আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমারে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, তাতে সীমান্তে নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকতেই পারে। এ ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি আছে। গতকাল সোমবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে নিমন্ত্রণ ও সেখানে তার বক্তব্যে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের গুরুত্বকেই তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে একটা সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে সমালোচনামুখর ছিল বহির্বিশ্বের একটা অংশ। তার পরও সিকিউরিটির মতো সেনসিটিভ ইস্যুতে নিমন্ত্রণ করা এবং তাকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের অংশ করা, এটা বাংলাদেশের গুরুত্বকেই তুলে ধরে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যুদ্ধের বিরুদ্ধে, শান্তির পক্ষে জোরালো বক্তব্য রেখেছেন।
বিএনপির অভিযোগ নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের এখন আর কিছু নেই। জনগণ নেই, তাদের কর্মীরাও নেই। এখন কিছু না কিছু তো জনগণ ও কর্মীদের সামনে বলতে হবে। এজন্য কথামালার চাতুরি তারা করছে। কিছু কিছু জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, আবার কিছুকিছু পণ্যের দাম কমতির দিকে। বাজার ওঠানামা চিরদিনই আছে। বিশ্ব প্রতিক্রিয়ায় দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, সরকার এখানে কোনো উদাসীনতা দেখায়নি। সক্রিয় আছে, সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে নেই, যা করণীয় অবশ্যই করছি। তিনি বলেন, বিএনপির রাজনীতিতে মিথ্যাচার অপরিহার্য। মিথ্যাচার তাদের চিরাচরিত ধারাবাহিকতা। তাদের সঙ্গে কর্মীরা নেই।
জাতীয় পার্টিকে নিয়ে বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির আজকে যারা সংসদে বিরোধী দল গঠন করেছে এর বাইরে যারা জাতীয় পার্টির নামে কোনো একটা ভাগ সৃষ্টি করছে সেটা তাদের নিজেদের ব্যাপার। এতে জাতীয় সংসদে থাকা জাতীয় পার্টির কেউ নেই। জাতীয় সংসদে যারা বিরোধী দল তারা সংসদ সদস্য। এর বাইরে যারা করছেন তারা কেউ সংসদ সদস্য নন। কাজেই এ নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানো কিংবা উদ্বেগের কিছু নেই।
স/মিফা






















