০২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচন নিয়ে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গন ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে!

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। প্রতিক বরাদ্দের পর থেকেই ক্রমেই ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের নেতা কর্মীদের পাল্টা-পাল্টি অবস্থান ও হামলার ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে রাজশাহী-৪ (বাগমারা), রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) এবং রাজশাহী-৬ (বাঘা- চারঘাট) এ আসনগুলোতে ইতিমধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসমস্ত ঘটনায় অন্তত ২৫জন আহত হয়েছে বলে জানাগেছে।

গত ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রবিবার রাজশাহী-৪ বাগামারার ভবানীগঞ্জে নৌকা প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি ইঞ্জি এনামুল হকের নেতা কর্মীদের সাথে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনায় এ ঘটনায় ৭ জন আহত হয়। এই ঘটনায় নৌকা প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের পক্ষে বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান থানার ওসি তদন্ত সোয়েব খান । সেখানে প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা কর্মীকে বিবাদী করা হয়েছে। এছাড়াও একই ঘটনায় ইঞ্জি এনামুল হকের কাঁচি প্রতিকের পক্ষে থেকেও আরো একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

নির্বাচনি প্রচারণা শুরুর ২য় দিনেও বাগমারাপৃথক ৪টি স্থানে বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের প্রচারগাড়ি ভাঙচুর, পোস্টার লুট করে পুকুরে নিক্ষেপ ও প্রচারকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৪টি ঘটনায় আহত হয়েছেন কাঁচি প্রতীকের মোট ১৮ জন কর্মী। এসব ঘটনায় গাড়িচালক এমরান হোসেন বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে বাগমারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বাগমারার গণিপুর ইউনিয়নের আঁচিনঘাট গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপির কর্মীরা তার কাঁচি প্রতীকের পোস্টার লাগাচ্ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী কালামের লোকেরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। হামলায় রাব্বী (২৩), রোবায়েত (২৬) ও হৃদয়সহ (২১) ৬ জন আহত হন।

সন্ত্রাসীরা কাঁচি প্রতীকের তিন হাজার পোস্টার কেড়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেন। একই দিন দুপুর ২টার দিকে বাগমারার যাত্রাগাছি এলাকায় কাঁচি
প্রতীকের প্রচারণার সময় নৌকার প্রতিকের লোকজন কাঁচি প্রতিবেকর কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে
মাড়িয়া ইউপির ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আশরাফুল ইসলামের মাথা ফেটে গেছে।

তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে বিকাল ৩টার দিকে গোবিন্দপুর ইউনিয়নের হাটদামনাশ এলাকায় কাঁচি প্রতীকের প্রচারণা চলাকালে নৌকা প্রতীকের একদল কর্মী প্রচার গাড়িটি ভাঙচুর করে। এ সময় নৌকা প্রতীকের কর্মী মোস্তাক, রনি ও  আফাজ উদ্দিনসহ মোট ৬-৭ জন গাড়ি ভাঙচুর ছাড়াও প্রচারমাইক ভাঙচুর করে। সন্ত্রাসীরা গাড়িতে থাকা চার হাজার পোস্টার লুট করে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে বাগমারার তাহেরপুর পৌর এলাকার অর্জুনপুর মহল্লায় কাঁচি প্রতীকের সাইকেল র‌্যালিতে হামলায় জিল্লুর, আনোয়ার, কাসেমসহ
মোট ৮ জন স্কুলছাত্র আহত হয়েছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী-৪ আসনে নৌকা ও কাঁচি প্রতীকের কর্মী-
সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক অভিযোগে বলেছেন, নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সন্ত্রাসী বাহিনী তার কর্মীদের ওপর চারটি জায়গায় হামলা চালিয়েছে। গুরুতর আহত আশরাফুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা চিকিৎসা নিয়েছেন বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। কালামের সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন, এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। নির্বাচনের সঙ্গে এসব ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের কেউ হামলা চালায়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজের পক্ষে সমর্থন নিয়ে আসার জন্য এ কাজগুলো করছেন। বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, পুলিশ অভিযোগগুলোর তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে, রাজশাহী ৫ ( পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে (১৯ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার রাত ৯টা। উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে। আহত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের নাম আব্দুর রাজ্জাক (৩১)। তিনি যুবলীগ নেতা। মঙ্গলবার রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের ব্যানার টাঙ্গাতে গিয়ে তিনি এ হামলার শিকার হন। আব্দুর রাজ্জাক মাড়িয়া গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে। এঘটনায় ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহত রাজ্জাককে উদকরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনা দুর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে এঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এবিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, এমন ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো
হয়েছে। তদন্তপুর্বক দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরদিকে, রাজশাহী-৬ আসনের (চারঘাট বাঘা) স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হকের নির্বাচনী অফিস ও মাইক ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া
গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চারঘাটের শলুয়ার বামনদীঘা বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অফিস ভাংচুর করা হয় ও পোষ্টা রছিড়ে ফেলা হয়। এছাড়াও মালেকার
মোড় এলাকায় নির্বাচনী প্রচার মাইকের তার ছিড়ে ফেলে ও অটোগাড়ি ভাংচুরসহ গাড়ির চালককে লাথি মারা হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হানুল হক অভিযোগ করে বলেন, নৌকার পক্ষের সমর্থকরা চারঘাট আমার অফিস ভাংচুরসহ নানকভাবে ত্রাস সৃষ্টির করছে। তারা ভোটে
নিশ্চিত পরাজয় জেনে নানা অপকর্ম করছে। এসব নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেয়া হবে।
এদিকে পাল্টা-পাল্টি হামলা ও অভিযোগ হওয়ায় এ সমস্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এই উৎতপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গন স্বাভাবিক রাখতে গতকাল সোমবার থেকেই বিপুল সংখ্যক বিজিবি ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। তারা উপজেলা বাগমারা ছাড়াও পাশ্ববর্তী এলাকার নিরাপত্তা স্বাভাবিক
রাখতে টহল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার উজ্জল হোসেন জানান, প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোন অবস্থাতেই আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে দেওয়া হবে না। নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ রাখতে প্রশাসন সর্বদা তৎপর রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচন নিয়ে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গন ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে!

আপডেট সময় : ১২:১২:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৩

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। প্রতিক বরাদ্দের পর থেকেই ক্রমেই ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের নেতা কর্মীদের পাল্টা-পাল্টি অবস্থান ও হামলার ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে রাজশাহী-৪ (বাগমারা), রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) এবং রাজশাহী-৬ (বাঘা- চারঘাট) এ আসনগুলোতে ইতিমধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসমস্ত ঘটনায় অন্তত ২৫জন আহত হয়েছে বলে জানাগেছে।

গত ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রবিবার রাজশাহী-৪ বাগামারার ভবানীগঞ্জে নৌকা প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি ইঞ্জি এনামুল হকের নেতা কর্মীদের সাথে সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনায় এ ঘটনায় ৭ জন আহত হয়। এই ঘটনায় নৌকা প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের পক্ষে বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান থানার ওসি তদন্ত সোয়েব খান । সেখানে প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা কর্মীকে বিবাদী করা হয়েছে। এছাড়াও একই ঘটনায় ইঞ্জি এনামুল হকের কাঁচি প্রতিকের পক্ষে থেকেও আরো একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

নির্বাচনি প্রচারণা শুরুর ২য় দিনেও বাগমারাপৃথক ৪টি স্থানে বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের প্রচারগাড়ি ভাঙচুর, পোস্টার লুট করে পুকুরে নিক্ষেপ ও প্রচারকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ৪টি ঘটনায় আহত হয়েছেন কাঁচি প্রতীকের মোট ১৮ জন কর্মী। এসব ঘটনায় গাড়িচালক এমরান হোসেন বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে বাগমারা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বাগমারার গণিপুর ইউনিয়নের আঁচিনঘাট গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপির কর্মীরা তার কাঁচি প্রতীকের পোস্টার লাগাচ্ছিলেন। এ সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থী কালামের লোকেরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। হামলায় রাব্বী (২৩), রোবায়েত (২৬) ও হৃদয়সহ (২১) ৬ জন আহত হন।

সন্ত্রাসীরা কাঁচি প্রতীকের তিন হাজার পোস্টার কেড়ে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেন। একই দিন দুপুর ২টার দিকে বাগমারার যাত্রাগাছি এলাকায় কাঁচি
প্রতীকের প্রচারণার সময় নৌকার প্রতিকের লোকজন কাঁচি প্রতিবেকর কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে তিনজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে
মাড়িয়া ইউপির ৩নং ওয়ার্ড সদস্য আশরাফুল ইসলামের মাথা ফেটে গেছে।

তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে বিকাল ৩টার দিকে গোবিন্দপুর ইউনিয়নের হাটদামনাশ এলাকায় কাঁচি প্রতীকের প্রচারণা চলাকালে নৌকা প্রতীকের একদল কর্মী প্রচার গাড়িটি ভাঙচুর করে। এ সময় নৌকা প্রতীকের কর্মী মোস্তাক, রনি ও  আফাজ উদ্দিনসহ মোট ৬-৭ জন গাড়ি ভাঙচুর ছাড়াও প্রচারমাইক ভাঙচুর করে। সন্ত্রাসীরা গাড়িতে থাকা চার হাজার পোস্টার লুট করে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যার আগে বাগমারার তাহেরপুর পৌর এলাকার অর্জুনপুর মহল্লায় কাঁচি প্রতীকের সাইকেল র‌্যালিতে হামলায় জিল্লুর, আনোয়ার, কাসেমসহ
মোট ৮ জন স্কুলছাত্র আহত হয়েছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী-৪ আসনে নৌকা ও কাঁচি প্রতীকের কর্মী-
সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক অভিযোগে বলেছেন, নৌকার প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের সন্ত্রাসী বাহিনী তার কর্মীদের ওপর চারটি জায়গায় হামলা চালিয়েছে। গুরুতর আহত আশরাফুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা চিকিৎসা নিয়েছেন বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। কালামের সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন, এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। নির্বাচনের সঙ্গে এসব ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের কেউ হামলা চালায়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজের পক্ষে সমর্থন নিয়ে আসার জন্য এ কাজগুলো করছেন। বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, পুলিশ অভিযোগগুলোর তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে, রাজশাহী ৫ ( পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে (১৯ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার রাত ৯টা। উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে। আহত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের নাম আব্দুর রাজ্জাক (৩১)। তিনি যুবলীগ নেতা। মঙ্গলবার রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ওবায়দুর রহমানের ব্যানার টাঙ্গাতে গিয়ে তিনি এ হামলার শিকার হন। আব্দুর রাজ্জাক মাড়িয়া গ্রামের মৃত আফসার আলীর ছেলে। এঘটনায় ঘটনায় দুর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহত রাজ্জাককে উদকরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনা দুর্গাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে এঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এবিষয়ে দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম বলেন, এমন ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো
হয়েছে। তদন্তপুর্বক দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরদিকে, রাজশাহী-৬ আসনের (চারঘাট বাঘা) স্বতন্ত্র প্রার্থী রাহেনুল হকের নির্বাচনী অফিস ও মাইক ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া
গেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চারঘাটের শলুয়ার বামনদীঘা বাজারে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অফিস ভাংচুর করা হয় ও পোষ্টা রছিড়ে ফেলা হয়। এছাড়াও মালেকার
মোড় এলাকায় নির্বাচনী প্রচার মাইকের তার ছিড়ে ফেলে ও অটোগাড়ি ভাংচুরসহ গাড়ির চালককে লাথি মারা হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হানুল হক অভিযোগ করে বলেন, নৌকার পক্ষের সমর্থকরা চারঘাট আমার অফিস ভাংচুরসহ নানকভাবে ত্রাস সৃষ্টির করছে। তারা ভোটে
নিশ্চিত পরাজয় জেনে নানা অপকর্ম করছে। এসব নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দেয়া হবে।
এদিকে পাল্টা-পাল্টি হামলা ও অভিযোগ হওয়ায় এ সমস্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এই উৎতপ্ত রাজনৈতিক অঙ্গন স্বাভাবিক রাখতে গতকাল সোমবার থেকেই বিপুল সংখ্যক বিজিবি ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। তারা উপজেলা বাগমারা ছাড়াও পাশ্ববর্তী এলাকার নিরাপত্তা স্বাভাবিক
রাখতে টহল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি রির্টানিং অফিসার উজ্জল হোসেন জানান, প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোন অবস্থাতেই আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে দেওয়া হবে না। নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ রাখতে প্রশাসন সর্বদা তৎপর রয়েছে।