০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বহিষ্কারেও পিছু হটছেন না বিএনপির প্রার্থীরা

  • প্রথম দফায় ৮০ জনকে বহিষ্কার
  • আরো ৬১ জনকে শোকজ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় চলতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি ও সমমনারা। একইসঙ্গে দলের কেউ যাতে এ নির্বাচনে প্রার্থী না হন, সেজন্য কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে দলটি। তবে এ সতর্কতা উপেক্ষা করেই বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি নেতা ও তাদের আত্মীয়-স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন। আর নির্দেশনা অমান্য করে প্রথম দফার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় শোকজের মাধ্যমে এরইমধ্যে প্রথম দফার ৮০ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। তবে এতেও প্রার্থী হওয়া থেকে পিছু হটছেন না অনেকে। পরবর্তী দফার নির্বাচনেও প্রার্থী হচ্ছেন অনেকে।

এমনই পরিস্থিতিতে কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছে বিএনপি হাইকমান্ড। প্রথম ধাপের ধারাবাহিকতায় এবার দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থী হওয়ায় আরো ৬১ জনের তালিকা করেছে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা। তাদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বিএনপি। সিদ্ধান্ত অমান্য করায় গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের কারণ দর্শানো (শোকজ) নোটিস পাঠানো হয়েছে। পত্রপ্রাপ্তির ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নোটিসের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। অবশ্য প্রার্থী হওয়ার পর চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

তবে শোকজের জবাব যাই হোক না কেনো, এসব নেতাদেরকেও দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এদিকে বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জন করায় দলটির তৃণমূলের অধিকাংশ নেতাকর্মী প্রথম ধাপের নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছেন। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে যদি ভোট সুষ্ঠু হয় এবং বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা বিজয়ী হন তাহলে তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচনেও বিএনপি থেকে প্রার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে বিএনপিতেই এমন আলোচনা চলছে। তবে তৃণমূলের বাস্তবতা আসলে কতটা বিবেচনায় নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড, সেই আলোচনাও রয়েছে দলটির ভেতরে। সেইসঙ্গে গণহারে দল থেকে এই বহিষ্কার তৃণমূলের কর্মী- সমর্থকদের মধ্যে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে; এতে দল আরও দুর্বল হচ্ছে কি না, এসব প্রশ্নও রয়েছে বিএনপিতে। তবে কঠোর অবস্থানেই থাকছেন দলটির নেতৃত্ব।

জানা গেছে, এই মুহূর্তে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে জোর আলোচনা, প্রথম ধাপের ফলাফল যদি বিএনপির চিন্তা-ভাবনার হিতে বিপরীত হয়। তখন বহিষ্কার বার্তাও পদধারী ও সাবেক নেতাকর্মীদের ভোটে অংশ নেওয়া থেকে কতটা বিরত রাখতে পারবে? একদিকে ভোটে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীর তালিকা বড় হবে, অন্যদিকে বহিষ্কার সংখ্যাও বাড়বে। তবে হাইকমান্ড শেষ পর্যন্ত কঠোর অবস্থানেই থাকছেন বলেও জানা গেছে। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দলীয় ফোরামে আলোচনা করেই নেতাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবে তাদের দলে ফেরানো হবে। তিনি বলেন, তৃতীয় বা চতুর্থ ধাপের প্রার্থী সম্পর্কে আগাম কোনোকিছু বলা যাচ্ছে না। এই বিষয়ে স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের তথ্যমতে, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান মনে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬জনসহ মোট ৬১ জন নেতা প্রার্থী হয়েছেন। ফলে এসব নেতাদেরকে বহিষ্কারের চিন্তা হচ্ছে বিএনপিতে। তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা এমন তথ্য জানিয়েছেন।

জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধের হুঁশিয়ারি

বহিষ্কারেও পিছু হটছেন না বিএনপির প্রার্থীরা

আপডেট সময় : ০৭:৫৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪
  • প্রথম দফায় ৮০ জনকে বহিষ্কার
  • আরো ৬১ জনকে শোকজ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় চলতি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি ও সমমনারা। একইসঙ্গে দলের কেউ যাতে এ নির্বাচনে প্রার্থী না হন, সেজন্য কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে দলটি। তবে এ সতর্কতা উপেক্ষা করেই বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি নেতা ও তাদের আত্মীয়-স্বজনরা প্রার্থী হয়েছেন। আর নির্দেশনা অমান্য করে প্রথম দফার নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় শোকজের মাধ্যমে এরইমধ্যে প্রথম দফার ৮০ জনকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। তবে এতেও প্রার্থী হওয়া থেকে পিছু হটছেন না অনেকে। পরবর্তী দফার নির্বাচনেও প্রার্থী হচ্ছেন অনেকে।

এমনই পরিস্থিতিতে কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছে বিএনপি হাইকমান্ড। প্রথম ধাপের ধারাবাহিকতায় এবার দ্বিতীয় ধাপের প্রার্থী হওয়ায় আরো ৬১ জনের তালিকা করেছে বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা। তাদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে বিএনপি। সিদ্ধান্ত অমান্য করায় গতকাল বৃহস্পতিবার তাদের কারণ দর্শানো (শোকজ) নোটিস পাঠানো হয়েছে। পত্রপ্রাপ্তির ৪৮ ঘন্টার মধ্যে নোটিসের লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। অবশ্য প্রার্থী হওয়ার পর চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

তবে শোকজের জবাব যাই হোক না কেনো, এসব নেতাদেরকেও দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এদিকে বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জন করায় দলটির তৃণমূলের অধিকাংশ নেতাকর্মী প্রথম ধাপের নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছেন। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে যদি ভোট সুষ্ঠু হয় এবং বিএনপির বহিষ্কৃত নেতারা বিজয়ী হন তাহলে তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের নির্বাচনেও বিএনপি থেকে প্রার্থীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে বিএনপিতেই এমন আলোচনা চলছে। তবে তৃণমূলের বাস্তবতা আসলে কতটা বিবেচনায় নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড, সেই আলোচনাও রয়েছে দলটির ভেতরে। সেইসঙ্গে গণহারে দল থেকে এই বহিষ্কার তৃণমূলের কর্মী- সমর্থকদের মধ্যে কী ধরনের প্রভাব ফেলবে; এতে দল আরও দুর্বল হচ্ছে কি না, এসব প্রশ্নও রয়েছে বিএনপিতে। তবে কঠোর অবস্থানেই থাকছেন দলটির নেতৃত্ব।

জানা গেছে, এই মুহূর্তে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে জোর আলোচনা, প্রথম ধাপের ফলাফল যদি বিএনপির চিন্তা-ভাবনার হিতে বিপরীত হয়। তখন বহিষ্কার বার্তাও পদধারী ও সাবেক নেতাকর্মীদের ভোটে অংশ নেওয়া থেকে কতটা বিরত রাখতে পারবে? একদিকে ভোটে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীর তালিকা বড় হবে, অন্যদিকে বহিষ্কার সংখ্যাও বাড়বে। তবে হাইকমান্ড শেষ পর্যন্ত কঠোর অবস্থানেই থাকছেন বলেও জানা গেছে। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দলীয় ফোরামে আলোচনা করেই নেতাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। যারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবে তাদের দলে ফেরানো হবে। তিনি বলেন, তৃতীয় বা চতুর্থ ধাপের প্রার্থী সম্পর্কে আগাম কোনোকিছু বলা যাচ্ছে না। এই বিষয়ে স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের তথ্যমতে, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান মনে ২০ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬জনসহ মোট ৬১ জন নেতা প্রার্থী হয়েছেন। ফলে এসব নেতাদেরকে বহিষ্কারের চিন্তা হচ্ছে বিএনপিতে। তাদেরকে দ্রুত সময়ের মধ্যে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা এমন তথ্য জানিয়েছেন।