০৬:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নাশকতা-দুর্ঘটনা এড়াতে প্রযুক্তিনির্ভর হচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ

ট্রেনে নাশকতা ও দুর্ঘটনা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রযুক্তিনির্ভর হচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে ৫টি ট্রেনে অর্ধশত সিসি ক্যামেরা বসিয়ে ট্রেনের ভেতর ও বাইরের দৃশ্য ধারণ করে যাত্রীসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে দেশের প্রতিটি রেলস্টেশন, বগি ও রেল লাইনজুড়ে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে যাত্রীরা বলছেন, রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সদিচ্ছার ওপরই নির্ভর করছে যাত্রীসেবা ও রেলের নিরাপত্তা। গতকাল শুক্রবার রেলযাত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অনাকাক্সিক্ষতভাবে রেলের ওপর শনিরদশা দেখা দেয়। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে রেললাইন কেটে ফেলা ও ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনায় শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছে ৮ জন। দুর্বৃত্তদের লাগানো নাশকতার আগুনে পুড়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয় রাষ্ট্রীয় এই সম্পদের। এতে আর্থিকভাবে কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে রাজনীতির মাঠে কথার লড়াই চললেও, এখনও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে দ্রুতগতিতে ছুটে চলা ট্রেনের নিরাপত্তায় করণীয় সম্পর্কে রেলওয়ে ভবনসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ে একাধিক বৈঠকও হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেলপথে যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে এবং দুর্ঘটনা ও নাশকতা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি অবশেষে প্রযুক্তির আওতায় আনা হচ্ছে রেলওয়ে বিভাগকে।
রেলের সাধারণ যাত্রীরা সবুজ বাংলাকে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে রেলকে টার্গেট করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে একশ্রেণির দুর্বৃত্তরা। বাড়তি টাকা উপার্জন করতে দুষ্কৃতকারীরা হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে প্রাণহানি ঘটেছে ট্রেনের যাত্রী হিসেবে ভ্রমণ করা নিরীহ শিশুসহ ৮ জনের। রেল যাত্রীদের মধ্যে এখনও পুরোনো সেই আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্ক নিয়ে গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটছেন রেলপথের যাত্রীরা। রেলপথের যাত্রী মনির হোসেন সবুজ বাংলাকে বলেন, দেশের গণপরিবহন খাতে সাশ্রয়ী মূল্যে সবচেয়ে নিরাপদ ও আরামদায়ক হচ্ছে রেলভ্রমণ। আমরা যেহেতু স্মার্ট বাংলাদেশে বসবাস করছি তাই রেলে যাত্রীসেবা নিশ্চিতে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুরোপুরি সম্ভব নয়, তাদের সহায়ক শক্তি হিসেবে তথ্য উদ্ঘাটন ও অপরাধী শনাক্তে রেলের ভেতর ও বাহিরে এবং স্টেশনগুলোতে ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগকে আমরা পজিটিভভাবেই দেখছি। তবে যাত্রীসেবা ও রেলের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়টি রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সদিচ্ছার ওপরই নির্ভর করছে বলে জানান সাধারণ যাত্রীরা।
এদিকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, রেলের নিজস্ব কোনো আইটি বিভাগ নেই, তাই তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এরই মধ্যেই ৫টি ট্রেনে লাগানো হয়েছে অর্ধশত সিসি ক্যামেরা। এসব ক্যামেরায় ধারণকৃত দৃশ্য আপাতত ৭ দিন ডাটা সার্ভারে সংরক্ষিত থাকবে। প্রতিদিনই ধারণকৃত এসব দৃশ্য চুলচেরা বিশ্লেষণ করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান সবুজ বাংলাকে বলেন, রেলে যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করছি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রেলের ওপর দুর্বৃত্তরা যে ধরনের নাশকতা চালিয়ে মানুষ হত্যা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষতিসাধন করেছে, তা কারো কাম্য নয়। পৃথক এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে। অপরাধী ধরতে কাজ করছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অতীতের এমন অনাকাক্সিক্ষত কর্মকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে যাত্রী ও রেলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশপাশি রেলপথ, যাত্রী সাধারণ ও রেলের ভেতর-বাহিরের সার্বিক দৃশ্য ধারণ করতে প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকেই বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের ডাটা স্টোর হয়ে থাকবে। এছাড়া লাইভ দেখার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। রেলের নিরাপত্তা কর্মীরা কে কখন কোথায় কী করছে তাও প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে সহজেই আমরা জানতে পারছি। এরই মধ্যেই ৫টি ট্রেনে ৫০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তা নিয়মিত মনিটরিংও করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি রেলস্টেশন, বগি ও দীর্ঘপথের রেললাইন প্রযুক্তির আওতায় আনার কাজ চলছে। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। এসব প্রযুক্তি ব্যবহারে যাত্রীসেবা নিশ্চিতকরণ ও অপরাধী শনাক্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে জানান রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান।
এদিকে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেলে নাশকতার মূল হোতাদের ধরাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, শুধু সিসি ক্যামেরা বসালেই নাশকতাকারীদের ধরা যাবে না। কারণ এখনকার নাশকতাকারীদের যে টেকনিক তা শুধু ক্যামেরার মাধ্যমে ধরা যাবে না। তবে যারা এই নাশকতার জন্য ভাড়া করছে তাদের ধরা যাবে। নাশকতাকারীরা ইসরায়েলের গোত্র। মূলত এর পেছনের লোকগুলোকে সামনে এনে কঠিন বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তবেই যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন ও রেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।

 

 

 

স/ম

জনপ্রিয় সংবাদ

বিএনপির পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ

নাশকতা-দুর্ঘটনা এড়াতে প্রযুক্তিনির্ভর হচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ

আপডেট সময় : ১১:৪৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

ট্রেনে নাশকতা ও দুর্ঘটনা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রযুক্তিনির্ভর হচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে ৫টি ট্রেনে অর্ধশত সিসি ক্যামেরা বসিয়ে ট্রেনের ভেতর ও বাইরের দৃশ্য ধারণ করে যাত্রীসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে দেশের প্রতিটি রেলস্টেশন, বগি ও রেল লাইনজুড়ে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তবে যাত্রীরা বলছেন, রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সদিচ্ছার ওপরই নির্ভর করছে যাত্রীসেবা ও রেলের নিরাপত্তা। গতকাল শুক্রবার রেলযাত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অনাকাক্সিক্ষতভাবে রেলের ওপর শনিরদশা দেখা দেয়। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে রেললাইন কেটে ফেলা ও ট্রেনে আগুন দেয়ার ঘটনায় শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছে ৮ জন। দুর্বৃত্তদের লাগানো নাশকতার আগুনে পুড়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয় রাষ্ট্রীয় এই সম্পদের। এতে আর্থিকভাবে কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে রাজনীতির মাঠে কথার লড়াই চললেও, এখনও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই রয়ে গেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে দ্রুতগতিতে ছুটে চলা ট্রেনের নিরাপত্তায় করণীয় সম্পর্কে রেলওয়ে ভবনসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ে একাধিক বৈঠকও হয়েছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রেলপথে যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে এবং দুর্ঘটনা ও নাশকতা রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি অবশেষে প্রযুক্তির আওতায় আনা হচ্ছে রেলওয়ে বিভাগকে।
রেলের সাধারণ যাত্রীরা সবুজ বাংলাকে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে রেলকে টার্গেট করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে একশ্রেণির দুর্বৃত্তরা। বাড়তি টাকা উপার্জন করতে দুষ্কৃতকারীরা হয়তো এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এতে প্রাণহানি ঘটেছে ট্রেনের যাত্রী হিসেবে ভ্রমণ করা নিরীহ শিশুসহ ৮ জনের। রেল যাত্রীদের মধ্যে এখনও পুরোনো সেই আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্ক নিয়ে গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটছেন রেলপথের যাত্রীরা। রেলপথের যাত্রী মনির হোসেন সবুজ বাংলাকে বলেন, দেশের গণপরিবহন খাতে সাশ্রয়ী মূল্যে সবচেয়ে নিরাপদ ও আরামদায়ক হচ্ছে রেলভ্রমণ। আমরা যেহেতু স্মার্ট বাংলাদেশে বসবাস করছি তাই রেলে যাত্রীসেবা নিশ্চিতে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুরোপুরি সম্ভব নয়, তাদের সহায়ক শক্তি হিসেবে তথ্য উদ্ঘাটন ও অপরাধী শনাক্তে রেলের ভেতর ও বাহিরে এবং স্টেশনগুলোতে ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগকে আমরা পজিটিভভাবেই দেখছি। তবে যাত্রীসেবা ও রেলের নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়টি রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সদিচ্ছার ওপরই নির্ভর করছে বলে জানান সাধারণ যাত্রীরা।
এদিকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, রেলের নিজস্ব কোনো আইটি বিভাগ নেই, তাই তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে এরই মধ্যেই ৫টি ট্রেনে লাগানো হয়েছে অর্ধশত সিসি ক্যামেরা। এসব ক্যামেরায় ধারণকৃত দৃশ্য আপাতত ৭ দিন ডাটা সার্ভারে সংরক্ষিত থাকবে। প্রতিদিনই ধারণকৃত এসব দৃশ্য চুলচেরা বিশ্লেষণ করে পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ নিচ্ছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান সবুজ বাংলাকে বলেন, রেলে যাত্রীসেবার মানোন্নয়নে ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করছি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রেলের ওপর দুর্বৃত্তরা যে ধরনের নাশকতা চালিয়ে মানুষ হত্যা ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষতিসাধন করেছে, তা কারো কাম্য নয়। পৃথক এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে। অপরাধী ধরতে কাজ করছে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অতীতের এমন অনাকাক্সিক্ষত কর্মকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিয়ে যাত্রী ও রেলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশপাশি রেলপথ, যাত্রী সাধারণ ও রেলের ভেতর-বাহিরের সার্বিক দৃশ্য ধারণ করতে প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকেই বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের ডাটা স্টোর হয়ে থাকবে। এছাড়া লাইভ দেখার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। রেলের নিরাপত্তা কর্মীরা কে কখন কোথায় কী করছে তাও প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে সহজেই আমরা জানতে পারছি। এরই মধ্যেই ৫টি ট্রেনে ৫০টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তা নিয়মিত মনিটরিংও করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি রেলস্টেশন, বগি ও দীর্ঘপথের রেললাইন প্রযুক্তির আওতায় আনার কাজ চলছে। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। এসব প্রযুক্তি ব্যবহারে যাত্রীসেবা নিশ্চিতকরণ ও অপরাধী শনাক্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে জানান রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান।
এদিকে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেলে নাশকতার মূল হোতাদের ধরাই আমাদের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, শুধু সিসি ক্যামেরা বসালেই নাশকতাকারীদের ধরা যাবে না। কারণ এখনকার নাশকতাকারীদের যে টেকনিক তা শুধু ক্যামেরার মাধ্যমে ধরা যাবে না। তবে যারা এই নাশকতার জন্য ভাড়া করছে তাদের ধরা যাবে। নাশকতাকারীরা ইসরায়েলের গোত্র। মূলত এর পেছনের লোকগুলোকে সামনে এনে কঠিন বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। তবেই যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন ও রেলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলেও জানান রেলমন্ত্রী।

 

 

 

স/ম