১১:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উপজেলা ভোট সুষ্ঠু করতে তৎপর ইসি

➤ মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা
➤ প্রতি ইউনিয়নে থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
➤ উপজেলায় থাকবে ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি
➤ প্রয়োজনে দেওয়া হবে অতিরিক্ত জনবল
➤ উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারির গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে : সিইসি

চার পর্যায়ের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে তৎপর নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। ইসির নিদের্শনা মেনেই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে। এলক্ষ্যে এরই মধ্যে নির্বাচন ভবনে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভা করেছে ইসি।

 

 

 

ইসি এই বৈঠকে সব বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, প্রথম ধাপের প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকেই প্রার্থিরা নিজেদের প্রচার চালাচ্ছেন। প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভোট প্রার্থনা করছেন। এরই মধ্যে ২৬ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দি¦তায় নির্বাচিত হয়েছেন।

 

 

 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সুষ্ঠুভাবে উপজেলা নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে আমরা যেন প্রতিষ্ঠিত করতে পারি যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে এবং নির্বাচন নির্বাচনের মতো হয়। উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা ব্যর্থ হবে। তাই সহিংসতামুক্ত নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

 

 

তিনি বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। যে কোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। সুষ্ঠু ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে।

 

 

এদিকে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেভাবে নিরপেক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে, সেই ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজেলা নির্বাচনে অধিক সতর্কতা অবলম্বনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে ইসি।

 

 

ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত সভায় প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ জেলায় কী সমস্যা আছে তা বলেছেন। পার্বত্য জেলাগুলোয় যেখানে হেলিকপ্টার সাপোর্ট দেওয়া হয়, সেখানে তিনদিনের পরিবর্তে পাঁচদিনের সম্মানী ভাতা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলেছেন। কমিশন সেটাতে সম্মত হয়েছে। প্রতি ইউনিয়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রয়োজনে অতিরিক্ত জনবল দেওয়া হবে।

 

 

তিনি আরও বলেন, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকরা পরামর্শ দিয়েছেন ভোটের দিন সকালে ব্যালট গেলে অতিরিক্ত বাজেটের প্রয়োজন হবে। কমিশন সেটা বিবেচনা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। মূলত মাঠ প্রশাসনে যাতে সমন্বয়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যদি কোথাও বাড়তি ফোর্সের প্রয়োজন হয় তা প্রয়োজনে দেবে ইসি এমনটিই জানিয়েছেন সচিব। তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা যেভাবে নিরপেক্ষতা, সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে যে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেই ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে।

 

 

ইসিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন বলে ইসির একটি সূত্র জানায়। তবে, গণমাধ্যমের কাছে তারা চ্যালেঞ্জের কথা বলেনি উল্লেখ করে জাহাংগীর আলম বলেন, তারা যেটা বলেছে স্থানীয় নির্বাচনে যেহেতু প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকে সেখানে প্রতিযোগিতাটা বেশি হবে। এজন্য তারা আইন-শৃঙ্খলা সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলেছে। সহিংসতার আশঙ্কা করেনি। এ বিষয়টা গোয়েন্দা রিপোর্টে থাকে। কোথাও কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

 

উপজেলা ভোটের প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি করা হয় ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ করা হয় ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে।

 

 

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

 

 

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ছিল ২১ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় ছিল ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে।

 

 

 

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেখানে ভোটার সংখ্যা ৫ লাখের বেশি, সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

 

 

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হবে ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে ৬ থেকে ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

 

 

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

 

চতুর্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৫ জুন দেশের ৫৪ উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এর সঙ্গে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত হওয়া ভোটও এ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, ফলে মোট ৫৫ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে ১২ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৩ থেকে ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ মে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শীতে বাড়ছে রোগ-বালাই

উপজেলা ভোট সুষ্ঠু করতে তৎপর ইসি

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

➤ মাঠপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের কঠোর নির্দেশনা
➤ প্রতি ইউনিয়নে থাকবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
➤ উপজেলায় থাকবে ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি
➤ প্রয়োজনে দেওয়া হবে অতিরিক্ত জনবল
➤ উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারির গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে : সিইসি

চার পর্যায়ের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে তৎপর নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই মধ্যে, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে ইসি। ইসির নিদের্শনা মেনেই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে। এলক্ষ্যে এরই মধ্যে নির্বাচন ভবনে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভা করেছে ইসি।

 

 

 

ইসি এই বৈঠকে সব বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে, প্রথম ধাপের প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকেই প্রার্থিরা নিজেদের প্রচার চালাচ্ছেন। প্রার্থীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভোট প্রার্থনা করছেন। এরই মধ্যে ২৬ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দি¦তায় নির্বাচিত হয়েছেন।

 

 

 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সুষ্ঠুভাবে উপজেলা নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে আমরা যেন প্রতিষ্ঠিত করতে পারি যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে এবং নির্বাচন নির্বাচনের মতো হয়। উপজেলা নির্বাচনে ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা ব্যর্থ হবে। তাই সহিংসতামুক্ত নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

 

 

তিনি বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। যে কোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। সুষ্ঠু ভোটে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে।

 

 

এদিকে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মাঠ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেভাবে নিরপেক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে, সেই ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজেলা নির্বাচনে অধিক সতর্কতা অবলম্বনের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে ইসি।

 

 

ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত সভায় প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ জেলায় কী সমস্যা আছে তা বলেছেন। পার্বত্য জেলাগুলোয় যেখানে হেলিকপ্টার সাপোর্ট দেওয়া হয়, সেখানে তিনদিনের পরিবর্তে পাঁচদিনের সম্মানী ভাতা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলেছেন। কমিশন সেটাতে সম্মত হয়েছে। প্রতি ইউনিয়নে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রয়োজনে অতিরিক্ত জনবল দেওয়া হবে।

 

 

তিনি আরও বলেন, পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকরা পরামর্শ দিয়েছেন ভোটের দিন সকালে ব্যালট গেলে অতিরিক্ত বাজেটের প্রয়োজন হবে। কমিশন সেটা বিবেচনা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে। মূলত মাঠ প্রশাসনে যাতে সমন্বয়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যদি কোথাও বাড়তি ফোর্সের প্রয়োজন হয় তা প্রয়োজনে দেবে ইসি এমনটিই জানিয়েছেন সচিব। তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা যেভাবে নিরপেক্ষতা, সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে যে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেই ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে।

 

 

ইসিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন বলে ইসির একটি সূত্র জানায়। তবে, গণমাধ্যমের কাছে তারা চ্যালেঞ্জের কথা বলেনি উল্লেখ করে জাহাংগীর আলম বলেন, তারা যেটা বলেছে স্থানীয় নির্বাচনে যেহেতু প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকে সেখানে প্রতিযোগিতাটা বেশি হবে। এজন্য তারা আইন-শৃঙ্খলা সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলেছে। সহিংসতার আশঙ্কা করেনি। এ বিষয়টা গোয়েন্দা রিপোর্টে থাকে। কোথাও কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

 

উপজেলা ভোটের প্রথম ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল ও বাছাইয়ের সময় শেষ। বৈধ প্রার্থী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন এক হাজার ৭৮৬ জন, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি করা হয় ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ করা হয় ২৩ এপ্রিল, আর ১৫২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে।

 

 

এই ধাপের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

 

 

দ্বিতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ছিল ২১ এপ্রিল, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় ছিল ২৩ এপ্রিল, আপিল গ্রহণ ২৪-২৬ এপ্রিল, আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। আর ১৬১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে।

 

 

 

এই ধাপের নির্বাচনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেখানে ভোটার সংখ্যা ৫ লাখের বেশি, সেখানে একাধিক সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োজিত থাকবেন।

 

 

তৃতীয় ধাপের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন ফরম জমার শেষ তারিখ ২ মে, মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হবে ৫ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে ৬ থেকে ৮ মে। আপিল নিষ্পত্তি করা হবে ৯ থেকে ১১ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১২ মে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ ১৩ মে এবং ভোট ২৯ মে। এই ধাপে ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

 

 

এই ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে অতিরিক্ত জেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

 

চতুর্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৫ জুন দেশের ৫৪ উপজেলায় চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। এর সঙ্গে নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার প্রার্থীর মৃত্যুতে স্থগিত হওয়া ভোটও এ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে, ফলে মোট ৫৫ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ মে, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে ১২ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৩ থেকে ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ মে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২০ মে।