০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামালপুরে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রচার কেন্দ্রে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৫

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামালপুর সদর উপজেলার চারটি এলাকায় মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজন কুমার চন্দের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে হামলা-ভাংচুর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে কাপ-পিরিচ প্রতীকের পাঁচজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে।

 

বুধবার (১ মে) আনুমানিক রাত ১০টা দিকে দিগপাইত ইউনিয়নের হবদেশ আদমের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া একইদিন রশিদপুর ইউনিয়নের রামনগর, শ্রীপুর ইউনিয়নের কুমারিয়া ও ভাইটকামারি এলাকায় নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র ভাংচুর, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বাড়ীঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

 

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা বলেন, বুধবার রাতে কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপনের সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে বসেছিলেন। এ সময় প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেল নিয়ে প্রতিপক্ষ মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা সেই কেন্দ্রে অতর্কিত হামলা চালায় ও ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ওই এলাকার মৃত আব্দুল কাদের মন্ডলের ছেলে ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাপ-পিরিচ প্রতীকের সমর্থক মো. আব্দুল মালেক (৫০), মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির (৪০), শীহদ আলীর ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৩০), মৃত আকবর দেওয়ানীর ছেলে আব্দুল আজিজ (৫০) ও মৃত আকবর হোসেনের ছেলে হাবেল আলী (৪৫) আহত হয়। পরে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

 

এছাড়া রশিদপুর ইউনিয়নের রামনগর এলাকায় কাপ-পিরিচ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র ভাংচুর, শ্রীপুর ইউনিয়নের কুমারিয়া এলাকার কাপ-পিরিচ প্রতীকের সমর্থক গোলাম রব্বানীকে মারধর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে ভাংচুর ও একই ইউনিয়নের ভাইটকামারী মাটিখোলা এলাকায় কাপ-পিরিচ প্রতীকের সমর্থক ফজর আলীর বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষ মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসব হামলার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 

হামলায় আহত হুয়ামুন কবির বলেন, বুধবার রাতে কাপ-পিরিচ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে বসেছিলাম। এ সময় মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকরা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে আসেন। এসে গালিগালাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা আমাদের উপর হামলা করে। আমরা দৌড়ে পালিয়ে গেলে তাঁরা আমাদের নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র ও আসবাবপত্র, টিভি ও শব্দযন্ত্র ভাংচুর করেন। এ সময় তারা বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি-ধামকি দেয়। এ নিয়ে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।

 

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপন বলেন, পরিকল্পিতভাবে তারা আমার দুইটি প্রচার কেন্দ্র, আমার সমর্থকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘরে হামলা করে ভাংচুর করেছে। এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে কর্মী-সমর্থকদের মাঠ থেকে উঠিয়ে দিবে এবং আধিপত্য বিস্তার করে জয় লাভ করতে চায় তারা।’ তিনি এ হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।

 

এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বাবু বিজন কুমার চন্দ বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কাপ-পিরিচের কর্মী-সমর্থকরা রাতে একটি গোলাযোগ তৈরি করে আমার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাঁড় করিয়েছে।

 

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন, নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা শুনেছি। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জামালপুরে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রচার কেন্দ্রে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৫

আপডেট সময় : ০৪:৪৩:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামালপুর সদর উপজেলার চারটি এলাকায় মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজন কুমার চন্দের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে হামলা-ভাংচুর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘরে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে কাপ-পিরিচ প্রতীকের পাঁচজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছে।

 

বুধবার (১ মে) আনুমানিক রাত ১০টা দিকে দিগপাইত ইউনিয়নের হবদেশ আদমের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া একইদিন রশিদপুর ইউনিয়নের রামনগর, শ্রীপুর ইউনিয়নের কুমারিয়া ও ভাইটকামারি এলাকায় নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র ভাংচুর, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও বাড়ীঘরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

 

 

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতরা বলেন, বুধবার রাতে কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপনের সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে বসেছিলেন। এ সময় প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেল নিয়ে প্রতিপক্ষ মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা সেই কেন্দ্রে অতর্কিত হামলা চালায় ও ভাংচুর করে। এ ঘটনায় ওই এলাকার মৃত আব্দুল কাদের মন্ডলের ছেলে ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাপ-পিরিচ প্রতীকের সমর্থক মো. আব্দুল মালেক (৫০), মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির (৪০), শীহদ আলীর ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৩০), মৃত আকবর দেওয়ানীর ছেলে আব্দুল আজিজ (৫০) ও মৃত আকবর হোসেনের ছেলে হাবেল আলী (৪৫) আহত হয়। পরে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

 

এছাড়া রশিদপুর ইউনিয়নের রামনগর এলাকায় কাপ-পিরিচ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র ভাংচুর, শ্রীপুর ইউনিয়নের কুমারিয়া এলাকার কাপ-পিরিচ প্রতীকের সমর্থক গোলাম রব্বানীকে মারধর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে ভাংচুর ও একই ইউনিয়নের ভাইটকামারী মাটিখোলা এলাকায় কাপ-পিরিচ প্রতীকের সমর্থক ফজর আলীর বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষ মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসব হামলার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 

হামলায় আহত হুয়ামুন কবির বলেন, বুধবার রাতে কাপ-পিরিচ প্রতীকের নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে বসেছিলাম। এ সময় মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকরা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে আসেন। এসে গালিগালাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তারা আমাদের উপর হামলা করে। আমরা দৌড়ে পালিয়ে গেলে তাঁরা আমাদের নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র ও আসবাবপত্র, টিভি ও শব্দযন্ত্র ভাংচুর করেন। এ সময় তারা বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি-ধামকি দেয়। এ নিয়ে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে।

 

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট হাফিজুর রহমান স্বপন বলেন, পরিকল্পিতভাবে তারা আমার দুইটি প্রচার কেন্দ্র, আমার সমর্থকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি-ঘরে হামলা করে ভাংচুর করেছে। এভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে কর্মী-সমর্থকদের মাঠ থেকে উঠিয়ে দিবে এবং আধিপত্য বিস্তার করে জয় লাভ করতে চায় তারা।’ তিনি এ হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।

 

এ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বাবু বিজন কুমার চন্দ বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কাপ-পিরিচের কর্মী-সমর্থকরা রাতে একটি গোলাযোগ তৈরি করে আমার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাঁড় করিয়েছে।

 

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহব্বত কবির বলেন, নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্রে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা শুনেছি। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।