০৬:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে পার্সিমন ফল চাষে জুলফিকারের সাফল্য 

যশোরের চৌগাছার চাষ হয়েছে জাপানের জাতীয় ফল পার্সিমন। উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের হিজলী গ্রামের জুলফিকার আলী ৫ কাঠা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই ফল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। বিদেশী এই ফল চাষে সাফল্য পেয়ে দারুণ খুশি জুলফিকার।
চাষি জুলফিকার আলী জানান, সাত বছর আগে নাটোর জেলা হর্টিকালচার থেকে ৩০টি পার্সিমনের চারা কিনে এনে পাঁচ কাঠা জমিতে রোপন করেন। দীর্ঘ পরিচর্যার পর ২০২৩ সালে গাছে ফল এসেছে। ফলটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতে ও বেশ সুস্বাদু। তিনি এ গাছ থেকে ইতিমধ্যে চারা তৈরি করে বিক্রি শুরু করেছেন। তার ক্ষেতে থোকায় থোকায় ঝুলে বিদেশি জাতের এই ফল। ফলটি দেখতে অনেকটা আমাদের দেশের টমেটো ও গাবের মতো। গায়ের রং কমলা ও হলুদ রঙের মিশ্রণে দারুণ এ ফল প্রত্যেটি গাছের ডালে-ডালে থোকায়-থোকায় ধরে ঝুলছে। দেখলে চোখ ফেরানো যায় না। ওজনে কেজিতে ৬/৭ টি ফল হয়। ফলটি কাটলে ভিতরে পাকা টমেটার মতোই দেখতে। ফলটির ভেতরে বীজ নেই বললেই চলে। খোসাসহ খেতে দারুণ সুস্বাদু। ক্ষেতের পাশ দিয়ে কেউ হেঁটে গেলে মনে হবে গাছে ধরে আছে আপেল কিংবা দেশি জাতের গাব।
জুলফিকার আলী জানান, বিদেশী ফল চাষ করে সাফল্য অর্জনে তিনি দারুণ খুশি হয়েছেন। তার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই এই ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তার কাছ থেকে চারা কিনছেন।
চৌগাছা উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য কর্মকর্তারা রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাফল্য ধরে রাখার জন্য  জুলফিকারকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হোসাইন জানান, চৌগাছার মাটিতে পার্সিমন ফল প্রথমবারের মতো চাষ করেছে জুলফিকার। পার্সিমন ভিটামিন, আয়রণসহ নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর  মিষ্টি এবং রসাল একটি ফল।
০১৭১৭১২৭৭১৬
জনপ্রিয় সংবাদ

এনসিপিতে যোগ দিচ্ছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া

যশোরে পার্সিমন ফল চাষে জুলফিকারের সাফল্য 

আপডেট সময় : ১২:৩৫:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩
যশোরের চৌগাছার চাষ হয়েছে জাপানের জাতীয় ফল পার্সিমন। উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের হিজলী গ্রামের জুলফিকার আলী ৫ কাঠা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এই ফল চাষ করে সফলতা পেয়েছেন। বিদেশী এই ফল চাষে সাফল্য পেয়ে দারুণ খুশি জুলফিকার।
চাষি জুলফিকার আলী জানান, সাত বছর আগে নাটোর জেলা হর্টিকালচার থেকে ৩০টি পার্সিমনের চারা কিনে এনে পাঁচ কাঠা জমিতে রোপন করেন। দীর্ঘ পরিচর্যার পর ২০২৩ সালে গাছে ফল এসেছে। ফলটি দেখতে যেমন সুন্দর খেতে ও বেশ সুস্বাদু। তিনি এ গাছ থেকে ইতিমধ্যে চারা তৈরি করে বিক্রি শুরু করেছেন। তার ক্ষেতে থোকায় থোকায় ঝুলে বিদেশি জাতের এই ফল। ফলটি দেখতে অনেকটা আমাদের দেশের টমেটো ও গাবের মতো। গায়ের রং কমলা ও হলুদ রঙের মিশ্রণে দারুণ এ ফল প্রত্যেটি গাছের ডালে-ডালে থোকায়-থোকায় ধরে ঝুলছে। দেখলে চোখ ফেরানো যায় না। ওজনে কেজিতে ৬/৭ টি ফল হয়। ফলটি কাটলে ভিতরে পাকা টমেটার মতোই দেখতে। ফলটির ভেতরে বীজ নেই বললেই চলে। খোসাসহ খেতে দারুণ সুস্বাদু। ক্ষেতের পাশ দিয়ে কেউ হেঁটে গেলে মনে হবে গাছে ধরে আছে আপেল কিংবা দেশি জাতের গাব।
জুলফিকার আলী জানান, বিদেশী ফল চাষ করে সাফল্য অর্জনে তিনি দারুণ খুশি হয়েছেন। তার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই এই ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তার কাছ থেকে চারা কিনছেন।
চৌগাছা উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য কর্মকর্তারা রাশেদুল ইসলাম জানিয়েছেন, সাফল্য ধরে রাখার জন্য  জুলফিকারকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোসাব্বির হোসাইন জানান, চৌগাছার মাটিতে পার্সিমন ফল প্রথমবারের মতো চাষ করেছে জুলফিকার। পার্সিমন ভিটামিন, আয়রণসহ নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর  মিষ্টি এবং রসাল একটি ফল।
০১৭১৭১২৭৭১৬