০২:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বইমেলায় বসন্তের আমেজ

ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতা-দর্শকের ভিড় ছিল বেশ

ফাল্গুন মাসের তৃতীয় দিনেও বইমেলার রেশ কাটেনি ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে। গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এদিন মেলায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গত বুধবার বসন্তের দিন যারা মেলায় আসতে পারেননি গতকাল তাদের দেখা মিলেছে বাসন্তী সাজে। বিশেষ করে তরুণরা হলুদ পাঞ্জাবি, আর তরুণীদের হলুদ শাড়ির আর খোঁপায় ফুল ও হাতে ফুলের মালায় সাজতে দেখা গেছে।

এদিন সকাল থেকেই মেলায় ভিড় বাড়তে শুরু করে। সকালে বাংলা একাডেমির বিশেষ আয়োজন শিশু প্রহরে অভিভাবকদের সঙ্গে ভিড় জমান শিশুরা। আর বেলা বাড়তেই মেলার তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। মেলায় কেউ সপরিবারে, কেউ বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে এসেছেন। বইয়ের স্টলগুলোতে ভিড় করে পছন্দের লেখকের বই কিনছেন সবাই। দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে খুশি বিক্রয় কর্মীরা, তবে বইয়ের বিকিকিনি না থাকার আক্ষেপ জানান তারা।

ইউল্যাবের শিক্ষার্থী সাইদ বলেন, ক্লাস-পরীক্ষার চাপে মেলায় আসার ফুরসত পাই না। তারপর সেমিনার, অ্যাসাইনমেন্ট তো আছেই। আজ সুযোগ পেয়েই চলে এসেছি, নিজের জন্য ও উপহার দেওয়ার জন্য বই কিনছি।

স্টল মালিক ও বিক্রয় প্রতিনিধিরা জানান, পহেলা ফালগুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মেলায় মানুষের ভিড় ছিল। মেলা জমে উঠলেও বিক্রি কম ছিল। অধিকাংশই ঘুরতে আসছেন। তবে, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মানুষের আরো ভিড় হবে। তখন বিক্রিও বাড়বে বলে আশা করছি। তখন ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যা কমে যাবে। যারা বই কিনবে তারাই মূলত মেলায় আসবে।

অন্যপ্রকাশ প্যাভিলিয়নে বিক্রয়কর্মী ফারিহা বলেন, উপস্থিতি ভালো, কিন্তু বিক্রি নেই। ১৪ তারিখ মোটামুটি বিক্রি ছিল। আশা করছি ২১ তারিখ আবার বিক্রি ভালো হবে।

এদিকে, বইমেলার প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলায় এলাকাজুড়ে ৩০০ ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

 

স/মিফা

জনপ্রিয় সংবাদ

বইমেলায় বসন্তের আমেজ

আপডেট সময় : ০৯:০০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ফাল্গুন মাসের তৃতীয় দিনেও বইমেলার রেশ কাটেনি ঋতুরাজ বসন্তের আগমনে। গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় এদিন মেলায় ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গত বুধবার বসন্তের দিন যারা মেলায় আসতে পারেননি গতকাল তাদের দেখা মিলেছে বাসন্তী সাজে। বিশেষ করে তরুণরা হলুদ পাঞ্জাবি, আর তরুণীদের হলুদ শাড়ির আর খোঁপায় ফুল ও হাতে ফুলের মালায় সাজতে দেখা গেছে।

এদিন সকাল থেকেই মেলায় ভিড় বাড়তে শুরু করে। সকালে বাংলা একাডেমির বিশেষ আয়োজন শিশু প্রহরে অভিভাবকদের সঙ্গে ভিড় জমান শিশুরা। আর বেলা বাড়তেই মেলার তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। মেলায় কেউ সপরিবারে, কেউ বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে এসেছেন। বইয়ের স্টলগুলোতে ভিড় করে পছন্দের লেখকের বই কিনছেন সবাই। দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে খুশি বিক্রয় কর্মীরা, তবে বইয়ের বিকিকিনি না থাকার আক্ষেপ জানান তারা।

ইউল্যাবের শিক্ষার্থী সাইদ বলেন, ক্লাস-পরীক্ষার চাপে মেলায় আসার ফুরসত পাই না। তারপর সেমিনার, অ্যাসাইনমেন্ট তো আছেই। আজ সুযোগ পেয়েই চলে এসেছি, নিজের জন্য ও উপহার দেওয়ার জন্য বই কিনছি।

স্টল মালিক ও বিক্রয় প্রতিনিধিরা জানান, পহেলা ফালগুন ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে মেলায় মানুষের ভিড় ছিল। মেলা জমে উঠলেও বিক্রি কম ছিল। অধিকাংশই ঘুরতে আসছেন। তবে, ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে মানুষের আরো ভিড় হবে। তখন বিক্রিও বাড়বে বলে আশা করছি। তখন ঘুরতে আসা মানুষের সংখ্যা কমে যাবে। যারা বই কিনবে তারাই মূলত মেলায় আসবে।

অন্যপ্রকাশ প্যাভিলিয়নে বিক্রয়কর্মী ফারিহা বলেন, উপস্থিতি ভালো, কিন্তু বিক্রি নেই। ১৪ তারিখ মোটামুটি বিক্রি ছিল। আশা করছি ২১ তারিখ আবার বিক্রি ভালো হবে।

এদিকে, বইমেলার প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলায় এলাকাজুড়ে ৩০০ ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

 

স/মিফা