০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এস আলমের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

জনতা ব্যাংকের প্রায় দুই হাজার ৩২ কোটি টাকা ঋণে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল আলমসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক।

এজাহারে বলা হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের জন্য ঋণ অনুমোদন, নবায়ন ও বর্ধিতকরণের ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা ব্যাংকের শীর্ষ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেন।

মামলায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল আলম, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ হাসান, এস আলম গ্রুপভুক্ত একাধিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এবং জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান, পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও উপ-মহাব্যবস্থাপকদের আসামি করা হয়েছে।

এজাহার অনুযায়ী, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়াই সীমাতিরিক্ত ঋণ সৃষ্টি, মেয়াদোত্তীর্ণ দায় থাকা সত্ত্বেও এলসি খোলা, পর্যাপ্ত জামানত ও পরিচালকদের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি না নেওয়া, পিএডি দায় সমন্বয়ের সময় কমিশন আদায় না করা এবং পুনঃঅর্থায়নের ক্ষেত্রে প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন না নেওয়াসহ একাধিক বিধি লঙ্ঘন করা হয়।

একইসঙ্গে মর্টগেজকৃত সম্পত্তির মূল্য অতিরঞ্জিত দেখিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় কম জামানত নেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।

দুদকের অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, এস আলম গ্রুপভুক্ত গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন, এস আলম ট্রেডিং কো. ও সোনালী ট্রেডার্সে মোট ৪৪টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়। পাশাপাশি নিজস্ব ও গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে এলসি খুলে অর্থ রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

দুদক জানায়, জনতা ব্যাংকের ক্রেডিট কমিটি ও পরিচালনা পর্ষদ পর্যাপ্ত যাচাই-বাছাই ছাড়াই ঋণ নবায়ন ও বর্ধিতকরণ অনুমোদন দেয়, যা আত্মসাতের সুযোগ সৃষ্টি করে।

এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ধারা অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

এস আলমের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

জনতা ব্যাংকের প্রায় দুই হাজার ৩২ কোটি টাকা ঋণে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল আলমসহ ৩৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ বুধবার দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক।

এজাহারে বলা হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের জন্য ঋণ অনুমোদন, নবায়ন ও বর্ধিতকরণের ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা ব্যাংকের শীর্ষ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেন।

মামলায় এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাইফুল আলম, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ হাসান, এস আলম গ্রুপভুক্ত একাধিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এবং জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান, পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক ও উপ-মহাব্যবস্থাপকদের আসামি করা হয়েছে।

এজাহার অনুযায়ী, পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ছাড়াই সীমাতিরিক্ত ঋণ সৃষ্টি, মেয়াদোত্তীর্ণ দায় থাকা সত্ত্বেও এলসি খোলা, পর্যাপ্ত জামানত ও পরিচালকদের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি না নেওয়া, পিএডি দায় সমন্বয়ের সময় কমিশন আদায় না করা এবং পুনঃঅর্থায়নের ক্ষেত্রে প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন না নেওয়াসহ একাধিক বিধি লঙ্ঘন করা হয়।

একইসঙ্গে মর্টগেজকৃত সম্পত্তির মূল্য অতিরঞ্জিত দেখিয়ে প্রয়োজনের তুলনায় কম জামানত নেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।

দুদকের অনুসন্ধানে আরও উঠে এসেছে, এস আলম গ্রুপভুক্ত গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশন, এস আলম ট্রেডিং কো. ও সোনালী ট্রেডার্সে মোট ৪৪টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়। পাশাপাশি নিজস্ব ও গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে এলসি খুলে অর্থ রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

দুদক জানায়, জনতা ব্যাংকের ক্রেডিট কমিটি ও পরিচালনা পর্ষদ পর্যাপ্ত যাচাই-বাছাই ছাড়াই ঋণ নবায়ন ও বর্ধিতকরণ অনুমোদন দেয়, যা আত্মসাতের সুযোগ সৃষ্টি করে।

এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০ ও ১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ধারা অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে।

এমআর/সবা