০২:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইফতার পার্টি নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বেরোবিতে শিক্ষার্থীদের গণইফতার 

শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে হাজার বছরের বাঙালি মুসলিম সংস্কৃতির ওপর হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে শত শত শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে প্রতিবাদস্বরূপ গণইফতারের আয়োজন করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইফতার করার ব্যবস্থা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ গণইফতার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

কুরআন তিলাওয়াত, ইসলামী সংগীত পরিবেশন এবং সবশেষে সম্মিলিত মোনাজাতের পর শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠে সারিবদ্ধ বসে, কেউ কেউ গোল হয়ে বসে আমেজের সঙ্গে ইফতার করেছেন।

বেরোবির শিক্ষার্থীরা তারিকুল ইসলাম বলেন, “শাবিপ্রবি এবং নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ মুসলমানদের জন্য হতাশাজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

আরেকজন শিক্ষার্থী শফিকুর রহমান বলেন, “একটি মহল চায়, বাংলাদেশ থেকে ইসলামিক কালচার উঠে যাক। আমরা এটা কখনো হতে দিতে পারি না। এ রকম সব ধরনের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অবস্থান আছে।”গত সোমবার শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি প্রশাসন ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টির আয়োজন না করার নির্দেশনা দিয়ে নোটিশ জারি করে। এতে দেশব্যাপী শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশাসনের এমন হস্তক্ষেপের নিন্দা জানান।

জনপ্রিয় সংবাদ

ইফতার পার্টি নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে বেরোবিতে শিক্ষার্থীদের গণইফতার 

আপডেট সময় : ০৮:১৬:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে হাজার বছরের বাঙালি মুসলিম সংস্কৃতির ওপর হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে শত শত শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে প্রতিবাদস্বরূপ গণইফতারের আয়োজন করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৩ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাধীনতা স্মারক প্রাঙ্গণে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ইফতার করার ব্যবস্থা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে এ গণইফতার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

কুরআন তিলাওয়াত, ইসলামী সংগীত পরিবেশন এবং সবশেষে সম্মিলিত মোনাজাতের পর শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠে সারিবদ্ধ বসে, কেউ কেউ গোল হয়ে বসে আমেজের সঙ্গে ইফতার করেছেন।

বেরোবির শিক্ষার্থীরা তারিকুল ইসলাম বলেন, “শাবিপ্রবি এবং নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ইফতার পার্টি আয়োজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ মুসলমানদের জন্য হতাশাজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

আরেকজন শিক্ষার্থী শফিকুর রহমান বলেন, “একটি মহল চায়, বাংলাদেশ থেকে ইসলামিক কালচার উঠে যাক। আমরা এটা কখনো হতে দিতে পারি না। এ রকম সব ধরনের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের শক্ত অবস্থান আছে।”গত সোমবার শাবিপ্রবি ও নোবিপ্রবি প্রশাসন ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে ইফতার পার্টির আয়োজন না করার নির্দেশনা দিয়ে নোটিশ জারি করে। এতে দেশব্যাপী শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশাসনের এমন হস্তক্ষেপের নিন্দা জানান।