* চলতি বছরের ১০ মাসে সারাদেশে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত ২১ হাজার ৭২৭টি
* এ বছরের প্রথম ৪ মাসে শীত মৌসুমে ১২ হাজার ২৫৯টি
* আগুনের থাবায় নিঃস্ব হয়েছে হাজরো পরিবার, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
‘শীত মৌসুমে দাহ্যবস্তু শুকিয়ে যায়। এতে প্রাকৃতিক শুষ্কতায় আগুনের মাত্রা বেড়ে যায়। বছরের শুরু থেকে ৪ মাস সারাদেশেই অগ্নিদুর্ঘটনা বেড়ে যায়। জনগণকে সচেতন হলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব’
মো. শাহজাহান শিকদার, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল), ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেড়েই চলছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। কখনও বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট, কখনও রান্না ঘরের লিকেজ গ্যাসের চুলা, সিগারেট, দিয়াশলাই, কখনও শুষ্ক দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ, কখনও ইলেকট্রিক সরঞ্জামাদি বা উৎপাদিত কারখানার বয়লার বিস্ফোরণ, আবার কখনও শত্রুতার জেরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। প্রতিবছরেই দেশের কোথাও না কোথাও আগুন লাগার খবর আসছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশনগুলোতে। আগুনের লেলিহান শিখায় কারও পুড়ছে শিল্প প্রতিষ্ঠান, বসতভিটা, দোকানপাট আর কারও পুড়ছে সাজানো সংসারের স্বপ্ন। আগুনের ভয়াল থাবায় নিঃস্ব হচ্ছে হাজার হাজার পরিবার। পুড়ে ছাই হয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হচ্ছে মূল্যবান সম্পদ। এতে ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে ব্যাপক। তবে বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শতি মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিদুর্ঘটনা বেশি সংঘটিত হয়। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটছে না। আগুনের নজর বেশি শীত মৌসুমের দিকেই!। চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ২১ হাজার ৭২৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ বছরের প্রথম ৪ মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ১২ হাজার ২৫৯টি অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটে। আগুনের ভয়াল থাবায় জনমনে আতঙ্ক বাড়ছেই। জনসচেতনতার অভাবে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষের অব্যাহত অগ্নির্বিাপক মহড়ায়ও তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার বলছেন, শীত মৌসুমে দাহ্যবস্তু শুকিয়ে যায়। এতে প্রাকৃতিক শুষ্কতায় আগুনের মাত্রা বেড়ে যায়। বছরের শুরু থেকে ৪ মাস সারাদেশেই অগ্নিদুর্ঘটনা বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে জনগণ সর্বোচ্চ সতর্ক ও সচেতন হলে এবং অগ্নিপ্রতিরোধে জরুরি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের নতুন পালপাড়া এলাকার সমীর কর মার্কেটের হোসিয়ারি ও বডি নিটিংয়ের অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। আগুনের রেলিহান শিখায় মালামালসহ মার্কেটের ৩৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভায়।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরিফিন দৈনিক সবুজ বাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আজ শনিবার (৬ডিসেম্বর) ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে ওই মার্কেটের সেমিপাকা ৩৫টি দোকান পুড়ে গেছে। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে পরে বলা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত ১৮ অক্টোবর দুপুর ২টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের আমদানি শাখার কার্গো ভিলেজ এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়লে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে সব ফ্লাইট স্থগিত করা হয়, যা রাত ৯টা থেকে আবার চালু হয়। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওইদিন বেশকিছু ফ্লাইট সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার বিমানবন্দরে এবং কিছু ফ্লাইট ভারতের কলকাতায় উঠানামা করে। তবে ওইদিন রাত ৯টার পর দুবাই থেকে আসা একটি ফ্লাইট শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ভয়াবহ এ আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট অংশগ্রহণ করে। একই সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী ফায়ার ইউনিটও কাজ করেছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার ফাইটার ও আনসার সদস্যসহ অন্তত ২৭ থেকে ৩০ জন আহত হন। আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই হয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় কার্গো ভিলেজ। টানা ২৮ ঘন্টা পর পরদিন রাতে অগ্নিনির্বাপনে সক্ষম হয় ফায়ার ফাইটাররা। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও দায়ীদের চিহ্নিত করে সুপারিশ প্রদান করতে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পাঁচ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এনবিআর। এদিকে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এর পেছনে নাশকতা থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল অন্তর্র্বর্তী সরকার। তবে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকেই শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি শাখার কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটে।
বেবিচক ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, প্রতি দুই বছর অন্তর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজন করা হয় অগ্নিনিরাপত্তা মহড়া। কখনও ডামি বিমানে আগুন লাগিয়ে, কখনো হাইজ্যাক বা বোমা হামলার দৃশ্যকল্প সাজিয়ে পরীক্ষা করা হয় বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত সক্ষমতা। কাগজে-কলমে সেই মহড়ায় নির্ধারিত সময়েই ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ‘সফলভাবে’ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু কার্গো ভিলেজে লাগা ভয়াবহ ‘আসল’ আগুন সেই মহড়ার কার্যকারিতা বা সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

এদিকে গত ১৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাতেই আগুনের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ১৩টি। এসব আগুনে কেউ হতাহত না হলেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। গত ২৫ নভেম্বর রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে পুড়ে গেছে বস্তির প্রায় দেড় হাজার ঘর। সব হারিয়ে নিঃস্ব এসব ঘরের বাসিন্দারা। এই আগুনের রেশ কাটতে না কাটতেই ২৬ নভেম্বর আগুন লাগে শাহবাগের বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ব্লক-এ’র চতুর্থ তলায়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ২৭ নভেম্বর রাতে রাজধানীর মগবাজারের দিলু রোডের একটি আটতলা আবাসিক ভবন ও তেজগাঁওয়ের কারওয়ান বাজার রেলগেট এলাকার ঝুপড়িঘরে পৃথক আগুনের ঘটনা ঘটে। দ্রুত পদক্ষেপে দুটি ঘটনাই নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে সচিবালয়ের নতুন ১ নম্বর ২০ তলা ভবনের ৯ তলায় বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুন লাগে। এরপর ১ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানীতে দুটি আগুনের ঘটনা ঘটে। ওইদিন মোহাম্মদপুরের জহুরী মহল্লায় একটি ছয়তলা ভবনের ষষ্ঠতলায় আগুন লাগে। একই দিন পুরান ঢাকার চকবাজারের রহমতগঞ্জে পাশাপাশি দুটি ভবনে আগুন লাগে। এছাড়া, উল্লিখিত ১৩ দিনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের টিনশেড রান্নাঘর, পুরানা পল্টনের সেগুনবাগিচায় একটি কমার্শিয়াল ১০ তলা ভবনের নবম তলায় এবং গুলিস্তানের হোটেল রমনার পাশের মার্কেটে আগুনের ঘটনা ঘটে।
একের পর এক এসব আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে আগমনী শীত মৌসুমে। এর আগেও শীতকালে আগুনের ঘটনা বেশি ঘটতে দেখা গেছে। তাই অনেকের মনেই প্রশ্ন, কেন শীতকালে আগুনের ঘটনা বেড়ে যায়? আগুনের নজর কী শীত মৌসুমের দিকেই?
ফায়ার সার্ভিসও বলছে, বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীত মৌসুমে অগ্নিদুর্ঘটনা বেশি হয়। সংস্থাটি জানায়, শীতে বাতাসে জলকণা কম থাকে। যে কারণে ফায়ার জেনারেটিং ফিল্ড তৈরি হয়। ঠান্ডা ও কুয়াশা আগুন প্রতিরোধে কাজ করে না উল্লেখ করে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে সুইচবোর্ড ও এসির সংযোগস্থলে লুজ থাকায় শর্ট সার্কিট ঘটে। কাজ শেষে মাল্টিপ্লাগের সুইচ অফ না করলেও ভোল্টেজের লোডের কারণে অনেক সময় সেটা উত্তপ্ত হয়ে আগুন ধরে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ২১ হাজার ৭২৭টি। এর মধ্যে প্রথম চার মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত আগুন লেগেছে ১২ হাজার ২৫৯টি। বছরের শুরুর দিকটা দেশে শীতের মৌসুম। সেই হিসাবে, বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীত মৌসুম এলেই আগুন বেড়ে যায় বলে পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে।
সংস্থাটির তথ্য বলছে, ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে সারা দেশে আগুনের ঘটনা ঘটেছে ২৬ হাজার ৬৫৯টি। ওই বছর ডিসেম্বর থেকে মার্চ এই ৪ মাসে আগুনের ঘটনা বেশি ঘটেছে। ২০২৩ সালে সারা দেশে আগুনের ঘটনা ঘটেছিল ২৭ হাজার ৬২৪টি। ২০২২ সালে ২৪ হাজার ১০২টি, ২০২১ সালে ২১ হাজার ৬০১টি, ২০২০ সালে ২১ হাজার ৭৩টি, ২০১৯ সালে ২৪ হাজার ৭৪টি ও ২০১৮ সালে ছিল ১৯ হাজার ৬৪২টি। তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের পর প্রতিবছর তিন হাজারের বেশি দুর্ঘটনা বেড়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের মাসভিত্তিক হিসাব পর্যালেচনা করে দেখা যায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে ২৫১৪টি। ফেব্রুয়ারিতে ২৭৩৭টি, মার্চে ৩৪২১টি, এপ্রিলে ৩৪২৬টি, মে মাসে ২৬৮৬টি, জুনে ১৭৫২টি, জুলাইয়ে ১৪২৭টি, আগস্টে ২১৬৩টি, সেপ্টেম্বরে ১৫৮২টি, অক্টোবরে ১২৯৯টি, নভেম্বরে ১৬১৮টি ও ডিসেম্বরে ২০৩৪টি অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডিসেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত আগুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। আর জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ কমে আসে।
২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৩ বছরের তথ্যে দেখা যায়, ডিসেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত ৭ মাসে আগুন লাগে ৫২ হাজার ৭৫৩টি। যেখানে বাকি ৫ মাসে আগুনের ঘটনা অর্ধেকেরও কম, অর্থাৎ ২০ হাজার ৫৩৪টি।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টাফ অফিসার ও মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার দৈনিক সবুজ বাংলাকে বলেন, দেশে সাধারণত ডিসেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত এই ৪ মাসে অগ্নিদুর্ঘটনা বেশি ঘটে। শীত মৌসুমে সব ধরনের দাহ্যবস্তু শুকিয়ে যায়। এই প্রাকৃতিক শুষ্কতা আগুন লাগার পরিবেশ তৈরি করে। এছাড়া শীতের সময় চুলা জ্বালিয়ে রাখা, মশার কয়েল ব্যবহার, লাকড়ি জ্বালিয়ে আগুন পোহানো, ধূমপান করাসহ নানা কারণে আগুন বেশি লাগে। ফলে শীতসহ অন্তত ৪ মাস অধিক সতর্ক ও সাবধান থাকলে এবং অগ্নিনির্বাপনের প্রয়োজনীয় উপকরণ সামনে থাকলে আগুনের ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে বা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, এ জন্য শীতের শুরুতে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে গণসংযোগ, মহড়া, সার্ভে, পরিদর্শন, স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি ও জনসচেতনতা গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা ইত্যাদি কর্মসূচি অধিক হারে পালন করা হয়। একই সঙ্গে দেশের সব মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীকে সতর্কতামূলক বার্তা পাঠানো হয়ে থাকে বলেও জানান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টাফ অফিসার ও মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার।
এমআর/সবা























