০৫:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানের সময়সীমা নির্দিষ্টকরন বাতিলের দাবি

বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলার নববর্ষ উদযাপনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সময় বেঁধে দেয়াকে অপ্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। গতকাল শুক্রবার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক আহকামউল্লাহ এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

 

বিবৃতিতে বলা হয় বাঙালির সবচাইতে বড় সার্বজনীন অসাম্প্রদায়িক উৎসব হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। শত শত বছর ধরে গ্রাম বাংলার বৈশাখী মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রামীণ খেলাধুলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ পালিত হয়ে আসছে। নগরায়নের সাথে সাথে নগরে শহরেও এ উৎসব সম্প্রসারিত হয়েছে। সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত নারী-পুরুষ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে থাকে।

 

বৈশাখী উৎসব এবং মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় সরকারি বরাদ্দ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের নির্দেশনা থাকলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত বলেই বিবেচিত হচ্ছে। সকল জাতীয় দিবস এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের সময়ের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও শুধুমাত্র বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ আয়োজনকে সীমিত করে দেয়া কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমরা মনে করি এই সিদ্ধান্তের ফলে বাঙালি সংস্কৃতি বিরোধী শক্তি উল্লসিত হবে।

 

বিবৃতিতে অবিলম্বে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে বাংলা নববর্ষের আয়োজন সম্পন্ন করার নির্দেশনা প্রত্যাহার করে রাত দশটা পর্যন্ত নির্ধারণের দাবি জানানো হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সামান্তা শারমিনের নতুন বার্তা

বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানের সময়সীমা নির্দিষ্টকরন বাতিলের দাবি

আপডেট সময় : ০৫:৪৫:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলার নববর্ষ উদযাপনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সময় বেঁধে দেয়াকে অপ্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। গতকাল শুক্রবার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক আহকামউল্লাহ এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

 

বিবৃতিতে বলা হয় বাঙালির সবচাইতে বড় সার্বজনীন অসাম্প্রদায়িক উৎসব হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। শত শত বছর ধরে গ্রাম বাংলার বৈশাখী মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গ্রামীণ খেলাধুলা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ পালিত হয়ে আসছে। নগরায়নের সাথে সাথে নগরে শহরেও এ উৎসব সম্প্রসারিত হয়েছে। সকাল থেকে অনেক রাত পর্যন্ত নারী-পুরুষ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে এই উৎসবে অংশগ্রহণ করে থাকে।

 

বৈশাখী উৎসব এবং মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের জন্য প্রত্যেক উপজেলায় সরকারি বরাদ্দ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজনের নির্দেশনা থাকলেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া সাংঘর্ষিক সিদ্ধান্ত বলেই বিবেচিত হচ্ছে। সকল জাতীয় দিবস এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের সময়ের বাধ্যবাধকতা না থাকলেও শুধুমাত্র বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ আয়োজনকে সীমিত করে দেয়া কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমরা মনে করি এই সিদ্ধান্তের ফলে বাঙালি সংস্কৃতি বিরোধী শক্তি উল্লসিত হবে।

 

বিবৃতিতে অবিলম্বে সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে বাংলা নববর্ষের আয়োজন সম্পন্ন করার নির্দেশনা প্রত্যাহার করে রাত দশটা পর্যন্ত নির্ধারণের দাবি জানানো হয়।