সোহাগ রহমান, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের ভয়টাপাড়া গ্রামে রুপির
খালের ওপর নির্মিত সেতুটির উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে
সেতুটি আনুষ্ঠানিক ভাবে শুভ উদ্বোধন করেন এমপি কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু।
এ উপলক্ষে মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী মেদুয়ারী ভয়টা মাওয়া জামে
মসজিদ মাঠে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমপি ধনু বলেন, মহান
মুক্তিযুদ্ধে ভয়টাপাড়া গ্রামে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে প্রথম সামাদ
ডাক্তারসহ তার পরিবারের ৫ সদস্য শহীদ হন। হানাদাররা এ গ্রামের অনেককেই হত্যা
করেছে। এ গ্রামে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের লোক সংখ্যাই বেশি। তাই
নবনির্মিত এই সেতুটিকে প্রথমে শহীদ সামাদ ডাক্তার সেতু হিসেবে
নামকরণের সিদ্ধান্ত হলেও পরবর্তীতে ভয়টাপাড়া গ্রামের সকল শহীদদের স্মরণে ‘শহীদ
স্মৃতি সেতু’ নামকরণ করার ঘোষণা করেন। এ ছাড়া তিনি বর্তমান সরকারের
বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা উপস্থিত জনতার সামনে তুলে ধরেন এবং
আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেদুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান
লোকমান হেকিম সরকার। এ সময় উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট শওকত
আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওমর হায়াত খান নঈম, ইউপি চেয়ারম্যান এস এম
আকরাম হোসাইন, জেসমিন নাহার রানী, মাওলানা আজিজুল হক, আক্তার হোসেন
সরকার, আবুল কাশেম সরকার, মনোয়ার হোসেন রবিন ও মাজাহারুল ইসলাম প্রমুখ
উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় আ’লীগ নেতা আইন উদ্দিন মন্ডল জানান, মেদুয়ারী ভায়াবহ সড়ক ২৯৩৫
মিটার চেইনেজে ৫০ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রিজ অর্থাৎ রুপির ওপর
ব্রিজটি নির্মিত হওয়ার মাধ্যমে মেদুয়ারী ও মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের বেশ
কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষের চলাচলের সুবিধা তৈরি হয়েছে। গ্রামের
মানুষের মাঝে এক নতুন আত্মিক মেল বন্ধন তৈরি হবে। তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
ব্যক্ত করে বলেন, ব্রিজটি নির্মাণের ব্যাপারে আমরা এমপি মহোদয়ের কাছে
দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছিলাম। পরে তিনি এলাকাবাসির যাতায়াত
সুবিধার কথা চিন্তা করে অবশেষ ব্রিজটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানটি আয়োজক কমিটির সাথে ভয়টাপাড়া গ্রামের নেতৃবৃন্দদের
সমন্বয়হীনতার অভাব থাকায় এলাকার মানুষও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে
এমপি মহোদয়ও দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে ভয়টাপাড়া গ্রামের শহীদদের স্মরণে
নামকরণ হওয়ায় সেই ক্ষোভ কেটে গেছে।























