সুদানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মধ্যে ছিলেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার মো. সবুজ মিয়া। তিনি মহদিপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভগবানপুর) গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান ও ছকিনা বেগমের ছেলে।
নিহত সবুজ মিয়া ২০১০ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে তিনি নাটোর জেলায় বিয়ে করেছেন। এই মুহূর্তে তার মা, স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সবুজ মিয়ার মা শাকিনা বেগম বলেন, “একটাই ছল হামার, তাকেও মারি ফেলল। তাড়াতাড়ি ছেলের লাশ ফেরত চাই।” নিহতের স্ত্রী নূপুর আক্তার আর্তনাদ করে বলেন, “বিয়ের মাত্র এক বছর আট মাস, তাতেই স্বামীকে হারালাম। আমার জীবনটাই শেষ হয়ে গেছে। লাশ ফেরত চাই।”
পলাশবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহমেদ জানান, নিহত সবুজ মিয়া ও অন্যান্য শান্তিরক্ষীদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর শনিবার স্থানীয় সময় ৩টা ৪০ থেকে ৩টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সুদানের আবেই অঞ্চলের কাদুগলি লজিস্টিক বেসে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী ড্রোন হামলা চালায়। এতে দায়িত্ব পালনরত ছয়জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত এবং আরও আটজন আহত হন।























