০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিলমারীতে সরকারের দেয়া ভবন পেয়ে পাল্টে গেছে প্রাথমিকের শিক্ষা ব্যবস্থা

  • সবুজ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০২:১৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩
  • 102
সরকারের দেয়া ভবন পেয়ে পাল্টে গেছে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার প্রাথমিকের শিক্ষা ব্যবস্থা। একসময় ভাঙা টিনসেটের ঘরে যেসব প্রতিষ্ঠানে পাটদান চলত, ভবন পেয়ে এখন সেইসব প্রতিষ্ঠান গুলোর পড়ালেখার মান ও পরিবেশ পাল্টে গেছে। উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের নালারপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে একসময় ভাঙা জড়াজীর্ণ টিনসেট ঘরে পাটদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। ভবণ না থাকায় ওই এলাকার অনেক শিশুই স্কুলে আসতে বিমূখী ছিলেন। সম্প্রতি বর্তমান সরকারের দেয়া একটি ভবণ পেয়ে পুরো স্কুলের চিত্র পরিবর্তন হয়েছে। ফিরে পেয়েছে পড়ালেখার গুনগত পরিবেশ। তুলনামুলকভাবে বেড়েছে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির সংখ্যা।
এ উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ণ কর্মসূচী পিইডিপি-৪ এর আওতায় ৩৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নালারপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালযয়ে ১ কোটি ১৪ লক্ষ ১হাজার ৮১৬ টাকা (প্রাক্কলিত মূল্য) ব্যয়ে একটি ভবন নিমাণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০২ সালে স্থাপিত হয় এরপর ২০১৪ সালের জানুয়ারীতে সরকারীকরণ হয়। বিদ্যালয়ে বর্তমানে শতাধিক শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।
 শিক্ষার্থী ৫ম শ্রেণীর  রোকাইয়া, মাহিম,৩য় শ্রেণীর তাসিমীম আশুরা সহ অনেকে বলেন ,আমার স্কুল এক সময় খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে ছিলো । সামন্য বৃষ্টিতেই পানি ক্লাস রুমে কাদাঁ লেগে থাকতো। তাছাড়া বেঞ্চ গুলো ভাঙ্গা ছিলো বসতে পারতাম না। এখন নতুন ভবন পেয়ে আমরা খুব খুশি অত্যন্ত সাচ্ছন্দ ভাবে পড়ালেখা করতে পারছি।
প্রধান শিক্ষক মো. আবু তাহের জানান, বিদ্যালয়টি প্রথম অবস্থায় চালা ঘর ছিলো। এরপর ২০০৯ সালে একটি টিনসেট ঘর তুলে জড়াজীর্ণভাবে পাঠদান কার্যক্রম চলছিল। পরে আমাদের স্কুলটি জাতীয়করণ করা হয়। তবে ভবন না থাকায় রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছি। সবশেষ বর্তমান সরকার আমাদের স্কুল ভবন রবাদ্দ দেন। এখন আমাদের পড়ালেখার জন্য মানসম্মত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি এখন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা বাড়ছে। তাই বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলকেই ধন্যবাদ জানাই ।
চিলমারী উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোঃ ফিরোজুর রহমান বলেন,২০২১-২২অর্থ বছরের চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ণ কর্মসূচী পিইডিপি-৪ এর আওতায় ৩৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন আমাদের এলজিইডির তত্বাবধায়নে করা হয়েছে। কাজে কোন ধরনের ত্রুটি হয়নি প্রতিটা ভবনের কাজ খুব ভালো করে করা হয়েছে।
জনপ্রিয় সংবাদ

চিলমারীতে সরকারের দেয়া ভবন পেয়ে পাল্টে গেছে প্রাথমিকের শিক্ষা ব্যবস্থা

আপডেট সময় : ০২:১৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ নভেম্বর ২০২৩
সরকারের দেয়া ভবন পেয়ে পাল্টে গেছে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার প্রাথমিকের শিক্ষা ব্যবস্থা। একসময় ভাঙা টিনসেটের ঘরে যেসব প্রতিষ্ঠানে পাটদান চলত, ভবন পেয়ে এখন সেইসব প্রতিষ্ঠান গুলোর পড়ালেখার মান ও পরিবেশ পাল্টে গেছে। উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের নালারপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে একসময় ভাঙা জড়াজীর্ণ টিনসেট ঘরে পাটদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। ভবণ না থাকায় ওই এলাকার অনেক শিশুই স্কুলে আসতে বিমূখী ছিলেন। সম্প্রতি বর্তমান সরকারের দেয়া একটি ভবণ পেয়ে পুরো স্কুলের চিত্র পরিবর্তন হয়েছে। ফিরে পেয়েছে পড়ালেখার গুনগত পরিবেশ। তুলনামুলকভাবে বেড়েছে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির সংখ্যা।
এ উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থ বছরে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ণ কর্মসূচী পিইডিপি-৪ এর আওতায় ৩৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নালারপাড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালযয়ে ১ কোটি ১৪ লক্ষ ১হাজার ৮১৬ টাকা (প্রাক্কলিত মূল্য) ব্যয়ে একটি ভবন নিমাণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ২০০২ সালে স্থাপিত হয় এরপর ২০১৪ সালের জানুয়ারীতে সরকারীকরণ হয়। বিদ্যালয়ে বর্তমানে শতাধিক শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।
 শিক্ষার্থী ৫ম শ্রেণীর  রোকাইয়া, মাহিম,৩য় শ্রেণীর তাসিমীম আশুরা সহ অনেকে বলেন ,আমার স্কুল এক সময় খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে ছিলো । সামন্য বৃষ্টিতেই পানি ক্লাস রুমে কাদাঁ লেগে থাকতো। তাছাড়া বেঞ্চ গুলো ভাঙ্গা ছিলো বসতে পারতাম না। এখন নতুন ভবন পেয়ে আমরা খুব খুশি অত্যন্ত সাচ্ছন্দ ভাবে পড়ালেখা করতে পারছি।
প্রধান শিক্ষক মো. আবু তাহের জানান, বিদ্যালয়টি প্রথম অবস্থায় চালা ঘর ছিলো। এরপর ২০০৯ সালে একটি টিনসেট ঘর তুলে জড়াজীর্ণভাবে পাঠদান কার্যক্রম চলছিল। পরে আমাদের স্কুলটি জাতীয়করণ করা হয়। তবে ভবন না থাকায় রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছি। সবশেষ বর্তমান সরকার আমাদের স্কুল ভবন রবাদ্দ দেন। এখন আমাদের পড়ালেখার জন্য মানসম্মত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি এখন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা বাড়ছে। তাই বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলকেই ধন্যবাদ জানাই ।
চিলমারী উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা মোঃ ফিরোজুর রহমান বলেন,২০২১-২২অর্থ বছরের চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ণ কর্মসূচী পিইডিপি-৪ এর আওতায় ৩৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন আমাদের এলজিইডির তত্বাবধায়নে করা হয়েছে। কাজে কোন ধরনের ত্রুটি হয়নি প্রতিটা ভবনের কাজ খুব ভালো করে করা হয়েছে।