গত কয়েকদিন থেকেই প্রকৃতিতে শীতল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে ভোরের সকাল। সন্ধ্যা নামলেই অনুভূত হচ্ছে শীত। রাতে ঝরছে কুয়াশা। ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। তাই হিমেল ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন লেপ-কম্বলের উষ্ণতার।
শীতের আগমনী বার্তায় সারাদেশের ন্যায় লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন হাওরের রাজধানী খ্যাত কিশোরগঞ্জের কারিগররা। শীত নিবারণের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ-তোষক বানাতে ক্রেতারাও ভিড় করছে দোকানগুলোতে। কেউ কেউ আবার পুরোনো লেপ-তোষক মেরামতের জন্য কারিগরদের কাছে যাচ্ছেন ।
শহরের বত্রিশ এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ সাগর মিয়া জানান, শীত শুরুর এই দুই তিন মাস আমাদের সিজন। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এ সময়টা আমাদের অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে কাটে। গত কয়েকদিন ধরেই শীত পড়তে শুরু করেছে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের লেপ-তোষক তৈরির কাজের চাপ অনেকটাই বেড়েছে। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত কাজ করে ক্রেতাদের চাহিদা মতো লেপ-তোষক তৈরি করে আমাদের এসব ডেলিভারি দিতে হচ্ছে।
লেপ কিনতে আসা সালেক হোসেন (৩৯) জানান, আধুনিক যুগে লেপের তুলনায় ব্যপক হারে বেড়েছে কম্বলের দাপট। তবে লেপ যেমন আরাম-দায়ক তেমনি গরম। তাই আমি মনে করি শীতে লেপের বিকল্প নেই।
জানা গেছে, বর্তমানে বাজারে শিমুল তুলা গুণমান অনুযায়ী প্রতি কেজি ৪০০ থেকে প্রায় ৬০০ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, প্রতি কেজি কালো হুল ৭০ থেকে ৯০ টাকা, কালো রাবিশ তুলা ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, সাদা তুলা ১১০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় তুলার দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাপড়ের প্রতি গজে ১০ থেকে ১৫ টাকা দাম বেড়েছে। আকার অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরিতে ২০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত মজুরি নেওয়া হচ্ছে। এই মজুরির হার অন্য সময়ের চাইতে কিছুটা বেশি। সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, মাঝারি ধরনের একটি লেপ বানাতে খরচ হচ্ছে ১২০০ থেকে দুই হাজার টাকা এবং তোষক বানাতে খরচ হচ্ছে ১৫০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা।
তবে বিভিন্ন রকমের দামী-কমদামী তুলার প্রকারভেদে লেপ-তোষকের দাম কম-বেশি হয়ে থাকে।


























