ওর কর্মগুণে পাশ করবে,আমার ছেলে হিসেবে নয়।মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লব এর পক্ষে নির্বাচনী সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর মহিউদ্দিন তার ছেলের নির্বাচনী পচারণায় এ কথা বলেন।

জমে উঠেছে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। মুন্সিগঞ্জ সদর ও গজারিয়ার চায়ের টং দোকানের আড্ডা থেকে শুরু করে সমস্ত গজারিয়া জুড়ে নির্বাচনী আমেজ বৈচ্ছে।বাউশিয়া ইউনিয়নের সমাজসেবক হারুন সিকদার এর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের এমএ আজহার উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লব এর পক্ষে বিশ্বাল জনসমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

আগামী ৭ জানুয়ারি হতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু এবং গঠন মূলক নির্বাচন করে জাতিকে উপহার দিতে  সিইসি ও নিয়েছে জাতীয় ভাবে ব্যাপক

কর্মসূচি ও পরিকল্পনা।

এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জের লোহ-মানব খ্যাত বঙ্গবন্ধু সহচর ও মুন্সিগঞ্জ জেলা পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লব এর কাঁচি প্রতীকের পক্ষে গজারিয়া ঘুরে ঘুরে ভোট চাচ্ছেন।তিনি বক্তব্যে বলেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বতন্ত্র প্রার্থীর হবার সুযোগ করে দিয়েছে সকলকে। অটো পাশের দিন শেষ,মাঠ থেকে পাশ করে আসেন।প্রধান মন্ত্রী বলেছেন জনগনের মন জয় করে ভোটের মাঠ থেকে বিজয়ী হয়ে আসতে হবে। সেটা নৌকা হোক বা অন্য যে প্রতীকের পার্থী।৭ তারিখ ভোট দিতে নির্বিঘ্নে সকলে ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং ভোট প্রয়োগ করবেন এখানে কোনো অপশক্তি আপনাদের রুখতে পারবেনা।প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০০ আসনে নৌকা দেবার এক বক্তব্যে বলেছেন,আপনারা যারা ৩ হাজার ৬২ জন মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন আপনারাও নির্বাচন করতে পারবেন।এ কথার পর আমার ছেলে ফয়সাল বিপ্লব স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছে। ফয়সাল বিপ্লব আমার ছেলে হিসেবে নয়, ওর নিজ কর্মগুণে জয়ী হবে।আপনারা ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিবেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লব উক্ত সমাবেশে বক্তব্যে বলেন,আপনাদের জন্য কাজ করতে এসেছি।আমাকে দোয়া করবেন,আমি প্রতিশ্রুতি দেই না,তবে রব যদি আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেয় আপনাদের সেবা করে যাবো।আমার পরিবার কখনো আপনারদের সঙ্গে খারাপ করেনি কখনো করবোনা।যাকে ভোট দিলে আপনাদের উন্নয়ন হবে,আপনাদের চোখে যাকে যোগ্য মনে হয় আপনারা তাকেই ভোট দিবেন।আপনাদের চোখে যদি আমি ভোটের হকদার হয়ে থাকি তাহলে হক দার কে দিবেন।

।আশাকরি আপনাদের দোয়া এবং ভালোবাসায় ভোটের মাধ্যমে ৭ তারিখ কাঁচি মার্কাকে জয়যুক্ত করবেন।আপনারা দয়া করে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিবেন।

এসময় গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান   আমিরুল ইসলাম কাঁচির পক্ষে ভোট চান।কাঁচি প্রতীকের ফয়সাল বিপ্লব মুন্সিগঞ্জের সন্তান হলেও তার বেড়ে উঠা গজারিয়ায়।গজারিয়ার এমন কোনো গ্রাম নেই ফয়সাল বিপ্লব এর পদচারণ পরেনি।ফয়সাল বিপ্লবের পরিবার সব সময় আওয়ামী লীগের পক্ষে এবং গজারিয়া বাসীর কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ। মুন্সিগঞ্জ সদর -গজারিয়া কে আধুনিক করতে এবং প্রধান মন্ত্রীর রুপরেখা অনুযায়ী শতভাগ ভোট কেন্দ্র ভোটার উপস্থিতির মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ফয়সাল বিপ্লবের বিকল্প নেই।তাই সকলে ৭ তারিখ ভোটের মাধ্যমে যবার দিবেন অতীতের ১০ বছরের কর্মকান্ডের।

উক্ত সমাবেশে উপস্থিত থেকে আরো বক্তব্য রাখেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুনসুর আহম্মেদ খান জিন্নাহ,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুজামান আনিছ, সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান হাফিজ খান,উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আক্তার আখি,উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুতালেব ভুঁইয়া,বাউশিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান মনা,গজারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সহ  এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে সমাবেশ কে প্রাণবন্তকর করে তুলে।উক্ত সমাবেশে প্রায়  কয়েক হাজার  সমর্থক ও নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

হারুন সিকদার পরিশেষে বক্তব্যে বলেন,রাস্তা ঘাট,মসজিদ,মাদ্রাসা,স্কুল, কলেজ,সকল প্রতিষ্ঠানে তিনি অনুদান করেছে,কিন্তু বাউশিয়ার  এমএ আজহার উচ্চ বিদ্যালটি ইউনিয়নের মধ্যে একটি ঐতিহ্যবাহী স্কুল,এ স্কুলের সভাপতি ১০ বছর যাবত আমি। এ স্কুলে যদি সে বলতে পারে ১ টাকা অনুদান দিয়েছে তাহলে আমার ভোট সহ পরিবারের ভোট তাকে দিবো।সে ক্ষতায় থাকা কালীন বাউশিয়াতে ৩ টি খুন হয়েছে তার পক্ষের লোকজনের হাতে,নদীতে ডাকাতি হয় তার পোলাপান এর হাতে।আপনারা যদি তাকে ভোট দিন তাহলে সে আবার তার