০৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাহুলকে বহন করা হেলিকপ্টারে তল্লাশি

➤এবার বিজেপির প্রচার চালাবেন মিঠুন
➤আশির দশকের স্লোগান ফেরালেন মমতা
➤ ভোটের পুরো সময়ই বন্দি থাকবেন কেজরিওয়াল

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ আসন্ন। সেই উপলক্ষে চলছে জোর নির্বাচনী প্রচার। দলের পক্ষে প্রচার চালাতে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী হেলিকপ্টারে দক্ষিণের রাজ্য কেরালায় যান। সেখানে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। এদিকে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের ময়দানে আলোচনায় আসা বলিউড তারকা মিঠুন চক্রবর্তী এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে মাঠে নেমেছেন। অন্যদিকে আশির দশকে বোর্ফস কেলেঙ্কারির কারণে জাতীয় নির্বাচনে কংগ্রেস বিরোধী স্লোগান উঠেছিল ‘অলিগলি মে শোর হ্যায়, রাজীব গান্ধী চোর হ্যায়’। তার অনুকরণে এবার নির্বাচনের স্লোগানে স্মৃতি ফেরালেন মমতা।

পুলিশের বরাতে জানা গেছে, কেরালায় রাহুলকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণ করার পর ফ্লাইং স্কোয়াডের কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালান। লোকসভায় নিজের নির্বাচনী আসন ওয়েনাডে ভোটের প্রচার চালাতে তিনি কেরালা গেছেন। এই আসনে লোকসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ আগামী ২৬ এপ্রিল। ২০১৯ সালের নির্বাচনে একমাত্র ওয়েনাড আসন থেকে জিতেছিলেন রাহুল।

এর আগে, দিল্লিতে বিজেপির সদরদপ্তরে ইউনিয়ন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে পাশে নিয়ে রোববার নিজ দল বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এদিকে সোমবার কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে দুটি জনসভা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভা থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে নিজেই নির্বাচনী স্লোগান বেঁধে দেন মমতা। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, নির্বাচনে কোনো রকম গন্ডগোল হলে তার দায় কমিশনকেই নিতে হবে। কোচবিহারে বক্তব্যের শুরুতেই সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। শুরুতেই মমতা নির্বাচন কমিশন আর বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলেন, গরমেই আমাদের ভোট করতে হয়। এটা আমরা ঠিক করি না। এটা নির্বাচন কমিশন ঠিক করে, বিজেপির সঙ্গে কথা বলে। এর আগে সভায় মোদি বলেছেন, তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্ত দল। আয়নায় নিজের মুখ দেখুন আগে, আপনার দল বড় ডাকাতের দল, মাফিয়ার দল। তার পরই মমতার মুখে স্লোগান শোনা যায়- অলিগলি মে শোর হ্যায়, বিজেপি চোর হ্যায়।

অন্যদিকে, গত রোববার তিনি পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে প্রথম লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নামলেন। গতকাল তিনি জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের পক্ষে প্রচারে চালান। হুডখোলা গাড়িতে ময়নাগুড়ির চার কিলোমিটার পথজুড়ে তার পক্ষে ভোটের প্রচারণা করেন। মিঠুন বললেন, এবার প্রচার হবে ‘কাবুলিওয়ালা’ নিয়ে। মিঠুন সর্বশেষ ছবি করেন ‘কাবুলিওয়ালা’। এবার আমি নতুন আরেকটি সংলাপ দেব, আমি জলঢোঁড়া নই, বেলেবোড়াও নই, আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি। প্রচারে অংশ নেওয়া মানুষ সেই সংলাপ শুনতে চাইলে মিঠুন বলেন, ‘এবার আমি কাবুলিওয়ালা হয়ে প্রচার করব।

পরিচালক ছিলেন সুমন ঘোষ। সেই ছবির ধাঁচে এবার প্রচার চালাবেন মিঠুন। আর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ‘এমএলএ ফাটাকেস্ট’ ছবির ধাঁচে প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। মিঠুন চক্রবর্তী রাজ্যের সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২০২১ সালের ৭ মার্চ কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজেপির জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এখন মিঠুন বিজেপির রাজ্য কোর কমিটির অন্যতম সদস্য। সেদিন জনসভায় মিঠুন বলেছিলেন, আজকের দিনটা আমার কাছে একটা স্বপ্নের দিন। আমি ছোটবেলা থেকে গরিবদের কল্যাণের জন্য ভাবতাম। দেশের জন্য কাজের কথা ভাবতাম। এবার সেই স্বপ্ন সফল হতে চলেছে। তাই আমি সেই স্বপ্নকে সফল হতে দেখতে পাচ্ছি। স্বপ্ন তো শুধু দেখার জন্য আসে না; সফল হওয়ার জন্যও আসে। মোদির সঙ্গে একসঙ্গে মঞ্চে থাকব, এটা তো আমার কাছে স্বপ্ন বটে। তাই আজ আমি গর্বিত। আমার হৃদয় দিয়ে দেখা স্বপ্ন হয়তো সফল হতে চলেছে।

মিঠুন চক্রবর্তী অবশ্য মমতার আমন্ত্রণে রাজ্যসভার সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন। তিনি তৃণমূলের সংসদ সদস্য হয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ২০১৪ সালের ৩ এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তাকে ওই সময় সারদা গোষ্ঠীর ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ করা হয়। সে জন্য তাকে পারিশ্রমিকও দেওয়া হয়েছিল। পরে সারদার আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টি জানাজানি হলে নাম জড়ায় মিঠুনেরও। পরে অবশ্য মিঠুন চক্রবর্তী সারদার কাছ থেকে নেওয়া তার পেশাগত পারিশ্রমিকের অর্থ ফিরিয়ে দেন সারদার তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির হাতে। ইডি থেকে মুক্তি পাওয়ার পর মিঠুন ছেড়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেস। ছাড়েন রাজ্যসভার সদস্যপদও। এমনকি রাজনীতিও। ওই ঘটনার পর তিনি কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে চলে যান। এরপর বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি আবার ফিরে আসেন এই বাংলায়।

ভারতে লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল জামিন পাবেন কিনা, সেই সন্দেহ ক্রমেই জোরালো হয়ে উঠছে। আর কারাবন্দি এই নেতা যে প্রথম দুই ধাপের নির্বাচনে দেশের কোথাও প্রচারে যেতে পারছেন না, সেটা নিশ্চিত। আবগারি (মদ) নীতি মামলায় কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার বেআইনি দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল গত সপ্তাহে। গত সোমবার ছিল শুনানি। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) প্রতিবেদন চেয়েছেন। ২৭ এপ্রিলের মধ্যে সেই প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৯ এপ্রিল।

জনপ্রিয় সংবাদ

কানাডায় মঞ্চ মাতালেন নুসরাত ফারিয়া

রাহুলকে বহন করা হেলিকপ্টারে তল্লাশি

আপডেট সময় : ০৭:৩৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

➤এবার বিজেপির প্রচার চালাবেন মিঠুন
➤আশির দশকের স্লোগান ফেরালেন মমতা
➤ ভোটের পুরো সময়ই বন্দি থাকবেন কেজরিওয়াল

ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ আসন্ন। সেই উপলক্ষে চলছে জোর নির্বাচনী প্রচার। দলের পক্ষে প্রচার চালাতে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী হেলিকপ্টারে দক্ষিণের রাজ্য কেরালায় যান। সেখানে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা। এদিকে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে প্রচারের ময়দানে আলোচনায় আসা বলিউড তারকা মিঠুন চক্রবর্তী এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে মাঠে নেমেছেন। অন্যদিকে আশির দশকে বোর্ফস কেলেঙ্কারির কারণে জাতীয় নির্বাচনে কংগ্রেস বিরোধী স্লোগান উঠেছিল ‘অলিগলি মে শোর হ্যায়, রাজীব গান্ধী চোর হ্যায়’। তার অনুকরণে এবার নির্বাচনের স্লোগানে স্মৃতি ফেরালেন মমতা।

পুলিশের বরাতে জানা গেছে, কেরালায় রাহুলকে বহনকারী হেলিকপ্টার অবতরণ করার পর ফ্লাইং স্কোয়াডের কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালান। লোকসভায় নিজের নির্বাচনী আসন ওয়েনাডে ভোটের প্রচার চালাতে তিনি কেরালা গেছেন। এই আসনে লোকসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ আগামী ২৬ এপ্রিল। ২০১৯ সালের নির্বাচনে একমাত্র ওয়েনাড আসন থেকে জিতেছিলেন রাহুল।

এর আগে, দিল্লিতে বিজেপির সদরদপ্তরে ইউনিয়ন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে পাশে নিয়ে রোববার নিজ দল বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এদিকে সোমবার কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে দুটি জনসভা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনসভা থেকে সমর্থকদের উদ্দেশে নিজেই নির্বাচনী স্লোগান বেঁধে দেন মমতা। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বলেন, নির্বাচনে কোনো রকম গন্ডগোল হলে তার দায় কমিশনকেই নিতে হবে। কোচবিহারে বক্তব্যের শুরুতেই সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। শুরুতেই মমতা নির্বাচন কমিশন আর বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলেন, গরমেই আমাদের ভোট করতে হয়। এটা আমরা ঠিক করি না। এটা নির্বাচন কমিশন ঠিক করে, বিজেপির সঙ্গে কথা বলে। এর আগে সভায় মোদি বলেছেন, তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্ত দল। আয়নায় নিজের মুখ দেখুন আগে, আপনার দল বড় ডাকাতের দল, মাফিয়ার দল। তার পরই মমতার মুখে স্লোগান শোনা যায়- অলিগলি মে শোর হ্যায়, বিজেপি চোর হ্যায়।

অন্যদিকে, গত রোববার তিনি পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে প্রথম লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নামলেন। গতকাল তিনি জলপাইগুড়ির বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের পক্ষে প্রচারে চালান। হুডখোলা গাড়িতে ময়নাগুড়ির চার কিলোমিটার পথজুড়ে তার পক্ষে ভোটের প্রচারণা করেন। মিঠুন বললেন, এবার প্রচার হবে ‘কাবুলিওয়ালা’ নিয়ে। মিঠুন সর্বশেষ ছবি করেন ‘কাবুলিওয়ালা’। এবার আমি নতুন আরেকটি সংলাপ দেব, আমি জলঢোঁড়া নই, বেলেবোড়াও নই, আমি জাত গোখরো, এক ছোবলেই ছবি। প্রচারে অংশ নেওয়া মানুষ সেই সংলাপ শুনতে চাইলে মিঠুন বলেন, ‘এবার আমি কাবুলিওয়ালা হয়ে প্রচার করব।

পরিচালক ছিলেন সুমন ঘোষ। সেই ছবির ধাঁচে এবার প্রচার চালাবেন মিঠুন। আর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ‘এমএলএ ফাটাকেস্ট’ ছবির ধাঁচে প্রচার চালিয়েছিলেন তিনি। মিঠুন চক্রবর্তী রাজ্যের সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ২০২১ সালের ৭ মার্চ কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে বিজেপির জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এখন মিঠুন বিজেপির রাজ্য কোর কমিটির অন্যতম সদস্য। সেদিন জনসভায় মিঠুন বলেছিলেন, আজকের দিনটা আমার কাছে একটা স্বপ্নের দিন। আমি ছোটবেলা থেকে গরিবদের কল্যাণের জন্য ভাবতাম। দেশের জন্য কাজের কথা ভাবতাম। এবার সেই স্বপ্ন সফল হতে চলেছে। তাই আমি সেই স্বপ্নকে সফল হতে দেখতে পাচ্ছি। স্বপ্ন তো শুধু দেখার জন্য আসে না; সফল হওয়ার জন্যও আসে। মোদির সঙ্গে একসঙ্গে মঞ্চে থাকব, এটা তো আমার কাছে স্বপ্ন বটে। তাই আজ আমি গর্বিত। আমার হৃদয় দিয়ে দেখা স্বপ্ন হয়তো সফল হতে চলেছে।

মিঠুন চক্রবর্তী অবশ্য মমতার আমন্ত্রণে রাজ্যসভার সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন। তিনি তৃণমূলের সংসদ সদস্য হয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ২০১৪ সালের ৩ এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তাকে ওই সময় সারদা গোষ্ঠীর ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর’ করা হয়। সে জন্য তাকে পারিশ্রমিকও দেওয়া হয়েছিল। পরে সারদার আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টি জানাজানি হলে নাম জড়ায় মিঠুনেরও। পরে অবশ্য মিঠুন চক্রবর্তী সারদার কাছ থেকে নেওয়া তার পেশাগত পারিশ্রমিকের অর্থ ফিরিয়ে দেন সারদার তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির হাতে। ইডি থেকে মুক্তি পাওয়ার পর মিঠুন ছেড়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেস। ছাড়েন রাজ্যসভার সদস্যপদও। এমনকি রাজনীতিও। ওই ঘটনার পর তিনি কলকাতা ছেড়ে মুম্বাইয়ে চলে যান। এরপর বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি আবার ফিরে আসেন এই বাংলায়।

ভারতে লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল জামিন পাবেন কিনা, সেই সন্দেহ ক্রমেই জোরালো হয়ে উঠছে। আর কারাবন্দি এই নেতা যে প্রথম দুই ধাপের নির্বাচনে দেশের কোথাও প্রচারে যেতে পারছেন না, সেটা নিশ্চিত। আবগারি (মদ) নীতি মামলায় কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার বেআইনি দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল গত সপ্তাহে। গত সোমবার ছিল শুনানি। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তার নিয়ে কেন্দ্রীয় আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) প্রতিবেদন চেয়েছেন। ২৭ এপ্রিলের মধ্যে সেই প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৯ এপ্রিল।