্রস্তুতি চলছে।

 

আড়িয়াল খাঁতে তৃতীয় সেতু

মীরগঞ্জ সেতু হবে আড়িয়াল খাঁ নদে তৃতীয় সেতু। এর আগে শিবচর ও চাঁদপুর-শরিয়তপুর-মাদারীপুর মহাসড়কে দুটি সেতু রয়েছে। নতুন সেতুটি নির্মাণ হলে মুলাদী ও হিজলা উপজেলা সরাসরি জাতীয় সড়ক নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে। মেহেন্দিগঞ্জের সড়ক যোগাযোগও সহজ হবে।

অবকাঠামো ও সংযোগ সড়ক

সেতুর দৈর্ঘ্য ১,৪৮৪ মিটার, পিয়ার ৩০টি এবং ভায়াডাক্ট ৯৪০ মিটার। দুই প্রান্তে ৪.৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মিত হবে। নদীর ভাঙন রোধে ৪৬০ মিটার নদীতীর সুরক্ষায় ৯৬.৬১ কোটি টাকা এবং ভূমি অধিগ্রহণে ৯৩.৫৮ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রকল্পে বিলম্বের আশঙ্কা রয়েছে।

যাতায়াত ও অর্থনৈতিক সুফল

বর্তমানে এই রুটে দৈনিক গড়ে ২,৫০০ যানবাহন চলাচল করে, যা প্রতিবছর ১০% হারে বাড়ছে। সেতু চালু হলে যাতায়াত সময় কমবে, বছরে ৪০ কোটি টাকা পরিবহন ব্যয় সাশ্রয় হবে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে ১৯% প্রবৃদ্ধি যোগ হতে পারে।

 

দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপের তাগিদ

বিশাল এই প্রকল্প সফল করতে ভূমি অধিগ্রহণসহ জরুরি প্রশাসনিক অনুমোদন দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিলম্ব হলে প্রকল্প বাস্তবায়ন আরও পিছিয়ে যেতে পারে।

২০২৮ সালের মধ্যে যান চলাচলের লক্ষ্য

২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর একনেক প্রকল্পটির ডিপিপি অনুমোদন দেয়। ডিপিপি অনুযায়ী ২০২৮ সালের জুনে সেতুটি চালুর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে দরপ্রস্তাব অনুমোদন ও কার্যাদেশে দেরির কারণে সময়সীমা কিছুটা বাড়তে পারে। চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে ৩৬ মাসে নির্মাণ, পরের ১ বছর রক্ষণাবেক্ষণ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

সপরিবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তারেক রহমান

আড়িয়াল খাঁ নদে মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন রোববার

আপডেট সময় : ১১:৫৯:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে মুলাদী, হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ নির্বিঘ্ন করতে আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর মীরগঞ্জ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হচ্ছে আগামীকাল রোববার। পুরোপুরি দেশীয় অর্থায়নে নির্মিত এ সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফওজুল কবির খান ও নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন।

১ হাজার ৭২ কোটি টাকার প্রকল্প

দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ‘ক্যাবল স্টেইড এক্সট্রা ডোজ’ টাইপের সেতুর জন্য ১,০৭২ কোটি টাকা বরাদ্দ অনুমোদন পেয়েছে। দর মূল্যায়নে চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন (CRBC) নির্বাচিত হলেও চূড়ান্ত চুক্তি এখনো হয়নি। চলতি মাসেই চুক্তি স্বাক্ষর এবং জানুয়ারিতে নির্মাণ সরঞ্জাম আনার প্রস্তুতি চলছে।

 

আড়িয়াল খাঁতে তৃতীয় সেতু

মীরগঞ্জ সেতু হবে আড়িয়াল খাঁ নদে তৃতীয় সেতু। এর আগে শিবচর ও চাঁদপুর-শরিয়তপুর-মাদারীপুর মহাসড়কে দুটি সেতু রয়েছে। নতুন সেতুটি নির্মাণ হলে মুলাদী ও হিজলা উপজেলা সরাসরি জাতীয় সড়ক নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে। মেহেন্দিগঞ্জের সড়ক যোগাযোগও সহজ হবে।

অবকাঠামো ও সংযোগ সড়ক

সেতুর দৈর্ঘ্য ১,৪৮৪ মিটার, পিয়ার ৩০টি এবং ভায়াডাক্ট ৯৪০ মিটার। দুই প্রান্তে ৪.৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মিত হবে। নদীর ভাঙন রোধে ৪৬০ মিটার নদীতীর সুরক্ষায় ৯৬.৬১ কোটি টাকা এবং ভূমি অধিগ্রহণে ৯৩.৫৮ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় প্রকল্পে বিলম্বের আশঙ্কা রয়েছে।

যাতায়াত ও অর্থনৈতিক সুফল

বর্তমানে এই রুটে দৈনিক গড়ে ২,৫০০ যানবাহন চলাচল করে, যা প্রতিবছর ১০% হারে বাড়ছে। সেতু চালু হলে যাতায়াত সময় কমবে, বছরে ৪০ কোটি টাকা পরিবহন ব্যয় সাশ্রয় হবে এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে ১৯% প্রবৃদ্ধি যোগ হতে পারে।

 

দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপের তাগিদ

বিশাল এই প্রকল্প সফল করতে ভূমি অধিগ্রহণসহ জরুরি প্রশাসনিক অনুমোদন দ্রুত সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিলম্ব হলে প্রকল্প বাস্তবায়ন আরও পিছিয়ে যেতে পারে।

২০২৮ সালের মধ্যে যান চলাচলের লক্ষ্য

২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর একনেক প্রকল্পটির ডিপিপি অনুমোদন দেয়। ডিপিপি অনুযায়ী ২০২৮ সালের জুনে সেতুটি চালুর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তবে দরপ্রস্তাব অনুমোদন ও কার্যাদেশে দেরির কারণে সময়সীমা কিছুটা বাড়তে পারে। চুক্তি স্বাক্ষরের দিন থেকে ৩৬ মাসে নির্মাণ, পরের ১ বছর রক্ষণাবেক্ষণ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এমআর/সবা