কিছুদিন বাদেই ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। প্রতিবছরের মতো এবারও পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে বইমেলার আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলা একাডেমি। সে উপলক্ষে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে এখনই। পুরোদমে চলছে স্টল ও প্যাভিলিয়ন নির্মাণের কাজ।
২৩ জানুয়ারি ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে লটারির মাধ্যমে বরাদ্দ দেওয়া হবে স্টল। বইমেলা ঘিরে প্রস্তুত প্রকাশনীগুলোও। দিন-রাত কাজ করছেন তারা। ১ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলা উদ্বোধন করবেন। সেদিনই পর্দা উঠবে বইমেলার।
গতকাল (শুক্রবার) বইমেলা প্রাঙ্গণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বাংলা একাডেমি চত্বর ঘুরে দেখা যায়, জোরেশোরে চলছে মেলার স্টল-প্যাভিলিয়ন নির্মাণের কাজ। স্টল নির্মাণে ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মীরা। বাংলা একাডেমির আঙিনায় উদ্বোধনী প্যান্ডেলের নির্মাণ শেষ হলেও প্রায় অর্ধেক স্টলের কাঠামো এখনও দাঁড়ায়নি। একাডেমির নির্দেশনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট ম্যাপ মেনে স্টল নির্মাণ চলছে। এছাড়া তথ্যকেন্দ্র, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, কবি-সাহিত্যিকদের আড্ডাসহ বিভিন্ন মঞ্চ ও বইমেলার মিডিয়া সেন্টার নির্মাণের কাজও চলছে।
বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, পত্রিকায় দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এ বছর প্রায় ৭০টি নতুন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মেলায় স্টল বরাদ্দের জন্য আবেদন করেছিল। সেখান থেকে এখন পর্যন্ত ২১টি প্রকাশনাকে বাছাই করা হয়েছে। এছাড়া গত বছরেরগুলো অপরিবর্তিত থাকছে। সব যাচাই-বাছাই শেষ হলে বইমেলায় কতগুলো স্টল থাকছে তা ২৩ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।
এবছর নতুন করে বাংলা একাডেমি থেকে ঢাকার ২৫টি স্কুলের শিক্ষকদের তাদের শিক্ষার্থীদের বইমেলায় আনার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছে। এবার মেট্রোরেলও চালু থাকবে রাত পর্যন্ত।
বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল জাগো নিউজকে বলেন, করোনার পর থেকে মেলা কিছুটা এলোমেলো ছিল। এবার বাংলা একাডেমি সম্পূর্ণ তদারকি করবে। আমাদের ভালো প্রস্তুতি রয়েছে। প্রতিটি প্রকাশনা ব্যস্ত।
বইমেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ডা. কেএম মুজাহিদুল ইসলাম জানান, বইমেলায় আগের তালিকাভুক্ত ৯৯১টি প্রকাশনা রয়েছে। এছাড়াও গত ২৮ ডিসেম্বরে আবেদনের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নতুন আরও ৭৭টি প্রতিষ্ঠান মেলায় স্টলের জন্য আবেদন করেছে। মেলার প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। মেলা যথা সময়ে শুরু এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী সম্মতি প্রদান করেছেন।























