১১:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাগজে কলমে ৬-৭ নম্বর দল হলেও আমাদের সামর্থ্য আছে : সুজন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে কাগজে কলমে সবচেয়ে দুর্বল দল ধরা হচ্ছে দুর্দান্ত ঢাকাকে। যদিও একসময় ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজিতে থাকা ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স, ঢাকা ডায়নামাইটস তারকাবহুল দল গড়ে আসরের আগেই চমকে দিল সবাইকে। এবার শক্তিশালী দল না হলেও বিপিএলে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেন দুর্দান্ত ঢাকার প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।

ঢাকা এবার দল সাজিয়েছে তারকাবহুল পেস আক্রমণ নিয়ে। দলে আছেন জাতীয় দলের দুই নিয়মিত পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সাইফ হাসানরা দলটির শক্তি বৃদ্ধি করেছেন। এ ছাড়া বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সাদিরা সামারাবিক্রমা, সাইম আইয়ুবের মতো তরুণ ক্রিকেটাররা দলটির শোভা বাড়াবেন।

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সুজন জানিয়েছেন তাদের প্রধান লক্ষ্য নক আউট নিশ্চিত করা। সব দলই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছুটা বাস্তবিক চিন্তা করতে চান সুজন। তিনি জানিয়েছেন, তার দলের প্রথম ধাপের লক্ষ্য নক আউট নিশ্চিত করা। এরপর তারা ফাইনাল নিয়ে ভাববেন।

নিজেদের দলের প্রতি প্রত্যাশা নিয়ে সুজন বলেছেন, ‘যখনই যে দল গড়ে তখনই সে দল তার লক্ষ্য নিয়ে গড়ে। চ্যাম্পিয়ন তো সবসময়ই টার্গেট থাকে। যদি আমি রিয়েলস্টেক চিন্তা করি তাহলে আমাদের যে শক্তি আছে অবশ্যই প্রথম ধাপটা হচ্ছে গিয়ে নক আউটে যাওয়া মানে সুপার ফোরে থাকা। প্রথম চারের মধ্যে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। চ্যাম্পিয়ন তো ভাগ্য লাগে নক আউটে গিয়ে ভালো খেলেও প্রথম ম্যাচে হেরে যান তাহলে আউট। প্রথম লক্ষ্য সেমি ফাইনাল স্টেজে যাওয়া।’

রোববার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুশীলন শুরু করলেও সুজন জানিয়েছেন তার দলের ক্রিকেটাররা অনুশীলনের মধ্যেই ছিলেন। সবার সঙ্গেই আগে থেকে যোগাযোগ ছিল তার। সবাইকেই পৃথক পৃথক অনুশীলনের সুবিধাও করে দিয়েছিলেন তিনি। তাই প্রস্তুতি নিয়ে খুব একটা ভাবার কারণ দেখছেন না ঢাকার কোচ।
সুজনের ভাষ্য, ‘প্রস্তুতি বলতে ছেলেরা সবাই কাজ করছিল, আমি জানি আমার সাথে সবার কথা হচ্ছিল। কিন্তু দল হিসেবে আজ (গতকাল) প্রথম শুরু করলাম, দলকে একসাথে করার একটা ব্যাপার ছিল। যার যেখানে প্রয়োজন ছিল, যার যেখানে প্রাকটিস করার সুযোগের দরকার ছিল সেটা আমি এরেঞ্জ করে দিয়েছিলাম সবাইকে। যার জন্য সবাই ট্রেনিংয়ের মধ্যে ছিল।’

বিপিএল শুরুর আগেই ঢাকাকে সবাই আন্ডারডগ ভাবছে। এটাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন সুজন। এমন দল নিয়ে কাজ করাই বেশি উপভোগ করেন তিনি। কারণ তার দলের হারানোর কিছু নেই। তাই প্রাপ্তির খাতায় যাই থাকবে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে চান সুজন।

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, আমার কাছে এটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। যেহেতু আমাদের নাম নেই, কাগজে কলমে সবাই ৬-৭ নম্বর দলই বলবে হয়তোবা। সে হিসেবে আমি কিছু মনে করব না। আমি চাই এরকম একটা দল নিয়েই কাজ করাটা বেশি আনন্দের থাকবে। আমাদের চ্যালেঞ্জটা বেশি থাকবে। কারণ আমাদের হারানোর ভয়টাও কিছু নেই। আমরা যেটাই করব সেটাই আমাদের পাওয়া হবে। আমি বিশ্বাস করি এমন না যে আমাদের সামর্থ্য নেই। সামর্থ্য আছে ঠিকই কিন্তু নাম নেই।’

জনপ্রিয় সংবাদ

কাবা শরীফ চত্বরে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা এক ব্যক্তির

কাগজে কলমে ৬-৭ নম্বর দল হলেও আমাদের সামর্থ্য আছে : সুজন

আপডেট সময় : ০৬:৫১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে কাগজে কলমে সবচেয়ে দুর্বল দল ধরা হচ্ছে দুর্দান্ত ঢাকাকে। যদিও একসময় ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজিতে থাকা ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স, ঢাকা ডায়নামাইটস তারকাবহুল দল গড়ে আসরের আগেই চমকে দিল সবাইকে। এবার শক্তিশালী দল না হলেও বিপিএলে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিলেন দুর্দান্ত ঢাকার প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন।

ঢাকা এবার দল সাজিয়েছে তারকাবহুল পেস আক্রমণ নিয়ে। দলে আছেন জাতীয় দলের দুই নিয়মিত পেসার তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সাইফ হাসানরা দলটির শক্তি বৃদ্ধি করেছেন। এ ছাড়া বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সাদিরা সামারাবিক্রমা, সাইম আইয়ুবের মতো তরুণ ক্রিকেটাররা দলটির শোভা বাড়াবেন।

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সুজন জানিয়েছেন তাদের প্রধান লক্ষ্য নক আউট নিশ্চিত করা। সব দলই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছুটা বাস্তবিক চিন্তা করতে চান সুজন। তিনি জানিয়েছেন, তার দলের প্রথম ধাপের লক্ষ্য নক আউট নিশ্চিত করা। এরপর তারা ফাইনাল নিয়ে ভাববেন।

নিজেদের দলের প্রতি প্রত্যাশা নিয়ে সুজন বলেছেন, ‘যখনই যে দল গড়ে তখনই সে দল তার লক্ষ্য নিয়ে গড়ে। চ্যাম্পিয়ন তো সবসময়ই টার্গেট থাকে। যদি আমি রিয়েলস্টেক চিন্তা করি তাহলে আমাদের যে শক্তি আছে অবশ্যই প্রথম ধাপটা হচ্ছে গিয়ে নক আউটে যাওয়া মানে সুপার ফোরে থাকা। প্রথম চারের মধ্যে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। চ্যাম্পিয়ন তো ভাগ্য লাগে নক আউটে গিয়ে ভালো খেলেও প্রথম ম্যাচে হেরে যান তাহলে আউট। প্রথম লক্ষ্য সেমি ফাইনাল স্টেজে যাওয়া।’

রোববার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুশীলন শুরু করলেও সুজন জানিয়েছেন তার দলের ক্রিকেটাররা অনুশীলনের মধ্যেই ছিলেন। সবার সঙ্গেই আগে থেকে যোগাযোগ ছিল তার। সবাইকেই পৃথক পৃথক অনুশীলনের সুবিধাও করে দিয়েছিলেন তিনি। তাই প্রস্তুতি নিয়ে খুব একটা ভাবার কারণ দেখছেন না ঢাকার কোচ।
সুজনের ভাষ্য, ‘প্রস্তুতি বলতে ছেলেরা সবাই কাজ করছিল, আমি জানি আমার সাথে সবার কথা হচ্ছিল। কিন্তু দল হিসেবে আজ (গতকাল) প্রথম শুরু করলাম, দলকে একসাথে করার একটা ব্যাপার ছিল। যার যেখানে প্রয়োজন ছিল, যার যেখানে প্রাকটিস করার সুযোগের দরকার ছিল সেটা আমি এরেঞ্জ করে দিয়েছিলাম সবাইকে। যার জন্য সবাই ট্রেনিংয়ের মধ্যে ছিল।’

বিপিএল শুরুর আগেই ঢাকাকে সবাই আন্ডারডগ ভাবছে। এটাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন সুজন। এমন দল নিয়ে কাজ করাই বেশি উপভোগ করেন তিনি। কারণ তার দলের হারানোর কিছু নেই। তাই প্রাপ্তির খাতায় যাই থাকবে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে চান সুজন।

তিনি বলেন, ‘অবশ্যই, আমার কাছে এটাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। যেহেতু আমাদের নাম নেই, কাগজে কলমে সবাই ৬-৭ নম্বর দলই বলবে হয়তোবা। সে হিসেবে আমি কিছু মনে করব না। আমি চাই এরকম একটা দল নিয়েই কাজ করাটা বেশি আনন্দের থাকবে। আমাদের চ্যালেঞ্জটা বেশি থাকবে। কারণ আমাদের হারানোর ভয়টাও কিছু নেই। আমরা যেটাই করব সেটাই আমাদের পাওয়া হবে। আমি বিশ্বাস করি এমন না যে আমাদের সামর্থ্য নেই। সামর্থ্য আছে ঠিকই কিন্তু নাম নেই।’