০৮:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কসবায় প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে চলছে অবৈধ করাত কল

সীমান্তঘেঁষা পাহাড় থেকে শুরু করে সমতল ভূমিতে লাগানো সব ধরনের গাছ কেটে সাবাড় করছে করাতকলের মালিক ও অসাধু ফড়িয়া কাঠ ব্যবসায়ীরা। এতে করে হুমকির মুখে পড়ছে এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। কমছে অক্সিজেনের ভারসাম্য। এসব কারণে দ্রুত এ সকল অবৈধ করাতকল বন্ধের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় নজরধারীর অভাবে করাতকল স্থাপন করে কাঠের ব্যবসা করছেন। করাতকলের তথ্যের জন্য উপজেলা বন কর্মকর্তার অফিসে গেলে প্রায়ই বন্ধ পাওয়া যায়।
বন কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে সরকারের সংরক্ষিত ও অর্পিতা বিশাল বনাঞ্চল। সরকারের আইন অনুযায়ী সরকার ও সুরক্ষিত বনাঞ্চল এবং সর্বনিম্ন পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে নির্দেশনা থাকলেও আইন না মেনে গড়ে উঠেছে অনেক করাতকল।
সীমান্তবর্তী গোপীনাথপুর ও বায়েকসহ কয়েকটি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম গড়ে উঠেছে বেশ কিছু করাতকল। এসব কলে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়ি গাছ।
উপজেলা বনকর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, বিভিন্ন সময়ে অবৈধ করাতকলের মালিকদের লাইসেন্স করতে বলা হলেও তারা খুবই উদাসীন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হলেও জনবল সংকট ও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির হস্তক্ষেপে বা সহযোগিতায় লাইসেন্স না করেই মালিকেরা চালাতে থাকে করাতকল।
তিনি আরও বলেন, বৈধ লাইসেন্স না দেখে বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও কোনো অদৃশ্য ইশারায় অবৈধ করাতকলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে অবৈধ করাতকলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশনা এসেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকা ও পরিবেশ এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বন, বন্যপ্রাণী ও বনভূমি সংরক্ষণ অপরিহার্য। অবৈধ করাতকলের মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লাইসেন্স করার জন্য। কিছু আবেদন এসেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স না করলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনপ্রিয় সংবাদ

কসবায় প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে চলছে অবৈধ করাত কল

আপডেট সময় : ০৫:১৮:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
সীমান্তঘেঁষা পাহাড় থেকে শুরু করে সমতল ভূমিতে লাগানো সব ধরনের গাছ কেটে সাবাড় করছে করাতকলের মালিক ও অসাধু ফড়িয়া কাঠ ব্যবসায়ীরা। এতে করে হুমকির মুখে পড়ছে এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। কমছে অক্সিজেনের ভারসাম্য। এসব কারণে দ্রুত এ সকল অবৈধ করাতকল বন্ধের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় নজরধারীর অভাবে করাতকল স্থাপন করে কাঠের ব্যবসা করছেন। করাতকলের তথ্যের জন্য উপজেলা বন কর্মকর্তার অফিসে গেলে প্রায়ই বন্ধ পাওয়া যায়।
বন কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে সরকারের সংরক্ষিত ও অর্পিতা বিশাল বনাঞ্চল। সরকারের আইন অনুযায়ী সরকার ও সুরক্ষিত বনাঞ্চল এবং সর্বনিম্ন পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে নির্দেশনা থাকলেও আইন না মেনে গড়ে উঠেছে অনেক করাতকল।
সীমান্তবর্তী গোপীনাথপুর ও বায়েকসহ কয়েকটি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম গড়ে উঠেছে বেশ কিছু করাতকল। এসব কলে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে পাহাড়ি গাছ।
উপজেলা বনকর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, বিভিন্ন সময়ে অবৈধ করাতকলের মালিকদের লাইসেন্স করতে বলা হলেও তারা খুবই উদাসীন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হলেও জনবল সংকট ও কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির হস্তক্ষেপে বা সহযোগিতায় লাইসেন্স না করেই মালিকেরা চালাতে থাকে করাতকল।
তিনি আরও বলেন, বৈধ লাইসেন্স না দেখে বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও কোনো অদৃশ্য ইশারায় অবৈধ করাতকলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হচ্ছে। মন্ত্রণালয় থেকে অবৈধ করাতকলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশনা এসেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহরিয়ার মুক্তার বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকা ও পরিবেশ এবং জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় বন, বন্যপ্রাণী ও বনভূমি সংরক্ষণ অপরিহার্য। অবৈধ করাতকলের মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লাইসেন্স করার জন্য। কিছু আবেদন এসেছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স না করলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।