০১:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাণ্ডারিয়ায় জিবন যুদ্ধে জয়ী ২৬ ইঞ্চি প্রতিবন্ধি ফরিদ

  • সবুজ বাংলা
  • আপডেট সময় : ০৫:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
  • 108

মামুন হোসেন ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

প্রতিবন্ধি ফরিদ হোসেনের বয়স ৪০ ছুঁয়েছে। ফরিদের উচ্চতা ২৬ ইঞ্চি। দুই হাত ও পায়ে সমস্যা থাকায় অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা, কাজ করতে পারেন না। হাত দিয়ে কোন কাজ কর্ম না করতে পারলেও প্রতিবন্ধি ফরিদ থেমে নেই। ছোট একটি দোকান চালান তিনি। তাঁর এই দোকানে যেসব ক্রেতা আসেন, তাঁরা প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে নির্দিষ্ট বক্সে টাকা রেখে চলে যান। ফরিদ হোসেনের দোকানটি হচ্ছে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার গেীরিপুর ইউনিয়নের পূর্ব মাটিভাঙ্গা বাজারে। মাটিভাঙ্গা গ্রামের কৃষক আবদুল বারেক ও রওশন আরা দম্পতির চার ছেলে, দুই মেয়ের মধ্যে ফরিদ হোসেন তৃতীয়। তাঁর দোকানে রয়েছে বিস্কুট, চকলেট, চিপস, কলা, জুস সহ নানা পণ্য। এসব কেনাবেচা করেই জীবন চলে ফরিদের।

পরিবারের সদস্যরা জানান, জন্মের পর থেকে ফরিদ হোসেন চলাফেলা করতে পারেন না। উচ্চতাও ছিল কম। মা-বাবা ফরিদকে পাঁচ বছর বয়সে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেন। এরপর তাদের কোলে করে ছেলেকে বিদ্যালয়ে যাতায়েত করতে হতো। পঞ্চম শ্রেনি পর্যন্ত ফরিদ হোসেন পড়াশোনা করেন। পরে মা রওশন আরার চেষ্টায় বাড়ির পাশে পূর্ব মাটিভাঙ্গা বাজারে ফরিদ হোসেন একটি ছোট দোকান দেন।প্রথমে মা-বাবার কোলে করে বাড়ি থেকে দোকানে যাতায়াত করতেন ২৬ ইঞ্চি উচ্চতার ফরিদ। পরে সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে ফরিদ হোসেনকে একটি হুইল চেয়ার দেওয়া হয়। এখন হুইল চেয়ারে করে দোকানে আসা যাওয়ার কাজটি করেন মা ও বাবা। এ ব্যাপারে আজ রবিবার সকালে ফরিদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সাংবাদিক ভাইদের লেখা লেখির কারনে আমি বেশ কিছু লোকের সাহায্য সহযোগিতা পেয়ে এখনো বেঁেচ আছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভাণ্ডারিয়ায় জিবন যুদ্ধে জয়ী ২৬ ইঞ্চি প্রতিবন্ধি ফরিদ

আপডেট সময় : ০৫:৩০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩

মামুন হোসেন ভাণ্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

প্রতিবন্ধি ফরিদ হোসেনের বয়স ৪০ ছুঁয়েছে। ফরিদের উচ্চতা ২৬ ইঞ্চি। দুই হাত ও পায়ে সমস্যা থাকায় অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা, কাজ করতে পারেন না। হাত দিয়ে কোন কাজ কর্ম না করতে পারলেও প্রতিবন্ধি ফরিদ থেমে নেই। ছোট একটি দোকান চালান তিনি। তাঁর এই দোকানে যেসব ক্রেতা আসেন, তাঁরা প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে নির্দিষ্ট বক্সে টাকা রেখে চলে যান। ফরিদ হোসেনের দোকানটি হচ্ছে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার গেীরিপুর ইউনিয়নের পূর্ব মাটিভাঙ্গা বাজারে। মাটিভাঙ্গা গ্রামের কৃষক আবদুল বারেক ও রওশন আরা দম্পতির চার ছেলে, দুই মেয়ের মধ্যে ফরিদ হোসেন তৃতীয়। তাঁর দোকানে রয়েছে বিস্কুট, চকলেট, চিপস, কলা, জুস সহ নানা পণ্য। এসব কেনাবেচা করেই জীবন চলে ফরিদের।

পরিবারের সদস্যরা জানান, জন্মের পর থেকে ফরিদ হোসেন চলাফেলা করতে পারেন না। উচ্চতাও ছিল কম। মা-বাবা ফরিদকে পাঁচ বছর বয়সে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেন। এরপর তাদের কোলে করে ছেলেকে বিদ্যালয়ে যাতায়েত করতে হতো। পঞ্চম শ্রেনি পর্যন্ত ফরিদ হোসেন পড়াশোনা করেন। পরে মা রওশন আরার চেষ্টায় বাড়ির পাশে পূর্ব মাটিভাঙ্গা বাজারে ফরিদ হোসেন একটি ছোট দোকান দেন।প্রথমে মা-বাবার কোলে করে বাড়ি থেকে দোকানে যাতায়াত করতেন ২৬ ইঞ্চি উচ্চতার ফরিদ। পরে সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে ফরিদ হোসেনকে একটি হুইল চেয়ার দেওয়া হয়। এখন হুইল চেয়ারে করে দোকানে আসা যাওয়ার কাজটি করেন মা ও বাবা। এ ব্যাপারে আজ রবিবার সকালে ফরিদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সাংবাদিক ভাইদের লেখা লেখির কারনে আমি বেশ কিছু লোকের সাহায্য সহযোগিতা পেয়ে এখনো বেঁেচ আছি।