১১:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইউনেস্কোর পুরস্কারের নামে প্রতারণা করেছেন ড. ইউনূস: শিক্ষামন্ত্রী

 

 

 

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পেয়েছেন বলে যে তথ্য প্রচারিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, ইসরাইলি একজন ভাস্করের দেওয়া পুরস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচারণ চালিয়েছেন। বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

 

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন,শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে পদাধিকার বলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফর কমিশন ফর ইউনেসকোর (বিএনসিইউ) চেয়ারম্যান আমি। আমার সঙ্গে বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জুবাইদা মান্নানও উপস্থিত আছেন। কিছু দিন আগে একটি প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেটি হচ্ছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেসকো একটি পুরস্কার দিয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে ইউনেসকোর সদর দপ্তরে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে তারা নিশ্চিত করেছেন- ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেসকো কোনো সম্মাননা দেয়নি।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে একটি সম্মেলনে গজনবি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন নামক একটি সংস্থার আমন্ত্রণে গেলে সেখানে ইসরাইলি ভাস্কর্য শিল্পী (নাম স্পষ্ট না) তাকে ‘ট্রি অব পিস’ নামক একটি সম্মাননা স্মারক দিয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইসরাইলি ভাস্কর্য শিল্পীও নিশ্চিত করেছেন এটি ইউনেস্কোর কোনো পুরস্কার নয়। এটি গজনবি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে তিনি সেটা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দিয়েছেন।

 

তিনি বলেন, আমরা ইউনেস্কোর কাছে একটি ব্যাখ্যা পাঠাব ইউনুস সেন্টার এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বরাত দিয়ে যে সংবাদটি প্রচারিত হয়েছে, সেটি প্রতারণামূলক এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা। সেটা সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য। ইউনেস্কো কর্তৃক পুরস্কারের কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চালানো হয়েছে এবং এখনো পর্যন্ত ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটে ইউনেস্কো প্রদত্ত পুরস্কার বলে সেখানে লেখা।

 

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, যে কার্যক্রমগুলো ড. মুহাম্মদ ইউনূস করছেন সেগুলোর সঙ্গে বলা চলে একরকম একই ধরনের প্রতারণামূলক এবং শঠতামূলক কার্যক্রম। একজন ইসরাইলি ভাস্করের দেওয়া সম্মাননা তিনি ইউনেস্কো পুরস্কার হিসেবে প্রচার করেছেন।

 

তিনি বলেন, আমরা ইউনেস্কোর একটি সদস্য রাষ্ট্র। বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের পক্ষ থেকে একটি ব্যাখ্যা পাঠাব এবং বিষয়টি অবগত করব। ইউনেস্কোর নাম নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন যেটি অনৈতিক এবং অপরাধমূলক। যেটি আমাদের দেশের জন্য একটি মানহানিকার।

 

তিনি আরও বলেন, একজন ইসরাইলে বাস করে দেওয়া পুরস্কার তিনি ইউনেস্কো পুরস্কার হিসেবে প্রচারণা চালিয়েছেন এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং অপমানজনকও বটে। এটি আমরা ইউনেস্কোকে অবগত করব এবং এটিও অবগতি করব ইতোমধ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের জন্য তিনি দণ্ডিত হয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা ইনোসেন্টারকে অনুরোধ জানাব এই ধরনের ভয়াবহ মিথ্যা প্রচারণা থেকে তারা যেন বিরত থাকে। তা না হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

 

 

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সামান্তা শারমিনের নতুন বার্তা

ইউনেস্কোর পুরস্কারের নামে প্রতারণা করেছেন ড. ইউনূস: শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:৪৬:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

 

 

 

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইউনেস্কোর ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কার পেয়েছেন বলে যে তথ্য প্রচারিত হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি বলেন, ইসরাইলি একজন ভাস্করের দেওয়া পুরস্কার ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতারণামূলকভাবে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে প্রচারণ চালিয়েছেন। বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

 

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন,শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে পদাধিকার বলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফর কমিশন ফর ইউনেসকোর (বিএনসিইউ) চেয়ারম্যান আমি। আমার সঙ্গে বাংলাদেশ ইউনেসকো জাতীয় কমিশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল জুবাইদা মান্নানও উপস্থিত আছেন। কিছু দিন আগে একটি প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সেটি হচ্ছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেসকো একটি পুরস্কার দিয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে ইউনেসকোর সদর দপ্তরে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে তারা নিশ্চিত করেছেন- ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ইউনেসকো কোনো সম্মাননা দেয়নি।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে একটি সম্মেলনে গজনবি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন নামক একটি সংস্থার আমন্ত্রণে গেলে সেখানে ইসরাইলি ভাস্কর্য শিল্পী (নাম স্পষ্ট না) তাকে ‘ট্রি অব পিস’ নামক একটি সম্মাননা স্মারক দিয়েছেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ইসরাইলি ভাস্কর্য শিল্পীও নিশ্চিত করেছেন এটি ইউনেস্কোর কোনো পুরস্কার নয়। এটি গজনবি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে তিনি সেটা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে দিয়েছেন।

 

তিনি বলেন, আমরা ইউনেস্কোর কাছে একটি ব্যাখ্যা পাঠাব ইউনুস সেন্টার এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বরাত দিয়ে যে সংবাদটি প্রচারিত হয়েছে, সেটি প্রতারণামূলক এবং সম্পূর্ণ মিথ্যা। সেটা সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য। ইউনেস্কো কর্তৃক পুরস্কারের কথা বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চালানো হয়েছে এবং এখনো পর্যন্ত ইউনূস সেন্টারের ওয়েবসাইটে ইউনেস্কো প্রদত্ত পুরস্কার বলে সেখানে লেখা।

 

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, যে কার্যক্রমগুলো ড. মুহাম্মদ ইউনূস করছেন সেগুলোর সঙ্গে বলা চলে একরকম একই ধরনের প্রতারণামূলক এবং শঠতামূলক কার্যক্রম। একজন ইসরাইলি ভাস্করের দেওয়া সম্মাননা তিনি ইউনেস্কো পুরস্কার হিসেবে প্রচার করেছেন।

 

তিনি বলেন, আমরা ইউনেস্কোর একটি সদস্য রাষ্ট্র। বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের পক্ষ থেকে একটি ব্যাখ্যা পাঠাব এবং বিষয়টি অবগত করব। ইউনেস্কোর নাম নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন যেটি অনৈতিক এবং অপরাধমূলক। যেটি আমাদের দেশের জন্য একটি মানহানিকার।

 

তিনি আরও বলেন, একজন ইসরাইলে বাস করে দেওয়া পুরস্কার তিনি ইউনেস্কো পুরস্কার হিসেবে প্রচারণা চালিয়েছেন এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং অপমানজনকও বটে। এটি আমরা ইউনেস্কোকে অবগত করব এবং এটিও অবগতি করব ইতোমধ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের জন্য তিনি দণ্ডিত হয়েছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা ইনোসেন্টারকে অনুরোধ জানাব এই ধরনের ভয়াবহ মিথ্যা প্রচারণা থেকে তারা যেন বিরত থাকে। তা না হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।