বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের হেডকোয়ার্টার কেন্দ্রীয় মসজিদ কাঁটাবনে প্রতিদিন প্রায় এক হাজার রোজাদারদের নিয়মিত ইফতারির অন্যরকম আয়োজন ও উৎসবে পরিণত হয়। স্থানীয় মুসল্লী, ইউনিভার্সিটি-কলেজে পড়ুয়া ছাত্র-যুবক পথচারী রোজাদারদের যেন একটি প্রতিদিনের মিলন মেলায় রূপ নিয়েছে।
শুক্রবার ইফতারির পূর্ব মুহূর্তে রোজাদারদের নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা রাখেন মসজিদ মিশনের সেক্রেটারী ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী,মসজিদ মিশনের কেন্দ্রীয় সংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা মোশারফ হোসাইন,বিশিষ্ট মুফাসসিরে কোরআন মুফতি নুরুজ্জামান নোমানী মুফাসসিরে কোরআন ড. মাওলানা কামরুল হাসান শাহিন সহ মসজিদ মিশনের নেতৃবৃন্দ।
ইফতারের আগে রোজাদারদের উদ্দেশ্যে ড খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, সিয়াম সাধনার মাধ্যমে পরিপূর্ণ মুত্তাকী হওয়ার প্রয়াস আমাদের সকলকেই চালাতে হবে। সকল ধরনের অপরাধ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে না পারলে শুধুমাত্র খানাপিনা পরিহারে কোন ফায়দা নেই বলেই হাদীস শরীফে বলা হয়েছে। হাদীস শরীফে আরো বলা হয়েছে: “তোমরা রোজা রেখে অন্যায় করবে না, অপরাধ করবে না,ফাসেকি বা অন্যায় কাজ করবে না,চেঁচামেচি করবে না,কারোর সাথে দুর্ব্যবহার করবে না,এমনকি কেউ তোমাকে যদি মারতেও আসে তাহলে তুমি তাকে বলবে আমি একজন রোজাদার-আমি তোমার সাথে মারামারি করতে চাই না।” অতএব আসুন, আমরা আমাদের আমলকে দূরস্থ করি,অপরাধমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত জীবন যাপনে অভ্যস্ত হই ,পরমত সহিষ্ণু হই অন্যকে শ্রদ্ধা-সম্মান করতে শিখি, রোজার হক আদায় করে পরিপূর্ণ মুত্তাকী হয়ে নিজেদেরকে জান্নাতের জন্য প্রস্তুত করি । আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সেই তৌফিক দান করুন আমিন। পরিশেষে ইফতারির সামনে নিয়ে সর্বস্তরের মুসল্লী রোজাদার দেরকে নিয়ে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার একইস্থানে বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের এতিম-হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান ও দাস্তারবন্দী অনুষ্ঠান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। মসজিদের নিচ তলায় মহিলা মসজিদে মা-বোনদের পর্দা সহকারে আলাদা বসার ব্যবস্থা আছে। বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন ও সেক্রেটারি জেনারেল ডক্টর মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী ইফতার মাহফিলে আলেম ওলামা পীর-মাশায়েখ ও শুভাকাঙ্ক্ষীদেরকে বিশেষভাবে দাওয়াত দিয়েছেন।