০৯:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শুভঙ্করের ফাঁকি দিচ্ছে বিসিবি

অনেকদিন ধরে সৌম্যকে নিয়ে ক্রিকেট পাড়ায় আলোচনা নেই। থাকবেই বা কি করে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা সবশেষ ম্যাচটাতে বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে হাঁটুর চোট পড়েছিলেন। ওই সময় ঘাড়েও আঘাত লাগায় তার বদলে কনকাশন হিসেবে তানজিদ হাসান তামিমকে নামানো হয়। দীর্ঘদিন ধরে মাঠে না থাকার খেসারতও দিয়েছেন বাঁহাতি এ মারকুটে ব্যাটার। চলমান ডিপিএলে খেলতে পারেননি একটি ম্যাচও। তবে গতকাল দেখা গেল সৌম্যকে। মাঠে ফিরেই বেশ চনমনে মারকুটে এই ব্যাটার। শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে নেটে ব্যাটিং করেছেন বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে। থ্রো ডাউনে সৌম্যর আধাঘণ্টার ব্যাটিং অনুশীলনে ছিল নান্দনিকতার ছোঁয়া। বাহারি শটে একাধিকার নেটের পরীক্ষা নিয়েছেন। পাশাপাশি মূল মাঠেও রানিং সেশন করেছেন। আশার কথা হচ্ছে, মাঠে ফেরার পক্ষে সবুজ সংকেত পাচ্ছেন এ ক্রিকেটার। বিসিবির মেডিক্যেল বিভাগ সূত্রমতে, সৌম্যর উন্নতি বেশ আশাব্যঞ্জক, পুরোপুরি সেরে উঠেছেন। ম্যাচ ফিটনেসের জন্য আরো কিছুটা সময় পেলে দ্রুতই মাঠে ফিরতে পারবেন বলে আশা করছে মেডিক্যেল বিভাগ। তবে আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য সৌম্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছেন। তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগ রাউন্ডে তিনি খেলবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচে চোট পেয়েছেন আবাহনীর পেসার তাসকিন আহমেদ। ব্যথা গুরতর না হলেও, সামনে বিশ্বকাপের বিবেচনায় বারবার প্রশ্ন উঠেছে স্পিড স্টারের বিশ্রামের বিষয়টি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেই তাসকিন এখন পর্যন্ত ৪৯ ওভার বল করেছেন। এছাড়া বিপিএলেও টানা খেলেছেন। জাতীয় দলকে গুরুত্ব দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে তাসকিনের বিশ্রামের বিষয়ে ভাবা উচিত বিসিবির। বেছে বেছে ম্যাচ খেলানো, টেস্ট থেকে সাময়িক বিরতি, বিদেশী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে অনাপত্তিপত্র না দেয়া। সবই যেন শুভঙ্করের ফাঁকি তাসকিনের বেলায়। পেস বিভাগকে নেতৃত্ব দেয়া বোলারকে নিয়ে বিসিবি’র সাবধানী মনোভাব, মেলেনা বাস্তবতার সঙ্গে। এখন পর্যন্ত এ বছর জাতীয় দল তাসকিনকে পেয়েছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৬ ম্যাচে। টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ ম্যাচে করেছেন ১২ ওভার, যেখানে তুলে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট। আর ওয়ানডে ক্রিকেটেও ম্যাচ খেলেছেন ৩টি। যেখানে ওভার করেছেন মোট ২৯টি। তার ঝুলিতে উইকেট ১১টি। এবছর জাতীয় দল তাসকিনের কাছ থেকে পেয়েছে ৪১ ওভার। নিয়েছেন ১৫ উইকেট। অথচ চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ৬ ম্যাচে বল করেছেন ৪৯ ওভার। উইকেট ঝুলিতে আছে ১২টি।

বর্তমানে তাসকিনের কাঁধের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, সার্জারি করলে মাঠের বাইরে থাকতে হবে অন্তত এক বছর। এমনকি শেষ হয়ে যেতে পারে ক্যারিয়ারও। তাই তো ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করেই ম্যাচ খেলার কথা তাসকিনের; কিন্তু প্রশ্ন আসতে পারে, সেটা ঠিকঠাক মানা হচ্ছে কি? চলতি মাস অর্থাৎ মার্চে এখন পর্যন্ত ৮টি ম্যাচ খেলেছেন তাসকিন। তিন টি-টোয়েন্টি আর পাঁচটা ৫০ ওভারের ম্যাচে তাসকিন বোলিং করেছেন ৫৫ ওভার। সব ঠিক থাকলে আরো একটা ওয়ানডে ম্যাচ খেলবেন আবাহনীর জার্সিতে। বিশ্বকাপের বছর এমন পরিসংখ্যান তাসকিনের জন্য রীতিমত ভয়াবহ।

এখানেই শেষ নয়। আবাহনী যে সুপার সিক্সে উঠছে তা নিশ্চিত। অর্থাৎ, সবঠিক থাকলে আকাশী-নীল জার্সিতে আরো কিছু ম্যাচ খেলবেন তাসকিন। অথচ বিশ্বকাপের বছর আইপিএল খেলতে পারলে, তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটের সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগতো টাইগার জার্সিতে।

এর আগে একাধিকবার আইপিএলে সুযোগ মিললেও তাসকিনের অনাপত্তিপত্র মেলেনি বিসিবি’র কাছ থেকে। ২০২২ সালে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের পর এবার তাসকিনকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলো কলকাতা আর পাঞ্জাব ফ্র্যাঞ্চাইজি। যদিও বিসিবি আগেই বিসিসিআইকে জানিয়ে দেয় তাসকিনকে ছাড়পত্র দেবেনা তারা। একই কারণে দল পেয়েও খেলা হয়নি পিএসএল কিংবা এলপিএলে। যে বিশ্রামের অযুহাতে টি-টোয়েন্টি খেলতে অনাপত্তিপত্র দেয়া হয়নি তাসকিনকে, ঠিক একই সময়ে কোনো এক অদ্ভূত সুতোর টানে সেই তাসকিন এখন খেলছেন ওয়ানডে ফরম্যাটের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। আইপিএলে যেতে দেয়া হয় না; কিন্তু ঠিকই ডিপিএলে একের পর এক ম্যাচ খেলছেন স্পিড স্টার; কিন্তু বিসিবি যেনো কাঠের চশমা পড়ে আছে। যা বলে দেয় তাসকিনের প্রতি বোর্ড কতটা উদাসীন। ডিপিএলে টানা ম্যাচ খেলতে গিয়ে তাসকিন যদি ইনজুরিতে পরেন, বিশ্বকাপের ঠিক আগে সে দায় কার সে প্রশ্ন তোলা রইলো।

পেসারদের ইনজুরি তালিকায় আরেকটি নাম সবার মুখে। তিনি শরিফুল ইসলাম। গতবছর দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন। টানা খেলার ওয়ার্কলোড বা ধকল কয়দিন সামলাতে পারবেন সেটাও চিন্তার বিষয়। বিসিবি চাইলেই তো আর কারিকরি টাকা ঢালা আবাহনী থেকে মানিকজোড়দের ছাড়িয়ে আনতে পারবে না। যদি টানা খেলে ইনজুরিতে পড়েন জিম্বাবুয়ে সিরিজে তাদের পাওয়া যাবে তো?

এদিকে, ছুটি কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন লিটন দাসও। মঙ্গলবার লিটনকে মিরপুরের ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলন করতে দেখা গেছে। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক অনুশীলন করে বেরিয়ে যান ডানহাতি ব্যাটার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলেননি তিনি। আবাহনী লিমিটেডের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন জানান, সুপার লিগ থেকে লিটনকে দেখতে পাওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু জাতীয় দলে লিটন ব্রাত্য হলে বরাবরের মত বন্ধু হয়ে পাশে ছিল জিম্বাবুয়ে। এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে তার সার্ভিস বিসিবি নিতে চাইবে নাকি ব্রাত্য হয়েই থেকে যাবেন লিটন সেটাও দেখার বিষয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর শোক

শুভঙ্করের ফাঁকি দিচ্ছে বিসিবি

আপডেট সময় : ০৭:২৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

অনেকদিন ধরে সৌম্যকে নিয়ে ক্রিকেট পাড়ায় আলোচনা নেই। থাকবেই বা কি করে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলা সবশেষ ম্যাচটাতে বাউন্ডারি বাঁচাতে গিয়ে হাঁটুর চোট পড়েছিলেন। ওই সময় ঘাড়েও আঘাত লাগায় তার বদলে কনকাশন হিসেবে তানজিদ হাসান তামিমকে নামানো হয়। দীর্ঘদিন ধরে মাঠে না থাকার খেসারতও দিয়েছেন বাঁহাতি এ মারকুটে ব্যাটার। চলমান ডিপিএলে খেলতে পারেননি একটি ম্যাচও। তবে গতকাল দেখা গেল সৌম্যকে। মাঠে ফিরেই বেশ চনমনে মারকুটে এই ব্যাটার। শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে নেটে ব্যাটিং করেছেন বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে। থ্রো ডাউনে সৌম্যর আধাঘণ্টার ব্যাটিং অনুশীলনে ছিল নান্দনিকতার ছোঁয়া। বাহারি শটে একাধিকার নেটের পরীক্ষা নিয়েছেন। পাশাপাশি মূল মাঠেও রানিং সেশন করেছেন। আশার কথা হচ্ছে, মাঠে ফেরার পক্ষে সবুজ সংকেত পাচ্ছেন এ ক্রিকেটার। বিসিবির মেডিক্যেল বিভাগ সূত্রমতে, সৌম্যর উন্নতি বেশ আশাব্যঞ্জক, পুরোপুরি সেরে উঠেছেন। ম্যাচ ফিটনেসের জন্য আরো কিছুটা সময় পেলে দ্রুতই মাঠে ফিরতে পারবেন বলে আশা করছে মেডিক্যেল বিভাগ। তবে আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য সৌম্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছেন। তবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগ রাউন্ডে তিনি খেলবেন কিনা তা নিশ্চিত নয়।

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচে চোট পেয়েছেন আবাহনীর পেসার তাসকিন আহমেদ। ব্যথা গুরতর না হলেও, সামনে বিশ্বকাপের বিবেচনায় বারবার প্রশ্ন উঠেছে স্পিড স্টারের বিশ্রামের বিষয়টি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেই তাসকিন এখন পর্যন্ত ৪৯ ওভার বল করেছেন। এছাড়া বিপিএলেও টানা খেলেছেন। জাতীয় দলকে গুরুত্ব দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে তাসকিনের বিশ্রামের বিষয়ে ভাবা উচিত বিসিবির। বেছে বেছে ম্যাচ খেলানো, টেস্ট থেকে সাময়িক বিরতি, বিদেশী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে অনাপত্তিপত্র না দেয়া। সবই যেন শুভঙ্করের ফাঁকি তাসকিনের বেলায়। পেস বিভাগকে নেতৃত্ব দেয়া বোলারকে নিয়ে বিসিবি’র সাবধানী মনোভাব, মেলেনা বাস্তবতার সঙ্গে। এখন পর্যন্ত এ বছর জাতীয় দল তাসকিনকে পেয়েছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৬ ম্যাচে। টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ ম্যাচে করেছেন ১২ ওভার, যেখানে তুলে নিয়েছেন প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট। আর ওয়ানডে ক্রিকেটেও ম্যাচ খেলেছেন ৩টি। যেখানে ওভার করেছেন মোট ২৯টি। তার ঝুলিতে উইকেট ১১টি। এবছর জাতীয় দল তাসকিনের কাছ থেকে পেয়েছে ৪১ ওভার। নিয়েছেন ১৫ উইকেট। অথচ চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে ৬ ম্যাচে বল করেছেন ৪৯ ওভার। উইকেট ঝুলিতে আছে ১২টি।

বর্তমানে তাসকিনের কাঁধের অবস্থা এতটাই খারাপ যে, সার্জারি করলে মাঠের বাইরে থাকতে হবে অন্তত এক বছর। এমনকি শেষ হয়ে যেতে পারে ক্যারিয়ারও। তাই তো ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করেই ম্যাচ খেলার কথা তাসকিনের; কিন্তু প্রশ্ন আসতে পারে, সেটা ঠিকঠাক মানা হচ্ছে কি? চলতি মাস অর্থাৎ মার্চে এখন পর্যন্ত ৮টি ম্যাচ খেলেছেন তাসকিন। তিন টি-টোয়েন্টি আর পাঁচটা ৫০ ওভারের ম্যাচে তাসকিন বোলিং করেছেন ৫৫ ওভার। সব ঠিক থাকলে আরো একটা ওয়ানডে ম্যাচ খেলবেন আবাহনীর জার্সিতে। বিশ্বকাপের বছর এমন পরিসংখ্যান তাসকিনের জন্য রীতিমত ভয়াবহ।

এখানেই শেষ নয়। আবাহনী যে সুপার সিক্সে উঠছে তা নিশ্চিত। অর্থাৎ, সবঠিক থাকলে আকাশী-নীল জার্সিতে আরো কিছু ম্যাচ খেলবেন তাসকিন। অথচ বিশ্বকাপের বছর আইপিএল খেলতে পারলে, তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটের সে অভিজ্ঞতা কাজে লাগতো টাইগার জার্সিতে।

এর আগে একাধিকবার আইপিএলে সুযোগ মিললেও তাসকিনের অনাপত্তিপত্র মেলেনি বিসিবি’র কাছ থেকে। ২০২২ সালে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের পর এবার তাসকিনকে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলো কলকাতা আর পাঞ্জাব ফ্র্যাঞ্চাইজি। যদিও বিসিবি আগেই বিসিসিআইকে জানিয়ে দেয় তাসকিনকে ছাড়পত্র দেবেনা তারা। একই কারণে দল পেয়েও খেলা হয়নি পিএসএল কিংবা এলপিএলে। যে বিশ্রামের অযুহাতে টি-টোয়েন্টি খেলতে অনাপত্তিপত্র দেয়া হয়নি তাসকিনকে, ঠিক একই সময়ে কোনো এক অদ্ভূত সুতোর টানে সেই তাসকিন এখন খেলছেন ওয়ানডে ফরম্যাটের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। আইপিএলে যেতে দেয়া হয় না; কিন্তু ঠিকই ডিপিএলে একের পর এক ম্যাচ খেলছেন স্পিড স্টার; কিন্তু বিসিবি যেনো কাঠের চশমা পড়ে আছে। যা বলে দেয় তাসকিনের প্রতি বোর্ড কতটা উদাসীন। ডিপিএলে টানা ম্যাচ খেলতে গিয়ে তাসকিন যদি ইনজুরিতে পরেন, বিশ্বকাপের ঠিক আগে সে দায় কার সে প্রশ্ন তোলা রইলো।

পেসারদের ইনজুরি তালিকায় আরেকটি নাম সবার মুখে। তিনি শরিফুল ইসলাম। গতবছর দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন। টানা খেলার ওয়ার্কলোড বা ধকল কয়দিন সামলাতে পারবেন সেটাও চিন্তার বিষয়। বিসিবি চাইলেই তো আর কারিকরি টাকা ঢালা আবাহনী থেকে মানিকজোড়দের ছাড়িয়ে আনতে পারবে না। যদি টানা খেলে ইনজুরিতে পড়েন জিম্বাবুয়ে সিরিজে তাদের পাওয়া যাবে তো?

এদিকে, ছুটি কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন লিটন দাসও। মঙ্গলবার লিটনকে মিরপুরের ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলন করতে দেখা গেছে। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক অনুশীলন করে বেরিয়ে যান ডানহাতি ব্যাটার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলেননি তিনি। আবাহনী লিমিটেডের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন জানান, সুপার লিগ থেকে লিটনকে দেখতে পাওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু জাতীয় দলে লিটন ব্রাত্য হলে বরাবরের মত বন্ধু হয়ে পাশে ছিল জিম্বাবুয়ে। এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে তার সার্ভিস বিসিবি নিতে চাইবে নাকি ব্রাত্য হয়েই থেকে যাবেন লিটন সেটাও দেখার বিষয়।