০৩:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নরসিংদীতে নান্দনিক অক্ষয় ধাম মন্দির দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ,নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর রায়পুরায় দৃষ্টি নন্দন মন্দির অক্ষয় ধাম দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে এসে দর্শনার্থীদের ভিড়। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িপড়া গ্রামের দৃষ্টি নন্দন অক্ষয় ধাম মন্দিরে গিয়ে দর্শনার্থীদের এমন ভিড় দেখা যায়। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার দিকটা মাথায় রেখে দৃষ্টি নন্দন অক্ষয় ধাম ওই মন্দিরটিকে সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রিত করেছেন কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের ওপরের অংশে কষ্টিপাথরে তৈরি দৃষ্টি নন্দিত মন্দিরটিতে রয়েছে মহাদেবর মূর্তি। মুন্দিরটির দুই পাশে কষ্টি পাথরের শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধাকৃষ্ণের মূর্তিও রয়েছে। এছাড়া এক পাশে রাধা ও স্বর্গীয় মহীন্দ্র চন্দ্র পাল ও সুরুচি বালা পালের ফলকও রয়েছে।তাছাড়া দৃষ্টি নন্দন ঝর্না ও বিভিন্ন রঙ- বেরঙের বাতিসহ চার দিকে দিকে নানান প্রকার ফুলের বাগানও আছে এখানে।
মন্দির কমিটি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার অজপাড়া গাঁয়ে স্বর্গীয় মনীন্দ্র চন্দ্র পাল পৈত্রিক ভিটেতে পূর্বপুরুষদের স্মৃতি
রক্ষার্থে তার-ই দুই ছেলে মার্কেলটাইন্স ব্যাংকের সিএফও ড. তাপস চন্দ্র পাল ও অভিষেক চন্দ্র পালের সহযোগিতাতায় বৈদেশিক মন্দিরের বিভিন্ন অংশ থেকে সংগৃহীত কারুকার্যে কচিত এক বছরের কর্মযজ্ঞে স্থাপন করা হয় এই দৃষ্টিনন্দিত মন্দির অক্ষয় ধাম। বাড়তি আকর্ষণ নিয়ে সাজানো মন্দিরটিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থাকছে শিশু-বৃদ্ধ থেকে শুরু বরে সকল বয়সী নারী-পুরুষ।
প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে আগত বিভিন্ন ভক্ত ও অনুসারীদের আগমনে মুখরিত হয় এই মন্দিরটি। মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে যেন দম ফেলার সুযোগ হয় না কর্তৃপক্ষের।
মন্দিরের প্রতিমার সামনে প্রার্থনা করছেন পুণ্যার্থীরা। মনের বাসনা পূরণের আঙ্কক্ষায় দেব-দেবীকে প্রণাম করছেন ভক্তবৃন্দরা। এখানে আগত ভক্তরা বিশ্বাস করেন এই মন্দিরে পূজা করলে অশুভ শক্তির অবসান ঘটে। পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ সমাজে মানুষকে সমৃদ্ধ করবে এ মন্দির। ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার এই উৎসবে শামিল হয়েছেন অন্য ধর্মে বিশ্বাসী মানুষজনও। এখানে আগত মনি পাল, সঞ্জয় পাল, কাকলী বিশ্বাস ও স্বপন বিশ্বাসসহ একাধিক ভক্তের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, এ পূজায় পরিবারের ছোট ভাই-বোনদের নিয়ে অনেকগুলো মণ্ডপ ঘুরেছি।
অনেকের মুখে শুনে অক্ষয় ধাম মন্দির ও পূজামণ্ডপের কথা শুনে নিয়ে এসেছি। এটা দেখার আগ্রহ থেকেই দড়ি পাড়া এলাকায় এসেছি। দৃষ্টি নন্দিত অক্ষয় ধাম মন্দিরটি দর্শনার্থীদের ব্যতিক্রম কিছু নজর কেড়েছে, দেখে ভালো লেগেছে। এছাড়াও শুনেছি, এখানে প্রার্থনা করলে মনের বাসনা পূরণ হয়।
তারা আরও বলেন, এ ধরণের ব্যতিক্রমধর্মী মন্দির ও মণ্ডপ পূজারিদের পাশাপাশি সাধারণ দর্শনার্থীদেরও আকৃষ্ট করছে। মন্দির স্থাপত্যের শৈল্পিক অভিষেক চন্দ্র পাল বলেন, বাপ-দাদাসহ পূর্বপুরুষের স্মৃতি রক্ষার্থে বড় দাদা ড.তাপস চন্দ্র পালের সহযোগিতায় বিভিন্ন দেশের দৃষ্টি নন্দিত মন্দিরের চিত্র নেটে দেখে দেখে পূরোনো মন্দিরের বর্ধিত অংশে বিভিন্ন অংশ সংযোজন বিযোজন করে দক্ষ কারিগরের সহযোগিতায় নিজেরাই তৈরি করেছেন এই মন্দির। মন্দিরে পাশে অতিথি শালাও রয়েছে।এ মন্দিরটি তৈরিতে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে১৫ জন শ্রমিক কাজ করার মাধ্যমে এক বছর সময় লেগেছে। এ মন্দিরটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ৯০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা। মন্দিরটি পরিপূর্ণ কাজ শেষ এবং সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এখনো কাজ করে যাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সামান্তা শারমিনের নতুন বার্তা

নরসিংদীতে নান্দনিক অক্ষয় ধাম মন্দির দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়

আপডেট সময় : ১০:০৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ,নরসিংদী প্রতিনিধি

নরসিংদীর রায়পুরায় দৃষ্টি নন্দন মন্দির অক্ষয় ধাম দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে এসে দর্শনার্থীদের ভিড়। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের দড়িপড়া গ্রামের দৃষ্টি নন্দন অক্ষয় ধাম মন্দিরে গিয়ে দর্শনার্থীদের এমন ভিড় দেখা যায়। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার দিকটা মাথায় রেখে দৃষ্টি নন্দন অক্ষয় ধাম ওই মন্দিরটিকে সিসি ক্যামেরায় নিয়ন্ত্রিত করেছেন কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের ওপরের অংশে কষ্টিপাথরে তৈরি দৃষ্টি নন্দিত মন্দিরটিতে রয়েছে মহাদেবর মূর্তি। মুন্দিরটির দুই পাশে কষ্টি পাথরের শ্রীকৃষ্ণ এবং রাধাকৃষ্ণের মূর্তিও রয়েছে। এছাড়া এক পাশে রাধা ও স্বর্গীয় মহীন্দ্র চন্দ্র পাল ও সুরুচি বালা পালের ফলকও রয়েছে।তাছাড়া দৃষ্টি নন্দন ঝর্না ও বিভিন্ন রঙ- বেরঙের বাতিসহ চার দিকে দিকে নানান প্রকার ফুলের বাগানও আছে এখানে।
মন্দির কমিটি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার অজপাড়া গাঁয়ে স্বর্গীয় মনীন্দ্র চন্দ্র পাল পৈত্রিক ভিটেতে পূর্বপুরুষদের স্মৃতি
রক্ষার্থে তার-ই দুই ছেলে মার্কেলটাইন্স ব্যাংকের সিএফও ড. তাপস চন্দ্র পাল ও অভিষেক চন্দ্র পালের সহযোগিতাতায় বৈদেশিক মন্দিরের বিভিন্ন অংশ থেকে সংগৃহীত কারুকার্যে কচিত এক বছরের কর্মযজ্ঞে স্থাপন করা হয় এই দৃষ্টিনন্দিত মন্দির অক্ষয় ধাম। বাড়তি আকর্ষণ নিয়ে সাজানো মন্দিরটিতে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত থাকছে শিশু-বৃদ্ধ থেকে শুরু বরে সকল বয়সী নারী-পুরুষ।
প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে আগত বিভিন্ন ভক্ত ও অনুসারীদের আগমনে মুখরিত হয় এই মন্দিরটি। মানুষের উপচে পড়া ভিড়ে যেন দম ফেলার সুযোগ হয় না কর্তৃপক্ষের।
মন্দিরের প্রতিমার সামনে প্রার্থনা করছেন পুণ্যার্থীরা। মনের বাসনা পূরণের আঙ্কক্ষায় দেব-দেবীকে প্রণাম করছেন ভক্তবৃন্দরা। এখানে আগত ভক্তরা বিশ্বাস করেন এই মন্দিরে পূজা করলে অশুভ শক্তির অবসান ঘটে। পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ সমাজে মানুষকে সমৃদ্ধ করবে এ মন্দির। ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার এই উৎসবে শামিল হয়েছেন অন্য ধর্মে বিশ্বাসী মানুষজনও। এখানে আগত মনি পাল, সঞ্জয় পাল, কাকলী বিশ্বাস ও স্বপন বিশ্বাসসহ একাধিক ভক্তের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, এ পূজায় পরিবারের ছোট ভাই-বোনদের নিয়ে অনেকগুলো মণ্ডপ ঘুরেছি।
অনেকের মুখে শুনে অক্ষয় ধাম মন্দির ও পূজামণ্ডপের কথা শুনে নিয়ে এসেছি। এটা দেখার আগ্রহ থেকেই দড়ি পাড়া এলাকায় এসেছি। দৃষ্টি নন্দিত অক্ষয় ধাম মন্দিরটি দর্শনার্থীদের ব্যতিক্রম কিছু নজর কেড়েছে, দেখে ভালো লেগেছে। এছাড়াও শুনেছি, এখানে প্রার্থনা করলে মনের বাসনা পূরণ হয়।
তারা আরও বলেন, এ ধরণের ব্যতিক্রমধর্মী মন্দির ও মণ্ডপ পূজারিদের পাশাপাশি সাধারণ দর্শনার্থীদেরও আকৃষ্ট করছে। মন্দির স্থাপত্যের শৈল্পিক অভিষেক চন্দ্র পাল বলেন, বাপ-দাদাসহ পূর্বপুরুষের স্মৃতি রক্ষার্থে বড় দাদা ড.তাপস চন্দ্র পালের সহযোগিতায় বিভিন্ন দেশের দৃষ্টি নন্দিত মন্দিরের চিত্র নেটে দেখে দেখে পূরোনো মন্দিরের বর্ধিত অংশে বিভিন্ন অংশ সংযোজন বিযোজন করে দক্ষ কারিগরের সহযোগিতায় নিজেরাই তৈরি করেছেন এই মন্দির। মন্দিরে পাশে অতিথি শালাও রয়েছে।এ মন্দিরটি তৈরিতে প্রতিদিন গড়ে ১০ থেকে১৫ জন শ্রমিক কাজ করার মাধ্যমে এক বছর সময় লেগেছে। এ মন্দিরটি তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ৯০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা। মন্দিরটি পরিপূর্ণ কাজ শেষ এবং সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এখনো কাজ করে যাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।