০২:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুবিতে ফ্যান ছাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীকে মারধর

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে একটি কক্ষের ‘ফ্যান ছাড়া’ নিয়ে এক শিক্ষার্থী আরেক শিক্ষার্থীকে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। মারধরের ঘটনায়  বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ১৪তম আর্বতনের শিক্ষার্থী সজীব শেখ আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৫১৮ নম্বর রুমে বিকেল ৪ টায় এই ঘটনা ঘটে। মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম আবু সাঈদ আহমেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্র মতে, সজীব তার গ্রামের বাড়ি থেকে এসে রুমে প্রবেশ করে গরম অনুভব করায় ফ্যান চালায়। ফ্যান চালানোর সাথে সাথে তার রুমমেট  সাঈদ উগ্রভাবে বলে, ‘এই ফ্যান দিসস কেন? ফ্যানে ময়লা, ফ্যান বন্ধ কর’। প্রত্যুত্তরে সজীব বলে আমি দুই মিনিট পর ফ্যান অফ করে দিচ্ছি। কিন্তু সাঈদ তৎক্ষণাৎ ফ্যান অফ করার কথা বলে সজীবকে। এরপর সে নিজেই উঠে এসে ফ্যান বন্ধ করে। তারপর সজীব পুনরায় ফ্যানের সুইচটি অন করলে সাঈদ উত্তেজিত হয়ে লোহার মোটা পাইপ দিয়ে সজীবের মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করে। তখন সজীব নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে আঘাত এসে তার হাতে লাগে। এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী রুমের লোকজন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
প্রত্যক্ষদর্শী কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইজ্ঞিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো: হুমায়ুন বলেন, ‘আমি রুমে এসে দেখি সাঈদ খুবই উত্তেজিত। তার হাতে লোহার মোট পাইপ ছিল। এ সময় সে সজীবকে আঘাত করে। আঘাত মাথায় না লেগে হাতে লাগে এবং হাতে ক্ষত হয়ে যায়।’
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সজীব শেখ বলেন, ‘আমি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি। একই রুমে থেকে এরকম ঘটনা লজ্জার। এখন আমি নিজেকে অনিরাপদ মনে করছি।’
অভিযুক্ত আবু সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘আমি শুয়ে ছিলাম। তারপর সজীব এসে ফ্যান অন করে। ফ্যানটা গত চার-পাঁচ মাস না চলায় ফ্যানে ময়লা ছিল। ফ্যান অন করার পর ময়লা পুরো রুমে ছড়িয়ে পড়ছিল। আমি সজীবকে ফ্যান বন্ধ করতে বললে, সে ফ্যান বন্ধ না করে স্পীড কমিয়ে দেয়। তখন আমি ফ্যান বন্ধ করলে সজীব আমাকে জোরে ধাক্কা দেয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রুমে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। এরমধ্যে দুই লিটার পানির বোতল দিয়ে সজীব আমাকে যখন আঘাত করে তখন আমিও তাকে আঘাত করি।’
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের  হাউজ টিউটর মো: আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘বিষয়টা আমি খতিয়ে দেখেছি। এ নিয়ে হল প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে  হল প্রশাসন অবগত হয়েছে। তাদেরকে নিয়ে হল প্রশাসন বসবেন। এক্ষেত্রে প্রক্টরিয়াল বডির কোনে সহযোগিতা লাগলে আমরা সহযোগিতা করব।’
স/মিফা
জনপ্রিয় সংবাদ

কুবিতে ফ্যান ছাড়া নিয়ে শিক্ষার্থীকে মারধর

আপডেট সময় : ০৮:২৫:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে একটি কক্ষের ‘ফ্যান ছাড়া’ নিয়ে এক শিক্ষার্থী আরেক শিক্ষার্থীকে মারধর করার ঘটনা ঘটেছে। মারধরের ঘটনায়  বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ১৪তম আর্বতনের শিক্ষার্থী সজীব শেখ আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৫১৮ নম্বর রুমে বিকেল ৪ টায় এই ঘটনা ঘটে। মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম আবু সাঈদ আহমেদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। তার বাড়ি রাজবাড়ী জেলায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্র মতে, সজীব তার গ্রামের বাড়ি থেকে এসে রুমে প্রবেশ করে গরম অনুভব করায় ফ্যান চালায়। ফ্যান চালানোর সাথে সাথে তার রুমমেট  সাঈদ উগ্রভাবে বলে, ‘এই ফ্যান দিসস কেন? ফ্যানে ময়লা, ফ্যান বন্ধ কর’। প্রত্যুত্তরে সজীব বলে আমি দুই মিনিট পর ফ্যান অফ করে দিচ্ছি। কিন্তু সাঈদ তৎক্ষণাৎ ফ্যান অফ করার কথা বলে সজীবকে। এরপর সে নিজেই উঠে এসে ফ্যান বন্ধ করে। তারপর সজীব পুনরায় ফ্যানের সুইচটি অন করলে সাঈদ উত্তেজিত হয়ে লোহার মোটা পাইপ দিয়ে সজীবের মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করে। তখন সজীব নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে আঘাত এসে তার হাতে লাগে। এক পর্যায়ে পার্শ্ববর্তী রুমের লোকজন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
প্রত্যক্ষদর্শী কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইজ্ঞিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো: হুমায়ুন বলেন, ‘আমি রুমে এসে দেখি সাঈদ খুবই উত্তেজিত। তার হাতে লোহার মোট পাইপ ছিল। এ সময় সে সজীবকে আঘাত করে। আঘাত মাথায় না লেগে হাতে লাগে এবং হাতে ক্ষত হয়ে যায়।’
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সজীব শেখ বলেন, ‘আমি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছি। একই রুমে থেকে এরকম ঘটনা লজ্জার। এখন আমি নিজেকে অনিরাপদ মনে করছি।’
অভিযুক্ত আবু সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘আমি শুয়ে ছিলাম। তারপর সজীব এসে ফ্যান অন করে। ফ্যানটা গত চার-পাঁচ মাস না চলায় ফ্যানে ময়লা ছিল। ফ্যান অন করার পর ময়লা পুরো রুমে ছড়িয়ে পড়ছিল। আমি সজীবকে ফ্যান বন্ধ করতে বললে, সে ফ্যান বন্ধ না করে স্পীড কমিয়ে দেয়। তখন আমি ফ্যান বন্ধ করলে সজীব আমাকে জোরে ধাক্কা দেয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রুমে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। এরমধ্যে দুই লিটার পানির বোতল দিয়ে সজীব আমাকে যখন আঘাত করে তখন আমিও তাকে আঘাত করি।’
এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের  হাউজ টিউটর মো: আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘বিষয়টা আমি খতিয়ে দেখেছি। এ নিয়ে হল প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে  হল প্রশাসন অবগত হয়েছে। তাদেরকে নিয়ে হল প্রশাসন বসবেন। এক্ষেত্রে প্রক্টরিয়াল বডির কোনে সহযোগিতা লাগলে আমরা সহযোগিতা করব।’
স/মিফা