০৯:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যেসব কারণে মুরগিকে ভ্যাক্সিন দিলেও কাজ করে না

কোনো কোনো ভ্যাক্সিন দিলেও কাজ না করার যথেষ্ট কারণ আছে। এখানে শুধু ভ্যাক্সিনের স্ট্রেইনের উপর ভিত্তি করে ভ্যাক্সিন ফেইলরের আলোচনা করা হয়েছে। একজন দক্ষ ডাক্তারই জানে কখন কোথায় কোন ভ্যাক্সিন করতে হবে।

১। এইচ ৫ এন ১-আমাদের দেশে যে স্ট্রেইন আছে সেটার আথে মিল আছে কি না তা দেখার দরকার আছে। তাছাড়া স্ট্রেইনের মিউটেশন ঘটে দ্রুত তাই কাজ নাও করতে পারে। অনেকে দিচ্ছে কিন্তু কাজ হচ্ছে না। সরকার অনুমোদিত কোম্পানি ছাড়াও কেউ কেউ গোপনে আমদানি করে বাজারে খোলা বোতলে বিক্রি করছে যা ভাইরাস ছড়াচ্ছে। এসব কারণে সারা দেশে নতুন নতুন স্ট্রেইনের আমদানি হচ্ছে।ব্যক্তিগত স্বার্থ্যরে জন্য এই সেক্টরের জন্য ক্ষতি হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এটা হ্যাচারীতে করলে আর দরকার নাই। তবে ফার্মে আনার পর ২-৩বার করাতে হয়। ৬০% এর বেশী খামারী একটা দেয় যা দিয়ে ভাল রিজাল্ট পাওয়ার যায় না।. তবে আমাদের দেশে এইচ ৭ এন২ এই বছর ২০২১ সালে বেশি হচ্ছে মনে হয় কারণ ইন্ডিয়ায় কোটি কোটি লেয়ার মারা গেছে এই স্ট্রেইন দিয়ে।
২। এইচ ৯ এন ২ – এটা ১বছর যাবার পর বুঝা যাবে তবে যারা দিয়েছে তাদের এইচ ৫/এইচ ৭ হচ্ছে।
৩। আই বি-এটা ২ ধরনের ক্লাসিকেল ও ভেরিয়েন্ট তাই যে ফার্মে যে স্ট্রেইন আছে সেখানে সেটা না দিলে কোন কাজ হবে না।
৪। রানিক্ষেত- এটা ৪ধরণের পাওয়া যায়, লেন্টোজেনিক, মেসোজেনিক, ভেমোজেনিক ও ভেরি ভেলোজেনিক। স্ট্রেইন অনুযায়ী দিলে কাজ হবে নয়ত কাজ হবে না তাই আগে ডায়াগ্নোসিস করে ভ্যাক্সিন দিতে হবে ।
স্ট্রেইন অনুযায়ী ক্লোন লেন্টোজেনিক, মেসোজেনিক ও এভিনিউ ভ্যাকসিন দিতে হবে।
৫। করাইজা-এটাতে ৩ ধরনের স্ট্রেইন আছে (এ বি সি) বিতে আবার কয়েক টি ভেরিয়েন্ট আছে। তাই ফিল্ডের সাথে মিল না হলে হবার সম্ভাবনা আছে এবং হয়ে থাকে।
৬। কলেরা-এটাতেও এন্টিজেনিজক ভেরিয়েশন আছে তাই রিজাল্ট ভালো পাওয়া যায় না।
৭। গাম্বোরু-এটাতে ৩ ধরনের আছে ভেরিয়েন্ট, ইন্টারমেডিয়েট ও ইন্টার্মেডিয়েট প্লাস। ম্যাটার্নাল এন্টিবডি ও ভ্যাক্সিনের স্ট্রেইনের উপর উপর ভিত্তি করে কাজ নির্ভর করে
৮। সাল্মোনেলা- মুরগিতে সাল্মোনেলা মুক্ত করে এই ভ্যাক্সিন করতে হবে এবং সাল্মোনেলা কন্ট্রোলে রাখতে হবে যা আমাদের কমার্শিয়াল খামারিদের পক্ষে অনেক কঠিন।
৯।এটা ব্রিডারে করা হয়। ফিল্ডে ম্যানেজ করা কঠিন। যেহেতু ব্যবস্থাপনা ভালো না।
১০। পক্স -এটাও মাঝে মাঝে ফেইলর হয় স্ট্রেইনের মিল না থাকায়।

জনপ্রিয় সংবাদ

যেসব কারণে মুরগিকে ভ্যাক্সিন দিলেও কাজ করে না

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:২৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ মার্চ ২০২৪

কোনো কোনো ভ্যাক্সিন দিলেও কাজ না করার যথেষ্ট কারণ আছে। এখানে শুধু ভ্যাক্সিনের স্ট্রেইনের উপর ভিত্তি করে ভ্যাক্সিন ফেইলরের আলোচনা করা হয়েছে। একজন দক্ষ ডাক্তারই জানে কখন কোথায় কোন ভ্যাক্সিন করতে হবে।

১। এইচ ৫ এন ১-আমাদের দেশে যে স্ট্রেইন আছে সেটার আথে মিল আছে কি না তা দেখার দরকার আছে। তাছাড়া স্ট্রেইনের মিউটেশন ঘটে দ্রুত তাই কাজ নাও করতে পারে। অনেকে দিচ্ছে কিন্তু কাজ হচ্ছে না। সরকার অনুমোদিত কোম্পানি ছাড়াও কেউ কেউ গোপনে আমদানি করে বাজারে খোলা বোতলে বিক্রি করছে যা ভাইরাস ছড়াচ্ছে। এসব কারণে সারা দেশে নতুন নতুন স্ট্রেইনের আমদানি হচ্ছে।ব্যক্তিগত স্বার্থ্যরে জন্য এই সেক্টরের জন্য ক্ষতি হচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এটা হ্যাচারীতে করলে আর দরকার নাই। তবে ফার্মে আনার পর ২-৩বার করাতে হয়। ৬০% এর বেশী খামারী একটা দেয় যা দিয়ে ভাল রিজাল্ট পাওয়ার যায় না।. তবে আমাদের দেশে এইচ ৭ এন২ এই বছর ২০২১ সালে বেশি হচ্ছে মনে হয় কারণ ইন্ডিয়ায় কোটি কোটি লেয়ার মারা গেছে এই স্ট্রেইন দিয়ে।
২। এইচ ৯ এন ২ – এটা ১বছর যাবার পর বুঝা যাবে তবে যারা দিয়েছে তাদের এইচ ৫/এইচ ৭ হচ্ছে।
৩। আই বি-এটা ২ ধরনের ক্লাসিকেল ও ভেরিয়েন্ট তাই যে ফার্মে যে স্ট্রেইন আছে সেখানে সেটা না দিলে কোন কাজ হবে না।
৪। রানিক্ষেত- এটা ৪ধরণের পাওয়া যায়, লেন্টোজেনিক, মেসোজেনিক, ভেমোজেনিক ও ভেরি ভেলোজেনিক। স্ট্রেইন অনুযায়ী দিলে কাজ হবে নয়ত কাজ হবে না তাই আগে ডায়াগ্নোসিস করে ভ্যাক্সিন দিতে হবে ।
স্ট্রেইন অনুযায়ী ক্লোন লেন্টোজেনিক, মেসোজেনিক ও এভিনিউ ভ্যাকসিন দিতে হবে।
৫। করাইজা-এটাতে ৩ ধরনের স্ট্রেইন আছে (এ বি সি) বিতে আবার কয়েক টি ভেরিয়েন্ট আছে। তাই ফিল্ডের সাথে মিল না হলে হবার সম্ভাবনা আছে এবং হয়ে থাকে।
৬। কলেরা-এটাতেও এন্টিজেনিজক ভেরিয়েশন আছে তাই রিজাল্ট ভালো পাওয়া যায় না।
৭। গাম্বোরু-এটাতে ৩ ধরনের আছে ভেরিয়েন্ট, ইন্টারমেডিয়েট ও ইন্টার্মেডিয়েট প্লাস। ম্যাটার্নাল এন্টিবডি ও ভ্যাক্সিনের স্ট্রেইনের উপর উপর ভিত্তি করে কাজ নির্ভর করে
৮। সাল্মোনেলা- মুরগিতে সাল্মোনেলা মুক্ত করে এই ভ্যাক্সিন করতে হবে এবং সাল্মোনেলা কন্ট্রোলে রাখতে হবে যা আমাদের কমার্শিয়াল খামারিদের পক্ষে অনেক কঠিন।
৯।এটা ব্রিডারে করা হয়। ফিল্ডে ম্যানেজ করা কঠিন। যেহেতু ব্যবস্থাপনা ভালো না।
১০। পক্স -এটাও মাঝে মাঝে ফেইলর হয় স্ট্রেইনের মিল না থাকায়।