➤নিবন্ধিত ৬ লাখ গাড়ির নেই ফিটনেস
➤ম্যানেজে ঠিক হচ্ছে সবকিছু
➤কোনো সংস্থায় নেই সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান
⦿ সুবিধাভোগীরা অবৈধ যান চলাচলে সুযোগ করে দিচ্ছে : মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী, মহাসচিব, যাত্রী কল্যাণ সমিতি
⦿ আমাদের দেশের লাইসেন্স প্রক্রিয়াটা স্টান্ডার্ড নয় : অধ্যাপক ড. মো. মাহবুব আলম তালুকদার, গবেষক, বুয়েট
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ক্রমেই বাড়ছে অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা। এসব গাড়ির অধিকাংশ চালকেরও নেই লাইসেন্স। স্থানীয় প্রশাসনসহ প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেই নগর-মহানগরসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবাধে চলছে এসব অবৈধ যানবাহন। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলেই তদন্তে বেরিয়ে আসছে এমন তথ্য। এর কিছুদিন না যেতেই আবারো খোলস পাল্টে নানান কৌশলে সড়কে নামছে অবৈধ যানবাহন ও অদক্ষ চালকেরা। বিআরটিএ’র পরিসংখ্যান বলছে, সারা দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা সাড়ে ৬০ লক্ষাধিক। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ৪৪ লক্ষাধিক। সিএনজি অটোরিকশা ৩২ লক্ষাধিক। অনুমোদনহীন বা ফিটনেসহীন গাড়ির সংখ্যা রয়েছে ৬ লক্ষাধিক। এদিকে বেসরকারি একটি গবেষণা সংস্থার তথ্যমতে, সারা দেশে অবৈধ ইজিবাইক-অটোরিকশা রয়েছে ৫ থেকে ৬ লক্ষাধিক, অনিবন্ধিত লেগুনা রয়েছে ৫০ হাজারের ওপরে। অনিবন্ধিত অন্যান্য আরো যানবাহন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে সড়কে বাড়ছে লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ চালকের সংখ্যাও। বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ সেন্টারের অধ্যাপক ড. মো. মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, আমাদের দেশের লাইসেন্স প্রক্রিয়াটা স্ট্যান্ডার্ড নয়, যানবাহনের ফিটনেস পরীক্ষা ও লাইসেন্স প্রদানের বিষয়টি বেসরকারিকরণের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, সুবিধাভোগীরাই অবৈধ যান চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই কোনো না কোনো ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনগুলো পাঠানো হচ্ছে ওয়ার্কশপে। সেখানে গাড়ির বডি মেরামত করে আবার রাস্তায় নামানো হচ্ছে। এ চিত্র রাজধানীর গাবতলী বেড়িবাঁধ থেকে মোহাম্মদপুরের বছিলা এলাকাজুড়ে বিস্তৃত রয়েছে। একই চিত্র মিরপুর-দিয়াবাড়ী, পল্লবী, তুরাগ যাত্রাবাড়ী, ধোলাইখাল, ধোলাইপাড়, শ্যামপুর, ডেমরা, সাইনবোর্ড, কাজলা, কাঁচপুর ব্রিজ, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে। এসব ওয়ার্কশপে কোনো কোনো গণপরিবহন বছরের পর বছর রেখে সংস্করণ করা হচ্ছে। এর অধিকাংশ যানবাহনের নেই ফিটনেস, নেই রুট পারমিট। আবার কোনো দুর্ঘটনা বা মামলার কারণেও ওয়ার্কশপে রেখে দিচ্ছেন পরিবহনের মালিকরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় গ্রিন সিগন্যাল পেলেই রুট পরিবর্তন করে পুরোনো সেই ফিটনেসহীন গাড়ি রাস্তায় নামানো হচ্ছে।
জানা যায়, গতকাল শুক্রবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বসন্তপুর এলাকায় কক্সবাজারগামী রিলাক্স পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে উল্টে যায় এতে বাসের হেলপারসহ ৫ জন নিহত ও অন্তত ১৫ জন যাত্রী আহত হয়।
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম জানান, চালকের অবহেলার কারণেই মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাড়তি ডিউটি করায় ঘুমের মধ্যেই বাসটি চালাতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এদিকে গতকাল দুপুরে শেরপুরের শ্রীবরদী-শেরপুর সড়কের ভারেরা তিন রাস্তার মোড়ে মোটরসাইকেলের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অপরদিকে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে পিরোজপুরের নাজিরপুরের রুহিতলাবুনিয়া মৃধাবাড়ির সামনে বাসচাপায় উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম বানিয়ারী ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা পরিতোষ রায়ের মৃত্যু হয়েছে। নাজিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজাহারুল ইসলাম জানান, বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। চালক ও তার সহকারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যমতে, চলতি বছরের ঈদুল ফিতরের ছুটিতে গত ৪ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে প্রায় তিনশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৫০ জন। আহত হয়েছেন ১৩শ জনেরও বেশি। বেশিরভাগ দুর্ঘটনাই ঘটেছে মহাসড়কে।
সড়ক যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত একদশকে মহাসড়কে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও সে তুলনায় সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি। এর পেছনে চালকদের বেপরোয়া ও অনিয়ন্ত্রিত গতিতে গাড়ি চালানো, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, অবৈধ লাইসেন্সধারী ও অদক্ষ চালক দ্বারা যানবাহন চালানো এবং আইনের প্রয়োগের অভাবসহ বছরের পর বছর এই খাতে ৫টি মূল সমস্যাকে চিহ্নিত করে তা সংশোধনের জন্য বেশকিছু নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে যাত্রী পরিবহনে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, নসিমন-করিমন, ভটভটির মতো বহুমাত্রিক অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল অচিরেই বন্ধের পদক্ষেপ নিতে হবে। এমনকি পণ্যবাহী গাড়িতেও যাত্রী তোলা হচ্ছে অহরহ যা ঈদসহ জাতীয় কোনো উৎসবের সময় আরও বেড়ে যায়। এগুলো পরিহার করতে হবে। মহাসড়কে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অবৈধভাবে চলাচলকারী এসব যানবাহনের চলাচল দুর্ঘটনার অন্যতম বড় কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিআরটিএ’র এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১০ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ২০ ক্যাটাগরিতে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৬০ লাখ ৫৮ হাজার ৯৯৯টি। এর মধ্যে ৪৪ লাখ ৮ হাজার ৯২৬টি মোটরসাইকেল, ৩২ লাখ ৩ হাজার ৮০৯টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৪ লাখ ১৩ হাজার ২১১টি ব্যক্তিগত গাড়ি, ১ লাখ ৫১ হাজার ৬৪৭টি ট্রাক, ১ লাখ ২২ হাজার ৯৩২টি মাইক্রোবাস, ১ লাখ ৬২ হাজার ১৬০টি (ডাবল/সিঙ্গেল কেবিন বিশিষ্ট) পিকআপ, ৯৩ হাজার ৩৭১টি (হালকা/ভারী) জীপ, ৫৪ হাজার ৯৯৬টি বাস, ৪৭ হাজার ৮৮৩টি কভার্ড ভ্যান, ৩৬ হাজার ১১১টি ট্যাক্সিক্যাব, ৩৩ হাজার ৮৪০টি ডেলিভারি ভ্যান, ২৮ হাজার ৩৩০টি মিনিবাস, ১২ হাজার ৩৫৮টি বিশেষায়িত যান, ৮ হাজার ৫১১টি অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য বিভিন্ন যান্ত্রিক যানবাহনের সংখ্যা রয়েছে ৬২ হাজার ৭৬০টি। বিআরটিএ বলছে, ঢাকাসহ সারাদেশে চলাচলকারী নিবন্ধিত ফিটনেসহীন যানবাহনের সংখ্যা ৬ লক্ষাধিক। এসব যানের মেয়াদ শেষে ফিটনেস সার্টিফিকেট গ্রহণ করেনি এবং সড়কে চলাচলের অনুপোযোগী হওয়ায় তা ফিটনেসহীন করা হয়েছে। তবে এর রিপ্লেসমেন্টে নতুন গাড়ি আমদানীর মাধ্যমে ফিটসেন গ্রহণ করার সুযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার ও ড্রাইভিং লাইসেন্স শাখার উপ-পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) মো. ইব্রাহীম খলিলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের কারও কোনো সাড়া মেলেনি।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী দৈনিক সবুজ বাংলাকে বলেন, দেশে ঈদসহ জাতীয় কোনো উৎসব এলেই দূরপাল্লার পরিবহনের ভাড়া বাড়িয়ে দেয়ার কারণে স্বল্প আয়ের মানুষ বাড়ি যেতে পণ্যবাহী ঝুঁকিপূর্ণ বিকল্প পরিবহনগুলো বেছে নেন। অথচ এ ধরনের নিষিদ্ধ ও অবৈধ যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিআরটিএর নিজস্ব কোনো জনশক্তি নেই। তিনি বলেন, নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত যানবাহনের পুরো প্রক্রিয়া ও বিষয়টির দেখভাল করে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। বিআরটিএ’র তথ্যমতে, যদি ৫ লাখ নিবন্ধিত যানের ফিটনেস না থাকে, তাহলে এগুলো অবৈধ বলে ধরা যেতেই পারে। বিআরটিএ ইজিবাইক ও অটোরিকশার নিবন্ধন দেয় না। সুতরাং ৪ থেকে প্রায় ৫ লাখ অটোরিকশা ও ৫০ হাজার হিউম্যান হলার সারাদেশে ম্যানেজেই চলাচল করছে। তবে সেই অনুপাতে সারা দেশে অনিবন্ধিত বা অবৈধ যানবাহনের সংখ্যা ৬ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে এ বিষয়ে আমাদের সংস্থায় সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে অতিসম্প্রতি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০ বছরের অধিক আগের গাড়িগুলো স্ক্র্যাপ বা ধ্বংস করে দিতে, অযান্ত্রিক অবৈধ ইজিবাইক-অটোরিকশা বন্ধের নির্দেশের পরও তা কেন বন্ধ হয়নি, গাবতলী-বাবুবাজার বেড়িবাঁধ সড়কটি মহাসড়ক হলেও এখানে নবাবগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশ বক্স, মোহাম্মদপুরের বছিলা মোড়, ঢাকা উদ্যানসহ বেশকিছু সড়কে এখনো এসব যানবাহন ট্রাফিক পুলিশের সামনে অবাধে চলছে এমন প্রশ্নে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, অটোরিকশাসহ অন্যান্য অযান্ত্রিক গাড়িগুলো নিয়ন্ত্রণের পেছনে ক্ষমতাসীন দলের সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতাকর্মীরা জড়িত রয়েছে। রয়েছে, মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতারা। তারাতো সরকারের স্টেক হোল্ডার হিসেবে কাজ করছে। চাঁদাবাজির কারণে এগুলো বন্ধ করা যাবে না। এরসাথে পুলিশ প্রশাসনেরও হাত রয়েছে। সুবিধাভোগীরাই অবৈধ যান চলাচলের সুযোগ করে দিচ্ছে। যারা নিয়মিত সুবিধা নিচ্ছে, তারা এটা বন্ধ করবে কীভাবে?। সবকিছুই ম্যানেজ করে চালানো হচ্ছে। যতক্ষণ প্রশাসন কঠোর না হবে, ততক্ষণ এর সুফল নগরবাসী সহসাই পাবে না। বিষয়টি দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা সংস্থাকে ‘ম্যানেজ’ করে এই যানগুলো চলছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির মহাসচিব।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কিভাবে মহাসড়কে স্বল্পগতির এসব যানবাহন চলাচল করছে এমন প্রশ্নের জবাবে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শাহবুদ্দিন খান বলেন, সড়ককে ব্যবস্থাপনায় আনার দায়িত্ব শুধু হাইওয়ে পুলিশের নয়। এক্ষেত্রে আরও যেসব অংশীদার আছে তাদের সাথে সমন্বয় করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপরও আমরা প্রতিদিনই অবৈধ যান চলাচল বন্ধে অভিযান চালাচ্ছি, মামলা দিচ্ছি। অদক্ষ চালকও চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন চালক ও যানবাহনের বিরুদ্ধে ২ লক্ষাধিক মামলা ও জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বুয়েটের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ব্যাটারিচালিত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ। বিআরটিএ আইনে মহাসড়কে এ ধরণের ধীরগতির যানবাহন চলা নিষিদ্ধ। মহাসড়কে থ্রি-হুইলার নিষিদ্ধে ২০১৪ ও ২০১৭ সালে হাইকোর্টের নির্দেশনা দেয়। সড়ক বিভাগ ২০১৫ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মহাসড়কে এ ধরণের যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হলেও অনুমোদন ছাড়াই মহাসড়কে চলছে।
বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. মাহবুব আলম তালুকদার দৈনিক সবুজ বাংলাকে বলেন, আমাদের দেশের লাইসেন্স প্রক্রিয়াটা স্টান্ডার্ড নয়। সহজেই যে কোনো বয়সের লোকজন ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়ে যাচ্ছে। যেসব মহাসড়কে সার্ভিস রোড নেই, সেখানে ভারী যানের চালকরা প্রায়ই সড়কের বাস্তবতা না বুঝে অসংবেদনশীল হয়ে পড়ে এবং হালকা যানগুলোতে চাপা দেয়। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। মহাসড়কে যেসব দুর্ঘটনা ঘটে, তার বড় কারণ বেপরোয়াভাবে বা অতিরিক্ত গতিতে চালানোর প্রতিযোগিতা এবং বিপজ্জনক ওভারটেকিং। এছাড়াও রয়েছে অদক্ষ ও ক্লান্ত চালক দ্বারা গাড়ি চালানো। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ও বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষণায় দেখা গেছে, চালকদের অনেকেই সড়কের চিহ্ন এবং আইনকানুন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেই। এমনকি অনেক চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্সও থাকে না। আবার যাদের লাইসেন্স থাকে তাদের দক্ষতা যাচাই করে দেখা হয় না। টাকা পয়সা দিলেই অনেকের লাইসেন্স হয়ে যায়। বিষয়গুলো দেখভালের দায়িত্ব যারা, তাদের আরও কঠোরভাবে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার সুপারিশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।


























