০৫:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অর্থবাণিজ্যের দ্বন্দ্বে ঝুলে  আছে কর্মচারী নিয়োগ!

যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির দোগাছিয়া আহছান নগর আলিম মাদরাসায় দুই কর্মচারী নিয়োগকে ঘিরে মারাত্মক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ রবিউল ইসলামের ২০ লাখ টাকার বাণিজ্যে বাঁধা দেয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সাথে এই দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ফলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১ বছরের বেশি সময় ওই দুই পদে কর্মচারি নিয়োগ কার্যক্রম ঝুলে রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পত্রিকায় নবসৃষ্ট পদে ১ জন নিরাপত্তা কর্মী ও ১ জন আয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। ২৬ ডিসেম্বর মাদরাসা কর্তৃপক্ষ চাকরি প্রত্যাশীদের আবেদন যাচাই-বাচাই করেন। ওই দিন ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত ছিলো কোনো রকম অর্থবাণিজ্য ছাড়াই যোগ্যদের চাকরি নিশ্চিত করার। ম্যানেজিং কমিটির এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম।

ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য জানান, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম দুটি পদের জন্য গোপনে ২০ লাখ টাকা বাণিজ্যের ধান্দা করেন। তার পছন্দের প্রার্থীকে চাকরি নিশ্চিত করার জন্য তিনি নানাভাবে চেষ্টা করেন। কিন্তু  বাঁধার মুখে অধ্যক্ষ মিশন সফল করতে পারেননি।

ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য সাহেব আলী জানান, তিনি সব সময় নিয়োগ বাণিজ্যের বিপক্ষে। অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নিছার আলীকে লাখ টাকার প্রস্তাব নিয়ে তার কাছে পাঠিয়েও ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। যে কারণে তিনি এখন অধ্যক্ষের শত্রুতে পরিণত হয়েছেন।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক মেম্বর মতিয়ার রহমান জানান, দুই কর্মচারী নিয়োগে ২০ লাখ টাকার অর্থবাণিজ্যে ব্যর্থ হয়ে অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম কৌশলে নিয়োগ বোর্ড বাতিল করে দেন। এই নিয়ে জরুরি মিটিংয়ে হট্টগোলও করা হয়। অধ্যক্ষের কারণে ১ বছরের বেশি সময় ধরে কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে রয়েছে। মতিয়ার রহমান আরও জানান, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম একজন দুর্নীতিবাজ। বিগত দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। একটি টাকাও মাদরাসার উন্নয়নে ব্যবহার করা হয়নি।  অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

এই বিষয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে অর্থবাণিজ্যের মিথ্যাচার করা হচ্ছে। তিনি নিয়োগকে ঘিরে কোন প্রার্থীর সাথে চুক্তিবদ্ধ হননি। ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে দ্বন্দ্বর কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শৈত্যপ্রবাহে উত্তরাঞ্চলের জনজীবনে চরম দুর্ভোগ

অর্থবাণিজ্যের দ্বন্দ্বে ঝুলে  আছে কর্মচারী নিয়োগ!

আপডেট সময় : ০৫:১১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটির দোগাছিয়া আহছান নগর আলিম মাদরাসায় দুই কর্মচারী নিয়োগকে ঘিরে মারাত্মক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ রবিউল ইসলামের ২০ লাখ টাকার বাণিজ্যে বাঁধা দেয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সাথে এই দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ফলে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১ বছরের বেশি সময় ওই দুই পদে কর্মচারি নিয়োগ কার্যক্রম ঝুলে রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পত্রিকায় নবসৃষ্ট পদে ১ জন নিরাপত্তা কর্মী ও ১ জন আয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। ২৬ ডিসেম্বর মাদরাসা কর্তৃপক্ষ চাকরি প্রত্যাশীদের আবেদন যাচাই-বাচাই করেন। ওই দিন ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত ছিলো কোনো রকম অর্থবাণিজ্য ছাড়াই যোগ্যদের চাকরি নিশ্চিত করার। ম্যানেজিং কমিটির এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম।

ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য জানান, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম দুটি পদের জন্য গোপনে ২০ লাখ টাকা বাণিজ্যের ধান্দা করেন। তার পছন্দের প্রার্থীকে চাকরি নিশ্চিত করার জন্য তিনি নানাভাবে চেষ্টা করেন। কিন্তু  বাঁধার মুখে অধ্যক্ষ মিশন সফল করতে পারেননি।

ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য সাহেব আলী জানান, তিনি সব সময় নিয়োগ বাণিজ্যের বিপক্ষে। অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নিছার আলীকে লাখ টাকার প্রস্তাব নিয়ে তার কাছে পাঠিয়েও ম্যানেজ করতে ব্যর্থ হয়েছে। যে কারণে তিনি এখন অধ্যক্ষের শত্রুতে পরিণত হয়েছেন।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সাবেক মেম্বর মতিয়ার রহমান জানান, দুই কর্মচারী নিয়োগে ২০ লাখ টাকার অর্থবাণিজ্যে ব্যর্থ হয়ে অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম কৌশলে নিয়োগ বোর্ড বাতিল করে দেন। এই নিয়ে জরুরি মিটিংয়ে হট্টগোলও করা হয়। অধ্যক্ষের কারণে ১ বছরের বেশি সময় ধরে কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝুলে রয়েছে। মতিয়ার রহমান আরও জানান, অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম একজন দুর্নীতিবাজ। বিগত দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। একটি টাকাও মাদরাসার উন্নয়নে ব্যবহার করা হয়নি।  অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

এই বিষয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম জানান, তার বিরুদ্ধে অর্থবাণিজ্যের মিথ্যাচার করা হচ্ছে। তিনি নিয়োগকে ঘিরে কোন প্রার্থীর সাথে চুক্তিবদ্ধ হননি। ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে দ্বন্দ্বর কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রয়েছে।