০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনল ডিএনসিসি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা চালু করেছে। প্রথম দফায় ২ হাজার ৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হয়েছে।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের নগরভবনে স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এবিএম শামসুল আলম।

এ সময় প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, আমি মনে করি সব সরকারি-বেসরকারি অফিসে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা থাকা উচিত। সরকারি দপ্তর হিসেবে আমাদের কর্মীদের স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনতে পেরে আমরা গর্বিত।

ডিএনসিসি প্রশাসক আরও বলেন, ঢাকার আয়তন ও জনসংখ্যা বাড়লেও সে তুলনায় আমাদের কর্মী সংখ্যা খুবই কম। আমরা জনবল নিয়োগের পাশাপাশি বিদ্যমান কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ পরিবেশে কাজ করেন। তাই তাদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও জানান, ডিএনসিসির নিয়মিত কর্মীদের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের আরও ৫ হাজার কর্মী এবং মশকনিধন কর্মীদেরও পর্যায়ক্রমে এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে কমডোর এবিএম সামসুল আলম বলেন, গত এক বছরে ডিএনসিসির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন উদ্যোগগুলোর একটি হলো এই স্বাস্থ্যবিমা কার্যক্রম। প্রশাসকের নির্দেশনায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনতে ডিএনসিসি ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে।

স্বাস্থ্যবিমা কার্যক্রমের আওতায় উপকারভোগীরা রাজধানীর ৪০০টির বেশি বেসরকারি ক্লিনিকে অর্ধেক খরচে (৫০% ডিসকাউন্টে) চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। এ ছাড়া অসুস্থ হলে বিশেষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা পাবেন। কোনো স্বাস্থ্যকর্মী মৃত্যুবরণ করলে এককালীন ৩০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।

স্বাস্থ্যবিমার বার্ষিক প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২০০ টাকা। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে এক হাজার জনের বীমা প্রিমিয়াম বহন করছে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও রেকিট বাংলাদেশ (হারপিক), আর ১ হাজার ৪৬৭ জনের বীমা ব্যয় দিচ্ছে ডিএনসিসি। চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের সহযোগিতায় বিমা সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠান শেষে উপকারভোগী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবিমা কার্ড তুলে দেওয়া হয়।

এমআর/সবা

জনপ্রিয় সংবাদ

২৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনল ডিএনসিসি

আপডেট সময় : ০৬:৪৮:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা চালু করেছে। প্রথম দফায় ২ হাজার ৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হয়েছে।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের নগরভবনে স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এবিএম শামসুল আলম।

এ সময় প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, আমি মনে করি সব সরকারি-বেসরকারি অফিসে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা থাকা উচিত। সরকারি দপ্তর হিসেবে আমাদের কর্মীদের স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনতে পেরে আমরা গর্বিত।

ডিএনসিসি প্রশাসক আরও বলেন, ঢাকার আয়তন ও জনসংখ্যা বাড়লেও সে তুলনায় আমাদের কর্মী সংখ্যা খুবই কম। আমরা জনবল নিয়োগের পাশাপাশি বিদ্যমান কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিরাপদ পরিবেশে কাজ করেন। তাই তাদের সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও জানান, ডিএনসিসির নিয়মিত কর্মীদের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের আরও ৫ হাজার কর্মী এবং মশকনিধন কর্মীদেরও পর্যায়ক্রমে এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে কমডোর এবিএম সামসুল আলম বলেন, গত এক বছরে ডিএনসিসির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন উদ্যোগগুলোর একটি হলো এই স্বাস্থ্যবিমা কার্যক্রম। প্রশাসকের নির্দেশনায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনতে ডিএনসিসি ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে।

স্বাস্থ্যবিমা কার্যক্রমের আওতায় উপকারভোগীরা রাজধানীর ৪০০টির বেশি বেসরকারি ক্লিনিকে অর্ধেক খরচে (৫০% ডিসকাউন্টে) চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। এ ছাড়া অসুস্থ হলে বিশেষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা পাবেন। কোনো স্বাস্থ্যকর্মী মৃত্যুবরণ করলে এককালীন ৩০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে।

স্বাস্থ্যবিমার বার্ষিক প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২০০ টাকা। এ কার্যক্রম বাস্তবায়নে এক হাজার জনের বীমা প্রিমিয়াম বহন করছে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও রেকিট বাংলাদেশ (হারপিক), আর ১ হাজার ৪৬৭ জনের বীমা ব্যয় দিচ্ছে ডিএনসিসি। চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের সহযোগিতায় বিমা সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠান শেষে উপকারভোগী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবিমা কার্ড তুলে দেওয়া হয়।

এমআর/সবা