১১:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ঝিনাইদহ-৪

প্রচার-পোষ্টারে নৌকা-ট্রাক

পৌষের শীত কুয়াশা মাড়িয়ে নির্বাচনী প্রচারে মাঠ চষছেন নেতা কর্মী ও সমর্থকরা। চায়ের দোকান গুলোতে সাধারণ মানুষের আনাগোনা। হাতে চায়ের
কাপ মুখে আলোচনা একটাই সামনে ভোট। টাঙানো পোষ্টার দেখাচ্ছে জোয়ান বুড়ো সকলে। সবজায়গাতে শুধু নৌকা আর ট্রাক প্রতিকে ছেয়ে গেছে।
প্রচার-পোষ্টারে নৌকা-ট্রাক একাকার। আওয়ামীলীগের নৌকার বিপক্ষে প্রচার প্রচারনায় সতন্ত্র প্রাথীর ট্রাক প্রতিক নিয়ে মাঠ চষছেন আওয়ামীলীগ
নেতাকর্মীদের বৃহত অংশ। এই আসনের টানা দুইবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। এবারো এখানে নৌকার প্রার্থী তিনি। চলছে তার নির্বাচনী
প্রচারণাও। আসনটি জুড়েই সাঁটানো রয়েছে নৌকার পোস্টার। বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল মান্নানের
ছোটভাই আব্দুর রশিদ খোকন। এছাড়াও লাঙল ও সোনালী আশ নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন যথাক্রমে এমদাদুল হক বাচ্চু ও মুক্তিযোদ্ধা নুরুদ্দিন আহমেদ। তবে
চারজন প্রার্থী এখানে তা বোঝা যাচ্ছে না মাঠের পরিবেশ দেখে। চায়ের দোকানের সাধারণ মানুষ এমপি আনার ও খোকন ছাড়া আর কোন প্রার্থীকে চেনেন না। নৌকা আর ট্রাক ছাড়া সড়কে আর কোনো প্রচার শব্দও কানে আসেনা তাদের।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টায় কালীগঞ্জ মেইন বাস টার্মিনাল এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। টার্মিনাল জুড়ে রয়েছেন জীবননগর যশোর
ঝিনাইদহগামী যাত্রীও। তাদের মাঝেও চলছে নির্বাচনী আলোচনা দেখাচ্ছেন পোষ্টার। নৌকা আর ট্রাক প্রতিকের পোষ্টারে ভরে গেছে ঝিনাইদহ যশোর সড়কের
দুইপাশ। পোস্টার সাঁটানো রয়েছে নির্বাচনী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে। সাধারণ মানুষ দেখছেন নৌকার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক। নৌকার প্রচার পোষ্টার কাজে অর্থবিত্তে নেই কোন কমতি নেই সমর্থক কর্মীর অভাব। দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী অর্থবিত্তে নেই পিছিয়ে। প্রচার পোষ্টার কর্মী সমর্থক নিয়ে জোরছে লড়ছেন এই আসনে। তাই নেতাকর্মীদের মাঝে বিভক্তি। এই দুই প্রার্থীর হয়ে তারা মাঠে লড়ছেন। নির্বাচনী এলাকাজুড়ে এই ২ প্রার্থীরই পোস্টার চোখে পড়ার মতো। এর বাইরে অন্য প্রার্থীর পোস্টার প্রচার খুবই কম।
তবে চায়ের দোকানে বসা প্রায় পঞ্চাশ বছর বয়সী মুজিবুর রহমান মন্তব্য করেন নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই । বিরোধী দল না থাকলে
তো নির্বাচন জমে না। প্রতিদ্বন্দী দুই প্রার্থীই তো আওয়ামীলীগের। এখন নিজেরা নিজেরাই নির্বাচন করবে। নিজেদের মধ্যেই কিছু উত্তেজনা আছে। স্থানীয় মানুয়ের ভাবনা দুইজনের যেই আসুক, জয় হবে আওয়ামী লীগের। এখন দেখার বাকী নিজেদের মধ্যে কার জনপ্রিয়তা বেশি।

জনপ্রিয় সংবাদ

ঝিনাইদহ-৪

প্রচার-পোষ্টারে নৌকা-ট্রাক

আপডেট সময় : ০৩:৪৪:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

পৌষের শীত কুয়াশা মাড়িয়ে নির্বাচনী প্রচারে মাঠ চষছেন নেতা কর্মী ও সমর্থকরা। চায়ের দোকান গুলোতে সাধারণ মানুষের আনাগোনা। হাতে চায়ের
কাপ মুখে আলোচনা একটাই সামনে ভোট। টাঙানো পোষ্টার দেখাচ্ছে জোয়ান বুড়ো সকলে। সবজায়গাতে শুধু নৌকা আর ট্রাক প্রতিকে ছেয়ে গেছে।
প্রচার-পোষ্টারে নৌকা-ট্রাক একাকার। আওয়ামীলীগের নৌকার বিপক্ষে প্রচার প্রচারনায় সতন্ত্র প্রাথীর ট্রাক প্রতিক নিয়ে মাঠ চষছেন আওয়ামীলীগ
নেতাকর্মীদের বৃহত অংশ। এই আসনের টানা দুইবারের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। এবারো এখানে নৌকার প্রার্থী তিনি। চলছে তার নির্বাচনী
প্রচারণাও। আসনটি জুড়েই সাঁটানো রয়েছে নৌকার পোস্টার। বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি মরহুম আব্দুল মান্নানের
ছোটভাই আব্দুর রশিদ খোকন। এছাড়াও লাঙল ও সোনালী আশ নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন যথাক্রমে এমদাদুল হক বাচ্চু ও মুক্তিযোদ্ধা নুরুদ্দিন আহমেদ। তবে
চারজন প্রার্থী এখানে তা বোঝা যাচ্ছে না মাঠের পরিবেশ দেখে। চায়ের দোকানের সাধারণ মানুষ এমপি আনার ও খোকন ছাড়া আর কোন প্রার্থীকে চেনেন না। নৌকা আর ট্রাক ছাড়া সড়কে আর কোনো প্রচার শব্দও কানে আসেনা তাদের।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টায় কালীগঞ্জ মেইন বাস টার্মিনাল এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। টার্মিনাল জুড়ে রয়েছেন জীবননগর যশোর
ঝিনাইদহগামী যাত্রীও। তাদের মাঝেও চলছে নির্বাচনী আলোচনা দেখাচ্ছেন পোষ্টার। নৌকা আর ট্রাক প্রতিকের পোষ্টারে ভরে গেছে ঝিনাইদহ যশোর সড়কের
দুইপাশ। পোস্টার সাঁটানো রয়েছে নির্বাচনী এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে। সাধারণ মানুষ দেখছেন নৌকার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাক। নৌকার প্রচার পোষ্টার কাজে অর্থবিত্তে নেই কোন কমতি নেই সমর্থক কর্মীর অভাব। দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী অর্থবিত্তে নেই পিছিয়ে। প্রচার পোষ্টার কর্মী সমর্থক নিয়ে জোরছে লড়ছেন এই আসনে। তাই নেতাকর্মীদের মাঝে বিভক্তি। এই দুই প্রার্থীর হয়ে তারা মাঠে লড়ছেন। নির্বাচনী এলাকাজুড়ে এই ২ প্রার্থীরই পোস্টার চোখে পড়ার মতো। এর বাইরে অন্য প্রার্থীর পোস্টার প্রচার খুবই কম।
তবে চায়ের দোকানে বসা প্রায় পঞ্চাশ বছর বয়সী মুজিবুর রহমান মন্তব্য করেন নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই । বিরোধী দল না থাকলে
তো নির্বাচন জমে না। প্রতিদ্বন্দী দুই প্রার্থীই তো আওয়ামীলীগের। এখন নিজেরা নিজেরাই নির্বাচন করবে। নিজেদের মধ্যেই কিছু উত্তেজনা আছে। স্থানীয় মানুয়ের ভাবনা দুইজনের যেই আসুক, জয় হবে আওয়ামী লীগের। এখন দেখার বাকী নিজেদের মধ্যে কার জনপ্রিয়তা বেশি।