০৭:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত, বিপর্যস্ত জনজীবন

উত্তরের জেলা দিনাজপুর। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই জেলায় এ বছর শীতের আবির্ভাব দেরিতে হলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাস নিন্মাআয়ের মানুষের জন্য কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। এদিকে শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই ছুটছেন  মোটা জামা-কাপড়ের দোকানে। ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ তৈরির কারিগররাও।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় দিনাজপুরে ১১ দশমিক ১ ডিগ্রী তাপমত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের তৃতীয় সর্বনি¤œ। এদিন দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে।

শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে  কাজের জন্য ঘর থেকে বের হওয়া সাধারণ মানুষের যেন কষ্টের সীমা নেই। কথা হলে দিনাজপুরের সদর উপজেলার ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের উলিপুর গ্রামের বাসিন্দা ফখরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি সকালে বাজারে বিক্রি করতে শহরে নিয়ে যেতে হয়। কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। গায়ে কাপন ধরে। কিন্তু আমাদের তো আর কোন উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়ে সকালে শীত উপেক্ষা করেও বের হতে হয়।
হিমেল ঠান্ডা বাতাস আর তীব্র শীতের হাত থেকে সাধারণ মানুষরা ছুটছেন পুরাতন মোটা জামা-কাপড়ের দোকানে। জেলা শহরের হর্কাস মার্কেটে গিয়ে দেখা যায় ছোট বড় সকল মানুষের ভীড় জমেছে দোকানগুলোতে। কম দামে পছন্দের জামা কাপড় কিনতে এক দোকান থেকে ছুটছেন আরেক দোকানে। মোটা জামা-কাপড় কিনে শীত নিবারণের চেষ্টা তাদের। কাপড় কিনতে আসা শহরের খালপাড়া এলাকার বাসিন্দা জামিলা বেগম বলেন, আমরা তো দিন আনে দিন খাই। নতুন জামা কাপড় নিতে গেলে অনেক টাকা লাগে। ছেলেমেয়ে সবার জন্য কাপড় নিতে হবে। এখানে আসলে মোটামুটি কম দামে কাপড় নিতে পারি। তাই এখানে আসি কাপড় কিনতে।
এদিকে শীতকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ তৈরির কারিগরেরা। তারা বলেন, এবার শীত দেরিতে আসায় বেচা-বিক্রি একটু কম। তবে শীত বাড়ালে তাদের বিক্রি বাড়বে। এবছর তুলার দাম বেশি হওয়ায় বেশি দামে লেপ বিক্রি করতে হচ্ছে ।
দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১০ ডিসেম্বর) দিনাজপুরে তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রী, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রী, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রী, বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ১৩ দশমিক ৭ এবং বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দিনাজপুরে এই মৌসুমের সর্বনি¤œ ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, দিনাজপুরে বৃষ্টিপাতের কোন আশঙ্কা নেই। তবে ধীরে ধীরে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দিনাজপুরে মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় রুমিন ফারহানাসহ ৮ নেতা বহিষ্কার

দিনাজপুরে জেঁকে বসেছে শীত, বিপর্যস্ত জনজীবন

আপডেট সময় : ০৪:৩০:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩

উত্তরের জেলা দিনাজপুর। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই জেলায় এ বছর শীতের আবির্ভাব দেরিতে হলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাস নিন্মাআয়ের মানুষের জন্য কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে। এদিকে শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই ছুটছেন  মোটা জামা-কাপড়ের দোকানে। ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ তৈরির কারিগররাও।

শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় দিনাজপুরে ১১ দশমিক ১ ডিগ্রী তাপমত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের তৃতীয় সর্বনি¤œ। এদিন দেশের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে।

শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে  কাজের জন্য ঘর থেকে বের হওয়া সাধারণ মানুষের যেন কষ্টের সীমা নেই। কথা হলে দিনাজপুরের সদর উপজেলার ৬নং আউলিয়াপুর ইউনিয়নের উলিপুর গ্রামের বাসিন্দা ফখরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি সকালে বাজারে বিক্রি করতে শহরে নিয়ে যেতে হয়। কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়। গায়ে কাপন ধরে। কিন্তু আমাদের তো আর কোন উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়ে সকালে শীত উপেক্ষা করেও বের হতে হয়।
হিমেল ঠান্ডা বাতাস আর তীব্র শীতের হাত থেকে সাধারণ মানুষরা ছুটছেন পুরাতন মোটা জামা-কাপড়ের দোকানে। জেলা শহরের হর্কাস মার্কেটে গিয়ে দেখা যায় ছোট বড় সকল মানুষের ভীড় জমেছে দোকানগুলোতে। কম দামে পছন্দের জামা কাপড় কিনতে এক দোকান থেকে ছুটছেন আরেক দোকানে। মোটা জামা-কাপড় কিনে শীত নিবারণের চেষ্টা তাদের। কাপড় কিনতে আসা শহরের খালপাড়া এলাকার বাসিন্দা জামিলা বেগম বলেন, আমরা তো দিন আনে দিন খাই। নতুন জামা কাপড় নিতে গেলে অনেক টাকা লাগে। ছেলেমেয়ে সবার জন্য কাপড় নিতে হবে। এখানে আসলে মোটামুটি কম দামে কাপড় নিতে পারি। তাই এখানে আসি কাপড় কিনতে।
এদিকে শীতকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ তৈরির কারিগরেরা। তারা বলেন, এবার শীত দেরিতে আসায় বেচা-বিক্রি একটু কম। তবে শীত বাড়ালে তাদের বিক্রি বাড়বে। এবছর তুলার দাম বেশি হওয়ায় বেশি দামে লেপ বিক্রি করতে হচ্ছে ।
দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১০ ডিসেম্বর) দিনাজপুরে তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রী, সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রী, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রী, বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ১৩ দশমিক ৭ এবং বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দিনাজপুরে এই মৌসুমের সর্বনি¤œ ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, দিনাজপুরে বৃষ্টিপাতের কোন আশঙ্কা নেই। তবে ধীরে ধীরে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে দিনাজপুরে মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।