ভোলা সরকারি কলেজে শব্দ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ও শিক্ষার্থীদের করনীয় বিষয় নিয়ে সচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার( ৮ নভেম্বর) দুপুরে ভোলা সরকারি কলেজের হল রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। শব্দ দূষণে নিয়ন্ত্রনে সম্বনিত ও অশীদারিত্বমূলক প্রকল্প এর আওতায় পরিবেশ অধিদপ্তর ভোলা জেলা কার্যালয় এই শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনমূলক এই প্রশিক্ষনের আয়োজনে করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল গফুর। এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- ইতিহাস বিভাগের প্রধান প্রফেসার অমিত পার্থ দাশ, ভূগল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: মাহাবুব আলম, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জামাল উদ্দিন,ভোলা সদর হাসপাতালের জুনিয়ার কনসালটেন্ট ডা: ইমতিয়াজ বেলাল।অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিবশে অধিদপ্তর ভোলা এর সহকারী পরিচালক মো: তোতা মিয়া। প্রশিক্ষনে কলেজের কয়েক শতাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নেয়।
এসময় বক্তারা বলেন, শব্দদূষণ শিক্ষার্থীদের মেধার পরিপূর্ণ বিকাশের পথে বাধার সৃষ্টি করছে। দেশ ও জাতি বঞ্চিত হচ্ছে বিকশিত প্রজন্ম পাওয়া থেকে,বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় শিশুরা। তাদের মানসিক বিকাশের অন্তরায় শব্দদূষণ।
সহনীয় মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত শব্দ মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ।মাত্রাতিরিক্ত শব্দদূষণে শ্রবন শক্তি লোপসহ উচ্চ রক্তচাপ,মাথাধরা,খিটখিটে মেজাজ,বিরক্তি বোধ, অনিদ্রা, হৃদ্যন্ত্রের সমস্যাসহ নানা রকম মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হয়। শব্দদূষণের প্রভাবে সর্বস্তরের মানুষ সাময়িকভাবে বা স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
যে কোনো ধরনের শব্দদূষণই মারাত্মকভাবে ক্ষতি করে গর্ভবতী মায়েদের। এতে সুস্থ অবস্থায় শিশুর জন্মগ্রহন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। আবার শব্দদূষণ যত বেশি সময় ধরে চলে তার ক্ষতিকর প্রভাও তত বেশি হয়। দীর্ঘস্থায়ী শব্দদূষণের মধ্যে থাকলে একজন মানুষের শারীরবৃত্তীয় বৈকল্য ক্রনিক আকারে দেখা দিতে পারে। আমরা একটু সচেতনতা অবলম্বন করলেই এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে জানান। তাই শব্দ দূষণ সম্পর্কে সকলের সচেতন হওয়ার আহবান জানান।




















