➤চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে পাকিস্তানের প্রস্তাবিত ‘ইসলামভীতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ’ প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। এ প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হলেও কোনো ধরনের বিরোধিতা ছাড়াই ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৫৫ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়। পাকিস্তানের উত্থাপিত এ খসড়া প্রস্তাবে সহযোগী দেশ হিসেবে ছিল চীন। তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসলামভীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উদ্দেশ্যে পাকিস্তান ‘ইসলামোফোবিয়া মোকাবেলার পদক্ষেপ’ শীর্ষক প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় জাতিসংঘের সদস্য ১১৫টি দেশ। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ভারত, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ইউক্রেন ও যুক্তরাজ্যসহ ৪৪টি দেশ। প্রস্তাবটির বিপক্ষে একটি ভোটও পড়েনি।
প্রস্তাবটির খসড়ায় ইসলামভীতি মোকাবিলায় জাতিসংঘের একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করতে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে নীতিগতভাবে ভারত এ ধরনের দূত নিয়োগের বিরোধিতা করেছে। এছাড়া খসড়া প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে বিশেষ করে ইসলামফোবিয়াকে মোকাবিলা করার জন্য জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো যেন পদক্ষেপ নেয়।
প্রস্তাব উত্থাপনের সময় পাকিস্তানের দূত মুনির আকরাম ভারতের অযোধ্যায় রাম মন্দির স্থাপন ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) প্রসঙ্গ টানেন। আর এতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান ভারতের দূত। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘ইসলামভীতি মোকাবিলায় পদক্ষেপ’ শীর্ষক প্রস্তাব গ্রহণের সময় ভারতের অবস্থান ব্যাখ্যা করে একটি বিবৃতি দেন ভারতীয় স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ।
রামমন্দির ও নাগরিক সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে পাকিস্তানকে ‘ভাঙা রেকর্ড’ বলে মন্তব্য করেন ভারতীয় স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কম্বোজ। তিনি বলেন, বিশ্ব যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে, পাকিস্তান সেখানে স্থবির হয়ে আছে। আমার দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়ে এই প্রতিনিধিদলের সীমিত ও বিভ্রান্তিকর দৃষ্টিভঙ্গির সাক্ষী হওয়া দুর্ভাগ্যজনক। বিশেষ করে যখন সাধারণ পরিষদ এমন একটি বিষয় বিবেচনা করছে, যা নিয়ে সব সদস্যের কাছ থেকে প্রজ্ঞা, গভীরতা এবং বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। সম্ভবত এই প্রতিনিধিদলের কাছে এসব বিশেষত্ব নেই।


























