মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় নৌকা প্রতীকের প্রচারণা করতে গিয়ে হামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা সহ দুই সমর্থক আহত করার অভিযোগ উঠেছে কাঁচি সমর্থকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে পৌনে চারটার সময় উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের বালুচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।আহতরা হলেন বালুচর গ্রামে নৌকা প্রতীকের সমর্থক, ও গজারিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান(৪৬), সে মৃত আব্দুল হকের ছেলে অন্য আরেকজন আজিজুল ইসলাম, (৫০) সে আমির হোসেনের ছেলে।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন গজারিয়া গ্রামের নসু তাতির ছেলে বড় আলী নুর, এবং খলিল মুন্সির ছেলে ছোট আলী নুর বলে জানা যায়।
বিষয়টি সম্পর্কে হামলার শিকার নৌকা প্রতীকের সমর্থক মিজানুর রহমান জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি মার্কার ১০-১৫ জন লোক এসে নৌকা মার্কার ভোট চাওয়া অবস্থায় আমাদের উপর হামলা করে মারধর শুরু করে। তারা হামলার শুরু করলে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট চাইতে আসা নেতা কর্মীরা দিকবি দিক ছুঁটে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও আমরা কয়েকজন পালাতে না পারায় আমাদের উপর মারধর টা বেশি হয়। তাছাড়া কাঁচি প্রতিকের লোকজন গ্রাম থেকে আমাদেনর বেড় হইয়া যাইতে বলে এবং নৌকা মার্কায় একটা ভোট কেন্দ্র পড়লে আমদের দুনিয়ায় থেকে বিদায় করে দেওয়ার হুমকি দেয়।
ওরা সকলে কাঁচির পক্ষের লোক ওরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম এর লোক। আমিরুল ইসলামের ছেলে জয় এর সঙ্গে ওরা থাকে।কাঁচির ওরা সকলে জয় গ্রুপের।
এই ঘটনায় আরেক আহত আজিজুল ইসলাম জানান,বালুচর গ্রামে মৃণাল কান্তি দাসের নৌকার প্রতিকের ভোট চাওয়ার সময় চারজন ছেলে এসে বলে তদের বাড়ি কই এ গ্রামে তদের ভোট চাইতে সাহস দিছে কে তরা ধারা এনে। তখন ছোট আলিনুর, বড় আলিনুর নামের দুই জন ছেলে এসে গাল মন্দ শুরু করে । তাছাড়া হুমকি দিয়ে বলে তরে এখানে ভোট চাইতে সাহস্য দিছে কে। যদি কাঁচির বাহিরে একটা ভোট পড়ে তাইলে তরে মাইরা ফালাইবো এটাই ফাইনাল। তর এদিক দিয়ে ডুকাবো ওই দিক দিয়ে বাহির করবো,আজকাই বাড়ি ছেড়ে চলে যাবি,এটা বলেই সঙ্গে থাকা সকলকে বলে না ওরে ধর,এ বলেই কিল ঘুষি দেয়া শুর করে। এতে আমার ঠুঁট ফেটে গেছে,মাথায় একাধিক কিল-ঘুষি আঘাতের কারনে প্রচন্ড ব্যাথা হচ্ছে ।
ঘটনাটি সম্পর্কে গজারিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেলোয়ার মেম্বার জানান, ঘটনাটি শোনেছি আওয়ামী লীগ করে নৌকা পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে আমার সংগঠনের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। এই ঘটনার তিব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানাই।
বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সারমিন সুলতানা বলেন, বিকাল ৫ টায় দুই জন রোগী হাসপাতালে আসে এদের মধ্যে একজনের অবস্থা কিছুটা গুরুত্ব মাথার পিছনে আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। আর বাকি আরেক জনের শরীরে কিল ঘুষির আঘাত রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ভর্তি করা হয়ছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম এর ছেলে আশ্রাফুল ইসলাম(জয়)এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে জানায় এ বিষয়ে সে অবগত নয়।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ মো: রাজিব খান জানান, দুই প্রার্থীর সমার্থকদের মধ্যে হামলার ঘটনা শুনেছি। ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি পরবর্তিতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।





















