০৩:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরের সঙ্গে ৪ জেলার বাস চলাচল ৬ দিন ধরে বন্ধ

রংপুরের সাথে উত্তরের চার জেলার সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে ৬ দিন ধরে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এসব রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। দিনাজপুর ও রংপুর জেলা মালিক সমিতির দ্বন্দ্বে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে নীলফামারীর সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত রংপুরের এবং সৈয়দপুর থেকে নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও বাস চলাচল করছে। তবে নীলফামারীর ডোমার থেকে সরাসরি রংপুরে গেটলক বাস চলাচল করছে। প গড়ে যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী রওশন আরা বলেন, রংপুরের কোনো গাড়ি সৈয়দপুর পার হচ্ছে না। সৈয়দপুরের টিকিট পেতেও খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সিটও পাওয়া যাচ্ছে না, খুব হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। শুনলাম গাড়ির মালিক সমিতির কি জানি সমস্যা হয়েছে। তাঁর সাজা আমার মতো যাত্রী সাধারণকে ভোগাতে হচ্ছে। দেশে কোনো কিছুর সিস্টেম নেই। সাধারণ মানুষ জিম্মি। নীলফামারীর সৈয়দপুর বাসটার্মিনালে দেখা যায়, প গড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর থেকে যেসব বাস গেটলক রংপুরে চলাচল করত, সেগুলো সৈয়দপুরে সব যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন। আবার সৈয়দপুর থেকে তাঁরা যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন। একইভাবে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা আন্তজেলা কোনো বাসকে সৈয়দপুর অতিক্রম করতে দেখা যায়নি। সেগুলোও সৈয়দপুর থেকে যাত্রী উঠাচ্ছেন। এতে চাপ বেড়েছে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে। দিনাজপুর ও নীলফামারী বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প গড় থেকে রংপুর হয়ে বগুড়া ও রংপুর থেকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি হয়ে জয়পুরহাট পর্যন্ত চলাচলের কথা। কিন্তু রংপুরের নেতারা প গড় থেকে বগুড়ায় বাস চলাচল করতে না দিয়ে তাঁরা রংপুর থেকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি দিয়ে জয়পুরহাট রুটে তাদের বাস চলাচল করতে চায়। এ নিয়ে দিনাজপুর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ ও রংপুর মোটর মালিক সমিতির দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ফলে গত রবিবার থেকে উভয় গ্রুপ সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়ে সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত চলাচল করছে। রফিকুল ইসলাম নামের একজন মোটর শ্রমিক বলেন, চার জেলার গাড়ি সৈয়দপুরে যাত্রী ওঠানো হচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে চারগুণ ভিড় বাড়ছে। গাড়ির চাপ, যাত্রীর চাপ খুবই বেশি। ঠুনকো বিষয় নিয়ে এই ঝামেলা। মালিক সমিতিগুলো ইচ্ছে করলে দুই মিনিটে সমস্যা সমাধান করতে পারবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

রংপুরের সঙ্গে ৪ জেলার বাস চলাচল ৬ দিন ধরে বন্ধ

আপডেট সময় : ১১:৫২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

রংপুরের সাথে উত্তরের চার জেলার সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে ৬ দিন ধরে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে এসব রুটে চলাচলকারী যাত্রীরা। দিনাজপুর ও রংপুর জেলা মালিক সমিতির দ্বন্দ্বে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে নীলফামারীর সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত রংপুরের এবং সৈয়দপুর থেকে নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও বাস চলাচল করছে। তবে নীলফামারীর ডোমার থেকে সরাসরি রংপুরে গেটলক বাস চলাচল করছে। প গড়ে যাওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী রওশন আরা বলেন, রংপুরের কোনো গাড়ি সৈয়দপুর পার হচ্ছে না। সৈয়দপুরের টিকিট পেতেও খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সিটও পাওয়া যাচ্ছে না, খুব হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। শুনলাম গাড়ির মালিক সমিতির কি জানি সমস্যা হয়েছে। তাঁর সাজা আমার মতো যাত্রী সাধারণকে ভোগাতে হচ্ছে। দেশে কোনো কিছুর সিস্টেম নেই। সাধারণ মানুষ জিম্মি। নীলফামারীর সৈয়দপুর বাসটার্মিনালে দেখা যায়, প গড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর থেকে যেসব বাস গেটলক রংপুরে চলাচল করত, সেগুলো সৈয়দপুরে সব যাত্রীদের নামিয়ে দিচ্ছেন। আবার সৈয়দপুর থেকে তাঁরা যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে রওনা দিচ্ছেন। একইভাবে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা আন্তজেলা কোনো বাসকে সৈয়দপুর অতিক্রম করতে দেখা যায়নি। সেগুলোও সৈয়দপুর থেকে যাত্রী উঠাচ্ছেন। এতে চাপ বেড়েছে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে। দিনাজপুর ও নীলফামারী বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প গড় থেকে রংপুর হয়ে বগুড়া ও রংপুর থেকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি হয়ে জয়পুরহাট পর্যন্ত চলাচলের কথা। কিন্তু রংপুরের নেতারা প গড় থেকে বগুড়ায় বাস চলাচল করতে না দিয়ে তাঁরা রংপুর থেকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ি দিয়ে জয়পুরহাট রুটে তাদের বাস চলাচল করতে চায়। এ নিয়ে দিনাজপুর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ ও রংপুর মোটর মালিক সমিতির দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। ফলে গত রবিবার থেকে উভয় গ্রুপ সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়ে সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত চলাচল করছে। রফিকুল ইসলাম নামের একজন মোটর শ্রমিক বলেন, চার জেলার গাড়ি সৈয়দপুরে যাত্রী ওঠানো হচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে চারগুণ ভিড় বাড়ছে। গাড়ির চাপ, যাত্রীর চাপ খুবই বেশি। ঠুনকো বিষয় নিয়ে এই ঝামেলা। মালিক সমিতিগুলো ইচ্ছে করলে দুই মিনিটে সমস্যা সমাধান করতে পারবে।