১২:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দাউদকান্দি ভূমি অফিস যেন সবজিতে সমারোহ 

উপজেলা ভুমি অফিস সামনে পতিত জায়গায় বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির আবাদ করছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ জিয়াউর রহমান । পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিষমুক্ত সবজির বাগান করে সর্ব মহলের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) উপজেলা ভুমি অফিসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না এমন নির্দেশনার পর সেই পরিত্যক্ত জায়গায় সহকারি কমিশনার (ভুমি) এর কার্যালয়ের সামনে সবজির বাগান গড়ে তুলেছেন। বড় পরিসরে না হলেও সীমিত পরিসরে গড়ে তোলা এই সবজি বাগানে রয়েছে টমেটো, লালশাক, স্ট্রেবেরী, ডাটা শাক,করলা, মুলা, কালো বেগুন, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, লেটুস পাতা, বরবটিসহ প্রায় ২০ প্রজাতির সবজি। পাশাপাশি শোভাবর্ধক বিভিন্ন পাতাবাহার গাছ ও ফুলের চারা রোপনের প্রস্তুতি চলছে। কেউ যাতে বাগানের সবজি নষ্ট করতে না পারে সেজন্য বাগানের চারপাশে জালের বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে ।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিবেশবিদ অধ্যাপক মতিন সৈকত বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মহোদয়ের মতো আমাদের সকলের একটু উদ্যোগী হওয়া উচিত। বাসাবাড়ির আশপাশের পরিত্যক্ত জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করা প্রয়োজন। এতে আমাদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে আয় করা যাবে পাশাপাশি পরিবেশও ভালো থাকবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিগার সুলতানা জানান, ভূমি অফিস চত্বরে সবজি চাষ এটা খুব ভালো উদ্যোগ। অনাবাদি পতিত জমি, অফিস চত্তর ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের মাধ্যমে সহযোগীতা করা হয়। ভুমি অফিসের এমন উদ্যোগ মানুষকে বাড়ির ঘরের সামনের পতিত জমিতে চাষাবাদে উৎসাহ জোগাবে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা মতে অনাবাদি পতিত জায়গাকে চাষাবাদের আওতায় আনার লক্ষ্যে সবজি বাগান করার উদ্যোগ নেই। সাবেক ইউএনও মহিনুল হাসান স্যারের আন্তরিকতা ও সহযোগিতায় বাগান তৈরির সুন্দর পরিবেশ করেছি। এখন পরিবেশটা সুন্দর হয়েছে। হাজারো কাজের মধ্যে ব্যস্ত, ক্লান্তিকর দিনে যখনই বাগানের দিকে তাকাই, সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। মনকে সতেজ ও প্রফুল্ল রাখতে আসলেই গাছের বিকল্প নেই।
আর বাগানের পরিচর্যা উপজেলা ভূমি অফিসের নিজস্ব কর্মচারীরাই করে থাকেন বলে জানান সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, অত্র অফিসে কর্মরত গাড়ি চালক সুমন বড়ুয়া ও অফিস সহায়ক প্রণব আচার্য্য ও নৈশ প্রহরী আব্দুল আওয়াল তাদের অবসর সময়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ বাগানটি পরিচর্যা করে থাকেন ৷ আমাদের সকলের এমন উদ্যোগী হওয়া উচিত।
জনপ্রিয় সংবাদ

সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার করায় গুড়িয়ে দেয়া হয় দু’টি প্রতিষ্ঠান, একটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

দাউদকান্দি ভূমি অফিস যেন সবজিতে সমারোহ 

আপডেট সময় : ০৫:১৭:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
উপজেলা ভুমি অফিস সামনে পতিত জায়গায় বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজির আবাদ করছেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ জিয়াউর রহমান । পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিষমুক্ত সবজির বাগান করে সর্ব মহলের কাছে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) উপজেলা ভুমি অফিসে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি রাখা যাবে না এমন নির্দেশনার পর সেই পরিত্যক্ত জায়গায় সহকারি কমিশনার (ভুমি) এর কার্যালয়ের সামনে সবজির বাগান গড়ে তুলেছেন। বড় পরিসরে না হলেও সীমিত পরিসরে গড়ে তোলা এই সবজি বাগানে রয়েছে টমেটো, লালশাক, স্ট্রেবেরী, ডাটা শাক,করলা, মুলা, কালো বেগুন, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, লেটুস পাতা, বরবটিসহ প্রায় ২০ প্রজাতির সবজি। পাশাপাশি শোভাবর্ধক বিভিন্ন পাতাবাহার গাছ ও ফুলের চারা রোপনের প্রস্তুতি চলছে। কেউ যাতে বাগানের সবজি নষ্ট করতে না পারে সেজন্য বাগানের চারপাশে জালের বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে ।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিবেশবিদ অধ্যাপক মতিন সৈকত বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মহোদয়ের মতো আমাদের সকলের একটু উদ্যোগী হওয়া উচিত। বাসাবাড়ির আশপাশের পরিত্যক্ত জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি চাষ করা প্রয়োজন। এতে আমাদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে আয় করা যাবে পাশাপাশি পরিবেশও ভালো থাকবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিগার সুলতানা জানান, ভূমি অফিস চত্বরে সবজি চাষ এটা খুব ভালো উদ্যোগ। অনাবাদি পতিত জমি, অফিস চত্তর ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পের মাধ্যমে সহযোগীতা করা হয়। ভুমি অফিসের এমন উদ্যোগ মানুষকে বাড়ির ঘরের সামনের পতিত জমিতে চাষাবাদে উৎসাহ জোগাবে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা মতে অনাবাদি পতিত জায়গাকে চাষাবাদের আওতায় আনার লক্ষ্যে সবজি বাগান করার উদ্যোগ নেই। সাবেক ইউএনও মহিনুল হাসান স্যারের আন্তরিকতা ও সহযোগিতায় বাগান তৈরির সুন্দর পরিবেশ করেছি। এখন পরিবেশটা সুন্দর হয়েছে। হাজারো কাজের মধ্যে ব্যস্ত, ক্লান্তিকর দিনে যখনই বাগানের দিকে তাকাই, সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। মনকে সতেজ ও প্রফুল্ল রাখতে আসলেই গাছের বিকল্প নেই।
আর বাগানের পরিচর্যা উপজেলা ভূমি অফিসের নিজস্ব কর্মচারীরাই করে থাকেন বলে জানান সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, অত্র অফিসে কর্মরত গাড়ি চালক সুমন বড়ুয়া ও অফিস সহায়ক প্রণব আচার্য্য ও নৈশ প্রহরী আব্দুল আওয়াল তাদের অবসর সময়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ বাগানটি পরিচর্যা করে থাকেন ৷ আমাদের সকলের এমন উদ্যোগী হওয়া উচিত।