ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদযাত্রা শুরু হচ্ছে আগামী ৩ এপ্রিল থেকে। এর দুদিন আগে থেকে অর্থাৎ ১ এপ্রিল থেকে বাড়ছে রেলের ভাড়া। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রে রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে, গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দেশে বেড়েছে বিদ্যুতের দামও।
জানা গেছে, রেলে যাত্রী পরিবহনে দূরত্ব-রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার এবং অতিরিক্ত সংযোজিত কোচের টিকিট বিক্রিতে রিজার্ভেশন চার্জ আরোপ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ট্রেনের ভাড়ায় ১০০ কিলোমিটারের পরবর্তী ১৫০ কিলোমিটার ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। অর্থাৎ ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটারে মেলে ২০ শতাংশ ছাড়। এরপর ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ এবং ৪০১ থেকে তদূর্ধ্ব কিলোমিটার পর্যন্ত ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। এই রেয়াতি সুবিধা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এছাড়া অগ্রিম আবেদনের মাধ্যমে সংযুক্ত বাড়তি কোচ বা বাড়তি চাহিদার সময়ে সংযোজিত কোচের টিকিটে শোভন শ্রেণীর ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ, স্নিগ্ধা ও অন্যান্য উচ্চশ্রেণিতে ৩০ শতাংশ রিজার্ভেশন সার্ভিস চার্জ আরোপ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ে লোকসানে জর্জরিত। এ কারণে ভাড়া বৃদ্ধির নানা যুক্তি তুলে ধরেন কর্মকর্তারা। এবারও একই পথে হাঁটছেন তারা। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ও অযৌক্তিক ব্যয় কমাতে না পারলেও যাত্রীভাড়া বৃদ্ধিতে অনড় রেলপথ মন্ত্রণালয়। তাছাড়া ট্রেনে এবারের ঈদযাত্রায় টিকিট কিনতে পাসওয়ার্ড তথা ওটিপি লাগবে। কালোবাজারি রোধের যুক্তিতে এটি চালু করা হচ্ছে। এতে ভোগান্তির আশঙ্কাও রয়েছে। কারণ দিনমজুর থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সবার কাছে নেই স্মার্টফোন। রয়েছে পড়াশোনার স্বল্পতাও।
রেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার ও রিজার্ভেশন চার্জ আরোপের মাধ্যমে ভাড়া বাড়ানো হলে রেলের বার্ষিক রাজস্ব আয় বাড়বে প্রায় ৩শ কোটি টাকা। অথচ বছরে লোকসান অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকা।
বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সরদার সাহাদাত আলী বলেন, ‘এটাকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হবে বানানো হচ্ছে এমনটা বলা ঠিক হবে না। এত দিন কিলোমিটারের ওপর যে ছাড় দেওয়া হতো সেই সুবিধাটা বাতিল করা হচ্ছে। এতে করে নতুন ভাড়া সমন্বয় করা হবে। আমরা চাচ্ছি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর করতে।’


























