যথাসময়ে সঠিক চিকিৎসায় শিশুর ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু হেমাটোলোজি ও অনকোলোজি বিভাগে জাতীয় ক্যানসার দিবস উপলক্ষ্যে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও বৈজ্ঞানিক সেমিনারের উদ্বোধনীতে তিনি এ কথা বলেন। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-ব্লক থেকে শুরু হয়ে ডি ব্লক প্রদক্ষিণ করে সি ব্লকে গিয়ে শেষ হয়।
এসব কর্মসূচিতে জানানো হয়, প্রতি বছর বিশ্বে অন্তত ৪ লাখ শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। উন্নত দেশগুলোতে ক্যান্সার থেকে রোগীর সুস্থ হওয়ার হার প্রায় ৮০ শতাংশ। বর্তমানে বাংলাদেশে এ হার প্রায় ৩০ শতাংশ। তবে যথাসময়ে ক্যান্সার শনাক্ত করা গেলে এবং উন্নত চিকিৎসা পেলে ৭০ শতাংশ রোগী ভালো হয়। সচেতনতার অভাব, মাত্রাতিরিক্ত চিকিৎসার ব্যয়, স্বাস্থ্যসেবার সুযোগের অভাবসহ নানা কারণে বেশির ভাগ ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু মারা যায়।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, শিশুদের ক্যান্সার হয় সেটি অনেকে জানে না। শিশুরা অসুস্থ হলে নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হয়। এসব পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় শিশু কোন রোগে আক্রান্ত। শিশুরা ক্যান্সার আক্রান্ত হলে নিয়মিত চিকিৎসা করলে তা নিরাময় করা সম্ভব হয়। শিশু ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা চলমান রয়েছে। শিশুদের ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়। এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় এফ ব্লকে স্বল্প খরচে সফলভাবে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। আমরা শিশুদের বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করার জন্য নানান উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার চাওয়া ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে স্মার্ট দেশে রুপান্তর করা। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাস্থ্যখাতকেও স্মার্ট করে গড়ে তুলব। যাতে দেশের কোনো রোগী বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করতে না হয়। দেশের রোগীরা দেশেই চিকিৎসা পাবে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল করে দিয়েছেন। এখানেই বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
শোভাযাত্রায় শিশু হেমাটোলোজি অনকোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এটিএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ডা. ইয়াকুব জামাল, অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল করিম, অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম হাফিজ, ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম, শিশু নেফ্রোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফোরোজা বেগম, শিশু নিউরোলোজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুণ্ডু প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক, রেসিডেন্ট, নার্স ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
স/মিফা


























