০৩:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জমে উঠেছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা

রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) চলছে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। এবারের মেলা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে নির্ধারিত সময়ের কয়েক দিন দেরিতে শুরু হয়।
বাণিজ্যমেলা শুরুর পর প্রথম ছুটির দিন উপলক্ষে মেলা প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। সকাল থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আগমন শুরু হয়। ছুটির দিন হওয়ায় আশপাশের জেলা থেকেও প্রচুর লোক ভিড় জমিয়েছেন মেলায়। এতে বিক্রি বেড়েছে স্টলগুলোতে। বিগত দিনের তুলনায় ছুটির দিনে বেচাবিক্রি বেশি হবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা। যদিও ক্রেতারা বলছেন, বেশির ভাগ নন-ব্র্যান্ডের স্টলগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত দাম রাখা হচ্ছে।
গতকাল সকাল থেকে সরেজমিনে গিয়ে বাণিজ্যমেলা ঘুরে দর্শনার্থী এবং বিভিন্ন স্টলের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাণিজ্যমেলার ৫ম দিনে সকাল থেকেই মেলার প্রধান প্রবেশদ্বারে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশের পর দেখা গেছে লোকে লোকারণ্য। কেউ এসেছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে, কেউ বা এসেছেন বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে। অনেকে একাই এসেছেন পরখ করে নিতে। পরে সুবিধাজনক সময়ে পরিকল্পনা নিয়ে সপরিবারে আসবেন বলে। তবে আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে ছবি তুলে সময় কাটাতে দেখা গেছে। আবার অনেকে পছন্দের পণ্যটি খুঁজছেন এবং কেনাকাটা করছেন। এদিন বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়নে ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। গৃহস্থালির সামগ্রী, পোশাক, ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রসহ প্রায় সব কিছুতেই ক্রেতাদের আগ্রহ দেখা গেছে। মেলায় আসা দর্শনার্থীরা জানান, বিভিন্ন পণ্য একসঙ্গে দেখার ও কেনার সুযোগ পেয়ে তারা খুশি। ছুটির দিন থাকায় আজ অধিকাংশ দর্শনার্থী পরিবার-পরিজন নিয়ে মেলায় এসেছেন। মেলায় ঘুরে দেখা ও কেনাকাটা করার জন্য তারা বেশ আনন্দিত।
অন্যদিকে বিক্রেতারাও আজকের ভিড়ে বেশ খুশি। তাদের মতে, ছুটির দিনের কারণে আজ ক্রেতাদের ভিড় বেশি। বিক্রেতারা জানান, তাই আজ তাদের বিক্রিও বেশ ভালো হচ্ছে। মেলায় নিরাপত্তার ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মেলা প্রাঙ্গণে মোতায়েন রয়েছেন। ইপিবির (রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো) পক্ষ থেকে জানায়, এবারের বাণিজ্যমেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের সংখ্যা ৩৫১টি, যা বিগত বছরে ছিল ৩৩১টি। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩০০ বর্গফুট আয়তনের দুটি হলে (এ ও বি) ১৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেন্টারের প্রধান ফটকের পূর্বপাশে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নসহ প্রিমিয়ার ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল রয়েছে ৬২টি। হলের পেছনে ফরেন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন এবং প্রিমিয়ার ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নসহ প্রিমিয়ার ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল রয়েছে ৫৩টি। সেন্টারের মূল কম্পাউন্ডের বাইরে ৬ একর জমির একাংশে ফুড জোন (৩২টি রেস্তোরাঁ ও মিনি রেস্তোরাঁ) এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল রয়েছে ৬২টি। পাশাপাশি গত বছরের তুলনায় এ বছর মেলায় প্রবেশমূল্যও বেড়েছে। এবারের মেলায় প্রবেশের টিকিট ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া শিশুদের টিকিট ৩০ টাকা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

সপরিবারে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন তারেক রহমান

জমে উঠেছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা

আপডেট সময় : ১১:৫৪:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

রাজধানীর পূর্বাচলে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) চলছে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। এবারের মেলা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে নির্ধারিত সময়ের কয়েক দিন দেরিতে শুরু হয়।
বাণিজ্যমেলা শুরুর পর প্রথম ছুটির দিন উপলক্ষে মেলা প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। সকাল থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আগমন শুরু হয়। ছুটির দিন হওয়ায় আশপাশের জেলা থেকেও প্রচুর লোক ভিড় জমিয়েছেন মেলায়। এতে বিক্রি বেড়েছে স্টলগুলোতে। বিগত দিনের তুলনায় ছুটির দিনে বেচাবিক্রি বেশি হবে বলে আশা করছেন বিক্রেতারা। যদিও ক্রেতারা বলছেন, বেশির ভাগ নন-ব্র্যান্ডের স্টলগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত দাম রাখা হচ্ছে।
গতকাল সকাল থেকে সরেজমিনে গিয়ে বাণিজ্যমেলা ঘুরে দর্শনার্থী এবং বিভিন্ন স্টলের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাণিজ্যমেলার ৫ম দিনে সকাল থেকেই মেলার প্রধান প্রবেশদ্বারে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। টিকিট কেটে ভেতরে প্রবেশের পর দেখা গেছে লোকে লোকারণ্য। কেউ এসেছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে, কেউ বা এসেছেন বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে। অনেকে একাই এসেছেন পরখ করে নিতে। পরে সুবিধাজনক সময়ে পরিকল্পনা নিয়ে সপরিবারে আসবেন বলে। তবে আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে বেশির ভাগই মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে ছবি তুলে সময় কাটাতে দেখা গেছে। আবার অনেকে পছন্দের পণ্যটি খুঁজছেন এবং কেনাকাটা করছেন। এদিন বাণিজ্যমেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্টল ও প্যাভিলিয়নে ক্রেতাদের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। গৃহস্থালির সামগ্রী, পোশাক, ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রসহ প্রায় সব কিছুতেই ক্রেতাদের আগ্রহ দেখা গেছে। মেলায় আসা দর্শনার্থীরা জানান, বিভিন্ন পণ্য একসঙ্গে দেখার ও কেনার সুযোগ পেয়ে তারা খুশি। ছুটির দিন থাকায় আজ অধিকাংশ দর্শনার্থী পরিবার-পরিজন নিয়ে মেলায় এসেছেন। মেলায় ঘুরে দেখা ও কেনাকাটা করার জন্য তারা বেশ আনন্দিত।
অন্যদিকে বিক্রেতারাও আজকের ভিড়ে বেশ খুশি। তাদের মতে, ছুটির দিনের কারণে আজ ক্রেতাদের ভিড় বেশি। বিক্রেতারা জানান, তাই আজ তাদের বিক্রিও বেশ ভালো হচ্ছে। মেলায় নিরাপত্তার ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মেলা প্রাঙ্গণে মোতায়েন রয়েছেন। ইপিবির (রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো) পক্ষ থেকে জানায়, এবারের বাণিজ্যমেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের সংখ্যা ৩৫১টি, যা বিগত বছরে ছিল ৩৩১টি। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩০০ বর্গফুট আয়তনের দুটি হলে (এ ও বি) ১৭৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেন্টারের প্রধান ফটকের পূর্বপাশে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নসহ প্রিমিয়ার ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল রয়েছে ৬২টি। হলের পেছনে ফরেন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়ন এবং প্রিমিয়ার ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নসহ প্রিমিয়ার ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল রয়েছে ৫৩টি। সেন্টারের মূল কম্পাউন্ডের বাইরে ৬ একর জমির একাংশে ফুড জোন (৩২টি রেস্তোরাঁ ও মিনি রেস্তোরাঁ) এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত ক্যাটাগরির স্টল রয়েছে ৬২টি। পাশাপাশি গত বছরের তুলনায় এ বছর মেলায় প্রবেশমূল্যও বেড়েছে। এবারের মেলায় প্রবেশের টিকিট ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া শিশুদের টিকিট ৩০ টাকা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে।