০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাঙ্গাপ্রেসে আগুন

ধ্বংসস্তূপে খুঁজে ফিরছেন বেঁচে যাওয়া মালামাল

 

‘সব তো পুড়েই গেছে, কিছুই আর নাই। দু-চারটে জিনিস যেগুলো ঠিকঠাক আছে সেগুলা সরিয়ে নিচ্ছি ডেমরার ভাঙ্গাপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সুমন এভাবেই বলছিলেন তার হতাশার কথা। বৃহস্পতিবার রাতে ওই গোডাউনে আগুন লাগে।

আগুনের তীব্রতা কমে আসার পর ফায়ার সার্ভিস ও ব্যবসায়ীরা একত্রে ভেতর থেকে পুড়ে যাওয়া মালামাল বের করতে থাকেন। ভেতরের অধিকাংশ পণ্য পুড়ে গেছে। অল্পকিছু পণ্য অক্ষত আছে, সেগুলো বসে বসে আলাদা করছিলেন সুমন। তিনি বলেন, যেসব পণ্য অক্ষত আছে সেগুলো আলাদা করে নিয়ে যাচ্ছি। যদিও তার পরিমাণ খুব কম। আমার কয়েক কোটি টাকার মালামাল ছিল এই গোডাউনে। সব শেষ হয়ে গেছে।

একইভাবে মালামাল সরাচ্ছিলেন বিল্লাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেটে আমার মালিকের দোকান। এই গোডাউনে সব মালামাল রাখা হতো। এভাবে সব পুড়ে যাওয়ার পর মালিক বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন। এত বিশাল ক্ষতি সামলানো সম্ভব নয়। কিছু মাল পোড়েনি, সেগুলো নিয়ে যাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ভাঙ্গাপ্রেস এলাকার একটি গোডাউনে আগুন লাগে। সেখানে ক্রীড়াসামগ্রীসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ছিল। ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে যায়। এরপর ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশন থেকে মোট ১০টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সামান্তা শারমিনের নতুন বার্তা

ভাঙ্গাপ্রেসে আগুন

আপডেট সময় : ০৬:৪৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

 

‘সব তো পুড়েই গেছে, কিছুই আর নাই। দু-চারটে জিনিস যেগুলো ঠিকঠাক আছে সেগুলা সরিয়ে নিচ্ছি ডেমরার ভাঙ্গাপ্রেসে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সুমন এভাবেই বলছিলেন তার হতাশার কথা। বৃহস্পতিবার রাতে ওই গোডাউনে আগুন লাগে।

আগুনের তীব্রতা কমে আসার পর ফায়ার সার্ভিস ও ব্যবসায়ীরা একত্রে ভেতর থেকে পুড়ে যাওয়া মালামাল বের করতে থাকেন। ভেতরের অধিকাংশ পণ্য পুড়ে গেছে। অল্পকিছু পণ্য অক্ষত আছে, সেগুলো বসে বসে আলাদা করছিলেন সুমন। তিনি বলেন, যেসব পণ্য অক্ষত আছে সেগুলো আলাদা করে নিয়ে যাচ্ছি। যদিও তার পরিমাণ খুব কম। আমার কয়েক কোটি টাকার মালামাল ছিল এই গোডাউনে। সব শেষ হয়ে গেছে।

একইভাবে মালামাল সরাচ্ছিলেন বিল্লাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেটে আমার মালিকের দোকান। এই গোডাউনে সব মালামাল রাখা হতো। এভাবে সব পুড়ে যাওয়ার পর মালিক বাকরুদ্ধ হয়ে গেছেন। এত বিশাল ক্ষতি সামলানো সম্ভব নয়। কিছু মাল পোড়েনি, সেগুলো নিয়ে যাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় ভাঙ্গাপ্রেস এলাকার একটি গোডাউনে আগুন লাগে। সেখানে ক্রীড়াসামগ্রীসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য ছিল। ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে যায়। এরপর ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশন থেকে মোট ১০টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।