গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তায় অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভুল সিজারিয়ান অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার সত্যতা পেয়ে হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে গাজীপুর সিভিল সার্জন ডা.মাহমুদা আক্তার।মঙ্গলবার দুপুরে এই হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, গত রোববার দুপুরে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের আসাদুল্লাহর স্ত্রী সন্তান সম্ভবনা ইয়াসমিন আক্তারকে মাওনা চৌরাস্তা এলাকার লাইফ কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সন্ধ্যায় অনভিজ্ঞ নার্স দিয়ে গৃহবধূর সিজারিয়ান অপারেশনের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে তাঁর মৃত্যু।এ ঘটনার পরপরই ওই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যান। রোগীর স্বজনেরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালান। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সিভিল সার্জন মাহমুদা বলেন, ‘প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় সবকিছু জানতে হাসপাতালে এসেছি। ফাইল দেখে যা জানতে পারলাম রোগীর কোনো অটিনোট নেই। কোনো ধরনের নিয়মকানুন অনুসরণ করা হয়নি। হাসপাতালে এসে আমি একজন নার্সের সঙ্গে কথা বললাম। তিনি আসলে নার্স না। তিনি কোনো ধরনের পড়াশোনা করেন নাই। ব্লাড সংগ্রহ করেন। তাঁর কোনো ট্রেনিং নাই। তিনি চিকিৎসা-জগতের কেউ না।তিনি আরও বলেন, ‘আমি এই হাসপাতালের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ করে যাব। এ জন্য আমি হাসপাতালের পুরোটা ঘুরে দেখলাম। হাসপাতালে তিনজন ভর্তি রোগী রয়েছেন। তাঁদের অপারেশন করা হয়েছে। আগামীকাল তাঁরা চলে যাবেন। প্রতিটি রোগীর ফাইলে একই সমস্যা কোনো ওটিনোট লেখা নেই। আজকে থেকে এই হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদি সব কাগজপত্র সঠিক করে আমাদের কাছে জমা দেন, পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই করে কার্যক্রম চালুর নির্দেশনা দেওয়া হবে।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিভিল সার্জন মাহমুদা বলেন, ‘আজকে থেকেই সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ। শুধুমাত্র তিনজন ভর্তি রোগীর চিকিৎসা চালাতে পারবেন। নতুন করে কোনো রোগী ভর্তি বা চিকিৎসা দিতে পারবেন না। তিনজন রোগী আগামীকাল ছুটির পর সিলগালা করে দেওয়া হবে। আরেকটি বিষয় আশ্চর্য হয়েছি এই হাসপাতালে নার্স না হয়েও অনেকেই অ্যাপ্রোন পর রয়েছেন। এটি হতে দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

























