নাটোরের নলডাঙ্গায় আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি মাস্টার কী ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) নলডাঙ্গা উপজেলা থেকে রাতে পুলিশি চেক পোষ্ট বসিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার হলুদঘর গ্রামের মো. সাইদুল ইসলাম কাজীর ছেলে মো. আবির ইসলাম (আবিদ) ও রবিউল (১৯) ও রুহুল আমীন (১৮), একই গ্রামের রাজু আহমেদের ছেলে শাকিল আহম্মেদ জীম (১৯) ও বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার মালসন গ্রামের মোস্তফার ছেলে মো. মোতালেব (২১)।
পুলিশ জানান, শুক্রবার বিকেলে নলডাঙ্গা উপজেলার পূর্ব মাধনগর গ্রামের জনৈক মো. আসাদুজ্জামান তার ব্যবহৃত ১৫০ সিসি লাল-কালো রংয়ের পালসার মোটরসাইকেলটি (রেজিঃ নং-নাটোর-ল-১১-৭৮১১) নলডাঙ্গা থানাধীন দুর্লভপুর গ্রামস্থ বীরকুৎসা স্টেশন মসজিদের পশ্চিমে নাটোর-নওগাঁগামী পাকা রাস্তার পশ্চিম পাশে রেখে ট্রাক্টর দ্বারা পার্শবর্তী মাঠের জমিতে চাষ করতে থাকেন।
এ সময় তারা ওই মোটরসাইকেলটি একটি মাস্টার কী দ্বারা কৌশলে লক ভেঙে চুরি করার চেষ্টা করলে গাড়ির মালিক মাঠ থেকে তা দেখতে পান। এ অবস্থায় তিনি চিৎকার শুরু করলে চোর চক্রটি দ্রুত সেখান থেকে নলডাঙ্গা বাজার অভিমুখে পালিয়ে যায়। এ সময় তিনি থানা পুলিশকে অবগত করলে চক্রটিকে আটক করার জন্য পুলিশি অভিযান শুরু হয়। পরে ওই তথ্যের ভিত্তিতে সংঘবদ্ধ চোর চক্রটিকে আটক করার জন্য নলডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি চৌকশ টিমের সমন্বয়ে থানা এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশি চেক পোষ্ট বসানো হয়। একই সঙ্গে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। এছাড়া চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি মাস্টার কী ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ারুজ্জামান বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধর মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।


























