০৯:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাজীপুর টেলিফোন ভবনের ধস ঠেকানোর চেষ্টা বাঁশের খুঁটি দিয়ে

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সরকারি টেলিফোন ভবনের ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। ধস ঠেকাতে বাঁশের খুঁটিতে ঠেক দিয়ে রাখা হয়েছে ছাদ। আশঙ্কা, যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। তবুও এমন কক্ষেই রাখা হয়েছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি। এটি পরিত্যাক্ত বাড়ি কিংবা বেসরকারি কোনো অফিসে চিত্র নয়। ঠিক এমন চিত্র দেখা মিলবে কাজীপুর উপজেলার সরকারি টেলিফোন ভবনে গেলে।

জানা যায়, ১৯৮৬ সালে নির্মিত ভবনের দোতালা ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ছাদ ছাড়াও বাইরের দেয়ালের পলেস্তারাও খসে পড়ছে। সিঁড়ির রেলিংয়ের কাঠ খসে গেছে কয়েক জায়গায়। নিচ তলার কক্ষে রাখা হয়েছে গুটি কয়েক টেবিল ও বেঞ্চ। আর দোতলার কক্ষে তার ও টেলিফোনের যন্ত্রপাতি।

তবে ভবনটি জরাজীর্ণ হলেও কোনো সংস্কার না করেই রক্ষণাবেক্ষণ তহবিল থেকে ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে বাইরের দেয়ালে রং করা হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ বিটিসিএল কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ডের (বিটিটিবি) কাজীপুর শাখার অফিস তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ২০০০ সালের ১০ জুলাই উদ্বোধন করেছিলেন। ২০০৮ সালের ১ জুলাই বিটিটিবিকে পুনর্গঠন করে এর নাম দেওয়া হয় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।

এ বিটিসিএলের মাধ্যমে কাজীপুরে তিনশ টেলিফোন সংযোগের ধারণক্ষমতা থাকলেও তখন সর্বোচ্চ গ্রাহকসংখ্যা হয় দুইশো। তবে বর্তমানে কাজীপুর আঞ্চলিক সড়কের কাজ চলমান থাকায় ভূগর্ভস্থ সংযোগ-বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কিন্তু রেডিও লিংকের মাধ্যমে ২৪টি সংযোগে সেবা চালু রয়েছে। বর্তমানে ওই অফিসে সংযোগ লাইন দেখভালের জন্য পাঁচজন দায়িত্ব পালন করছেন।

লাইনম্যান মজনু সেখ সবুজ বাংলাকে বলেন, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে এ জন্য বাঁশের খুঁটি দিয়ে রাখা হয়েছে। খুটি না দিলে যে কোনো সময় যন্ত্রগুলোর উপরে পলেস্তারা ভেঙে পড়তে পারে।

কাজীপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদার সবুজ বাংলাকে বলেন, টেলিফোন ভবনের কোনো সেবা আমরা ইদানিং পাচ্ছি না। ভবনের দেওয়াল ও ছাদের পলেস্তারাা ও খসে পড়ছে। ভবনের ভিতরে নাকি বাঁশের খুঁটি দিয়ে রেখেছি শুনেছি।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সিরাজগঞ্জের সহকারী ব্যবস্থাপক (টেলিকম) গোলাম আজম সবুজ বাংলাকে বলেন, কাজীপুর আঞ্চলিক সড়ক প্রশস্ত করার কাজ চলমান থাকায় মাটির নিচের কেবল গুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এ জন্য টেলিফোন সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তবে এখন আর কেবল নয়, অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে এ সেবা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে দ্রুত ওই ভবন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ বিটিসিএলের ব্যবস্থাপক (কারিগরি) আব্দুল্লাহ আল মামুন সবুজ বাংলাকে বলেন, দোতলার ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। তাই ঝুঁকি এড়াতে লাইনম্যানরা ভবনের ছাদের সঙ্গে বাঁশের খুঁটি দিয়ে রেখেছে। বিষয়টি আমার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কাজীপুর টেলিফোন ভবনের ধস ঠেকানোর চেষ্টা বাঁশের খুঁটি দিয়ে

আপডেট সময় : ০৪:৪৬:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সরকারি টেলিফোন ভবনের ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। ধস ঠেকাতে বাঁশের খুঁটিতে ঠেক দিয়ে রাখা হয়েছে ছাদ। আশঙ্কা, যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। তবুও এমন কক্ষেই রাখা হয়েছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি। এটি পরিত্যাক্ত বাড়ি কিংবা বেসরকারি কোনো অফিসে চিত্র নয়। ঠিক এমন চিত্র দেখা মিলবে কাজীপুর উপজেলার সরকারি টেলিফোন ভবনে গেলে।

জানা যায়, ১৯৮৬ সালে নির্মিত ভবনের দোতালা ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। ছাদ ছাড়াও বাইরের দেয়ালের পলেস্তারাও খসে পড়ছে। সিঁড়ির রেলিংয়ের কাঠ খসে গেছে কয়েক জায়গায়। নিচ তলার কক্ষে রাখা হয়েছে গুটি কয়েক টেবিল ও বেঞ্চ। আর দোতলার কক্ষে তার ও টেলিফোনের যন্ত্রপাতি।

তবে ভবনটি জরাজীর্ণ হলেও কোনো সংস্কার না করেই রক্ষণাবেক্ষণ তহবিল থেকে ৪৫ হাজার টাকা ব্যয়ে বাইরের দেয়ালে রং করা হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ বিটিসিএল কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ডের (বিটিটিবি) কাজীপুর শাখার অফিস তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ২০০০ সালের ১০ জুলাই উদ্বোধন করেছিলেন। ২০০৮ সালের ১ জুলাই বিটিটিবিকে পুনর্গঠন করে এর নাম দেওয়া হয় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।

এ বিটিসিএলের মাধ্যমে কাজীপুরে তিনশ টেলিফোন সংযোগের ধারণক্ষমতা থাকলেও তখন সর্বোচ্চ গ্রাহকসংখ্যা হয় দুইশো। তবে বর্তমানে কাজীপুর আঞ্চলিক সড়কের কাজ চলমান থাকায় ভূগর্ভস্থ সংযোগ-বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কিন্তু রেডিও লিংকের মাধ্যমে ২৪টি সংযোগে সেবা চালু রয়েছে। বর্তমানে ওই অফিসে সংযোগ লাইন দেখভালের জন্য পাঁচজন দায়িত্ব পালন করছেন।

লাইনম্যান মজনু সেখ সবুজ বাংলাকে বলেন, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে এ জন্য বাঁশের খুঁটি দিয়ে রাখা হয়েছে। খুটি না দিলে যে কোনো সময় যন্ত্রগুলোর উপরে পলেস্তারা ভেঙে পড়তে পারে।

কাজীপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদার সবুজ বাংলাকে বলেন, টেলিফোন ভবনের কোনো সেবা আমরা ইদানিং পাচ্ছি না। ভবনের দেওয়াল ও ছাদের পলেস্তারাা ও খসে পড়ছে। ভবনের ভিতরে নাকি বাঁশের খুঁটি দিয়ে রেখেছি শুনেছি।

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সিরাজগঞ্জের সহকারী ব্যবস্থাপক (টেলিকম) গোলাম আজম সবুজ বাংলাকে বলেন, কাজীপুর আঞ্চলিক সড়ক প্রশস্ত করার কাজ চলমান থাকায় মাটির নিচের কেবল গুলো নষ্ট হয়ে গেছে। এ জন্য টেলিফোন সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তবে এখন আর কেবল নয়, অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে এ সেবা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে দ্রুত ওই ভবন সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ বিটিসিএলের ব্যবস্থাপক (কারিগরি) আব্দুল্লাহ আল মামুন সবুজ বাংলাকে বলেন, দোতলার ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। তাই ঝুঁকি এড়াতে লাইনম্যানরা ভবনের ছাদের সঙ্গে বাঁশের খুঁটি দিয়ে রেখেছে। বিষয়টি আমার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।